২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ৬:৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


সীমান্তে গ্রেফতার
টেক্সাসের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত বাইডেন প্রশাসনের
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০১-২০২৪
টেক্সাসের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত বাইডেন প্রশাসনের সীমান্তে অভিবাসীদের ঢল


মেক্সিকো সীমান্তে ফেডারেল সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করলে টেক্সাসের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছে বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। গত ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এক চিঠিতে টেক্সাসের গৃহীত অবৈধ অভিবাসন আইনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছে। টেক্সাসের গভর্নর অ্যাবটকে লেখা এক চিঠিতে বিচার বিভাগ বলেছে, টেক্সাস যাতে ফেডারেল সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ না করে তা নিশ্চিত করতে হবে। ইমিগ্রেশন আইন শুধু কংগ্রেসে পাশ করতে পারে। স্টেট ইমিগ্রেশন আইন করতে বা এনফোর্স করতে পারে না। ২০১২ সালের ইউএস বনাম অ্যারিজোনা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ফেডারেল সরকারের অভিবাসন আইনপ্রয়োগ করার একমাত্র ক্ষমতা রয়েছে বলে বলা হয়েছে এবং তা পরিষ্কার করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।

প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান বয়ন্টন ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার টেক্সাসের গভর্নর অ্যাবটকে তার চিঠিতে বলেছেন যে, টেক্সাস যদি এসবি৪ আইন প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ফেডারেল গভর্নমেন্ট মামলা দায়ের করা থেকে বিরত থাকবে। বয়ন্টন লিখেছেন, ফেডারেল সরকার ‘সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কিন্তু টেক্সাসের এই আইন তার বিপরীত।’

অবৈধভাবে মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করার সন্দেহে অভিবাসীদের গ্রেফতার এবং ডিপোর্টেশনের জন্য গত ১৮ ডিসেম্বর টেক্সাস স্টেটে পাস হওয়া আইনের বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন ফেডারেল আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইনটি সিনেট বিল ৪ নামে পরিচিত। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে টেক্সাস আইন সভায় এটি পাস হয়। এই আইনে অবৈধ অভিবাসনকে রাষ্ট্রীয় অপরাধে পরিণত করেছেন। যার ফলে এই আইনে টেক্সাসের আইনপ্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে নতুনভাবে স্টেটে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে অভিবাসীদের থামাতে, গ্রেফতার এবং জেলে পাঠানোর ক্ষমতা দিয়েছে। 

আইনি লড়াই হলো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসী সংকট নিয়ে অ্যাবট এবং বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে সর্বশেষ সংঘর্ষ, যার মধ্যে টেক্সাস সামনের সারিতে রয়েছে। অ্যাবট বাইডেন প্রশাসনকে সীমান্ত সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন, অন্যদিকে প্রশাসন অ্যাবটকে সীমান্তে অমানবিক নীতির নোংরা প্রচারের অভিযোগ করেছে।

গভর্নর অ্যাবট বৃহস্পতিবার বিচার বিভাগের চিঠির নিন্দা করেছেন এবং রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনকে ‘আমেরিকা ধ্বংস করার’ অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন শুধু বর্তমান মার্কিন অভিবাসন আইন প্রয়োগ করতে অস্বীকার করে না, তারা এখন টেক্সাসকে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা থেকে বিরত রাখতে চায় অ্যাবট এক্সের এক পোস্টে বলেছেন। তিনি বলেন, আমেরিকাতে আমি আইনের শাসনের প্রতি এমন শত্রুতা কখনো দেখিনি।

টেক্সাসের গভর্নরের মুখপাত্র রেনা ইজে বলেছেন। ‘আমাদের দক্ষিণ সীমান্তে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ইচ্ছাকৃত এবং বিপজ্জনক নিষ্ক্রিয়তা টেক্সাসকে নিজেদের রক্ষার জন্য ছেড়ে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন উন্মুক্ত সীমান্ত নীতি থেকে টেক্সাস এবং আমেরিকানদের রক্ষার জন্য টেক্সাস এই লড়াইকে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।

ইউএস-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসীদের চলমান ঢেউ স্থানীয় এবং স্টেটের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। আইনটি টেক্সাসের ল্যাটিনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়ের ঢেউ সৃষ্টি করেছে। স্টেটের জনসংখ্যার ৪০ ভাগ ল্যাটিনো সম্প্রদায়। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নসহ নাগরিক-অধিকার গোষ্ঠীগুলো এই ব্যবস্থাটি ব্লক করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেছে। গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকান কর্মকর্তাদের মধ্যে সীমান্তে অভিবাসীদের চলমান ঢেউ বন্ধ করতে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশের কর্মকর্তারা আলোচনাকে ফলপ্রসূ বলে বর্ণনা করেছেন এবং মেক্সিকান কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যেতে আগামী মাসে ওয়াশিংটন সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন