৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ৬:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


উইন রোজারিও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ নেই
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৪-২০২৪
উইন রোজারিও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ নেই প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণকারীরা, (ইনসেটে) উইন রোজারিও


গত ২৭ মার্চ নিউইয়র্কের পুলিশ বাংলাশেী আমেরিকান উইন রোজারিওকে তার মায়ের সামনে গুলি করে। গুলি করার সঙ্গে সঙ্গেই উইন রোজারিও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এই নৃশংস হত্যাণ্ডের পর কমিউনিটির সর্বস্তরের লোকজনকে প্রতিবাদ মুখোর হতে দেখা যায়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজন বিভিন্ন ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ঐ পর্যন্তই শেষ। সেই সব প্রতিবাদ সমাবেশে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কন্সাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ খ্রিস্টার সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

গত ৬ এপ্রিল ছিলো উইন রোজারিওর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং লংআইল্যান্ডে দাফন। এখানো উইর রোজারিও মা ছেলের জন্য বিলাপ করছেন। তার বিলাপে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পাশে কমিউনিটি নেই। ৬ এপ্রিল উইন রোজারিওর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন না বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ। ছিলেন না নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কন্সাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, বাংলাদেশ সোসাইটি এবং রাজনৈতিক দলের কোন সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি আমেরিকান বাংলাদেশি পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের কোন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন না। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন তাহলে বাপার কাজ কী? কমিউনিটির এই বিপদের সময় তারা কমিউনিটির পাশে নেই কেন? তাহলে এই সংগঠনের কাজ কী? শুধু চাঁদাবাজি করে ইফতার ও ডিনারের ব্যবস্থা করা? কন্সাল জেনারেলই বা যাননি কেন? বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তারাও যাননি কেন? তবে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের কিছু নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন ড্রামসহ আরো কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জ্যাকসন হাইটসের মতো জায়গায় প্রতিবাদ করে বাঙালিকে হাইকোর্ট না দেখিয়ে উইন রোজারিওর হত্যাকারীদের বিচারে তাদের পরিবারের পাশে থাকা উচিত এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করে যাওয়া উচিত।

শেয়ার করুন