২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৪:০০:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘনায় অ্যান্ড্রু সায়মন্ডস নিহত
বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৫-২০২২
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘনায় অ্যান্ড্রু সায়মন্ডস নিহত


ক্রিকেটাঙ্গনে সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়েছেন, সাবেক অজি অলরাউন্ডার অ্যান্ড্র সায়মন্ডস। নর্দাণ কুইন্সল্যান্ডে গতকাল গভীর রাতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘনায় নিহত হয়েছেন এক সময়ের এ জনপ্রিয় ক্রিকেটার। ক্যারিয়ারে ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মাঠ কাঁপিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন, ২৬ টেষ্ট ও ১৯৮ ওয়ানডে ম্যাচ। বয়সটা খুব বেশী নয়। ৪৬। এ বয়সেই সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। 

সায়মন্ডস অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ ও ২০০৭ সনের দুই বিশ্বকাপ জয়ী স্কোয়াডের সদস্য। তিনি হলে সম্প্রতিকালের অস্ট্রেলিয়ার মৃত্যুবরন করা থার্ড ক্রিকেটার। এর আগের দু’জন শেন ওয়ার্ন,রডনি মার্শ। 

ব্যাটিং,বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি/ছবি সংগৃহীত 


ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান এক শোকবার্তা প্রকাশ করে বলেছেন, সায়মন্ড ছিল ওই সময়কার দুর্দান্ত ট্যালেন্ট ক্রিকেটার। যিনি ছিলেন কুইন্সল্যান্ডেরও এক বড় সম্পদ। তার মৃত্যু অজি ক্রিকেটারগন ছাড়াও বিশ্বের অনেক তারকা ক্রিকেটার ক্রিকেট সংগঠক, বিভিন্ন বোর্ড,প্রতিষ্ঠান শোক প্রকাশ করছে। 

অনেকেই বলাবলি করছিলেন, কার্ডিফে ২০০৫ এ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আলোড়ন সৃষ্টি করে যে ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ওই ম্যাচে খেলার কথা ছিল অ্যান্ড্র সায়মন্ডসের। দেরী করে মাঠে আসার কারনে কোচ তাকে আর স্কোয়াডে রাখেননি। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের ঘটনা আর নতুন করে বলার নেই। ন্যাটওয়েষ্ট সিরিজে সায়মন্ডসকে পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও নাামায়নি অজি কোচ। তবে বার্মিহ্যামে ২৮ জুনের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলে সুযোগ পেয়ে নেমে ৭৫ বলে ৭৪ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। যদিও বৃষ্টিতে ম্যাচের রেজাল্ট হয়নি। 

২০০৮ এ সাবেক চার টিমমেটের সঙ্গে অ্যান্ড্রু সায়মন্ডস /ছবি সংগৃহীত 


অ্যান্ডু সায়মন্ডসের এমন অনেক অবদান অজি দলে ছিল। ক্যারিয়ারে যতক্ষন দলে ছিলেন, এক কথায় মাঠের একজন পাক্কা ফাইটার। কী বোলিং,ব্যাটিং ফিল্ডিং। সর্বক্ষেত্রে দুর্দান্ত। শুধু অজি ক্রিকেটারদের কাছেই নয়, সর্বত্র তার গ্রহনযোগ্যতা ছিল। সবাই তাকে আদর করতেন,ভাল বাসতেন। তাকে বলা হতো অজি আদিবাসী। এ জন্য নিজেও একটু কমই আনুষ্ঠানিতাগুলোতে থাকতেন। তবে  সদাহাস্য  সায়মন্ডসের সবার কাছেই ছিলো সমান গ্রহনযোগ্যতা। 


শেয়ার করুন