২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:০৬:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


মানুষ জেগেছে সরকারের পতনে : বিজভী
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০২-২০২৪
মানুষ জেগেছে সরকারের পতনে : বিজভী বিএনপির লিফলেট বিতরণ


সরকার ’আত্মঅহমিকা দেখাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে ফরিকরাপুল এলাকায় লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরুর আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আজকে প্রহসনের নির্বাচন, ডামি নির্বাচন, ৭ জানুয়ারি জনগণের প্রত্যাখাত নির্বাচন, সেই নির্বাচন করে তারা (সরকার) এখন আত্মঅহমিকা দেখাচ্ছে। তারা জোর করে তাদের দখলদারিত্ব ক্ষমতা মানুষের সামনে দেখাতে চাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে সরকারের পতনের লক্ষ্যে-এই সরকারের বিরুদ্ধে সবাই আজকে আন্দোলনে এক সাথে। আজকে ডামি নির্বাচন বাতিলের দাবিতে সকলকে এখন একত্রিত হয়ে রাজপথে নামতে হবে- সেই লক্ষ্যে লিফলেট কর্মসূচি শুরু করেছি। 

সরকারের পদত্যাগ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে বিএনপি চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে পাঁচদিন লিফলেট বিতরণের এই কর্মসূচি শুরু করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশের সকল মহানগরে এই লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান রিজভী। লিফলেট বিতরণকালে দলের নেতা-কর্মীরা ‘অবৈধ নির্বাচন মানি না, মানব না’, ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না, মানব না’ ‘এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে। পরে রিজভী পথচারী, ফুটপাতের দোকানদার ও যানবাহনের যাত্রীদের হাতে লিফলেট তুলে দেন। 

‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ শিরোনামে এই লিফলেটে ৭ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি লেখা রয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে তুলে ধরে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা আপনি বলেছেন, জিয়াউর রহমানের সময়ে সেনাবাহিনীতে নাকি অনেক দমন করা হয়েছে, অনেককে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে করলে তো সেখানে বিচার হবেই। জিয়াউর রহমান আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার করেছেন। আর আপনি সামরিক কর্মকর্তাদের গায়েব করে দিয়েছেন, অদৃশ্য করে দিয়েছেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী কোথায়? সেটা কি গায়েব হয়নি আপনার সরকারের সময়ে- সেটা গায়েব হয়েছে।’ 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৭২ সাল থেকে ৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিরাজ সিকদারসহ জাসদ ও বিরোধী দলের ভিন্নমতের ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিলো। একইভাবে এই সরকারের আমলে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে, অদৃশ্য করে দেয়া হয়েছে। 

লিফলেট বিতরণের সময়ে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম মুন্না, অঙ্গসংগঠনের আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন, জাহিদুর রহমান, এজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ নেতৃবৃন্দে ছিলেন।

শেয়ার করুন