২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৬:৩০:৩৩ পূর্বাহ্ন


মুক্তাদির স্মৃতি কল্যাণ ট্রাস্টের সভা
বিপ্লবী ও মুক্তিযোদ্ধারা মরে না
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৯-২০২৩
বিপ্লবী ও মুক্তিযোদ্ধারা মরে না মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিবৃন্দ


এস্টোরিয়ার জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে গত ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ম আ মুক্তাদির স্মৃতি কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে তার ২৬তম মৃত্যুবাষিকী যথাযথ মর্যাদায় সংগঠনের সভাপতি এমাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে পালিত হয়। 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন প্রবাসী লন্ডন মুক্তাদির স্মৃতি কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি মাহমুদ হাছান এমবিই। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ট্রাস্টি শাহাব উদ্দীন যার প্রধান উদ্যোগে এবং অন্যদের সহযোগিতায় ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উদীচী যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতি, ট্রাস্টের আজীবন সদস্য সুব্রত বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজীবন সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ আখতারুল ইসলাম, সিরাজুল আলম খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ডা. মুজিবুল হক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মুক্তাদিরের আদর্শের অনুসারী আবুল কালাম, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন কামালী এবং সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, আজীবন সদস্য ফখরুল আলম, আজীবন সদস্য ইয়ামিন রসিদ, লিগেল কনসালটেন্ট মুজিবুর রহমান, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গাজী শামসুদ্দিন, আজীবন সদস্য মোশারফ খান, আজীবন সদস্য তাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, সিলেট সদর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক খান লায়েক, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল ইসলাম লোফা, আল আমীন জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কয়েছ আহমদ, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নেতা আব্দুল করিম, হেলিম উদ্দিন, আজীবন সদস্য মোজাফফর আহমদ, মইনুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা মরে না, বারবার আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। ম আ মুক্তাদির আমাদের স্বপ্ন ও আদর্শ। তিনি কোনোদিন ভোগের রাজনীতি করেননি। জীবন বাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি আমৃত্যু সমাজ পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছেন। তার স্মৃতি রক্ষার জন্য মুক্তাদিরের অত্যন্ত ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহচর শাহাব উদ্দীন ট্রাস্ট গঠন করে আজ ২৬ বছর ধরে পরিচালনা করে আসছেন। উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মের কাছে ত্যাগের রাজনীতিতে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করা।

বক্তারা আরো বলেন, একটি মহৎ উদ্যোগে সঠিকভাবে নিতে পারলে দেশ ও সমাজ উপকৃত হয়, আজকে দীর্ঘদিন পর হলেও স্মৃতি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে তার মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা, গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদানসহ সমাজের বহু সেবামূলক কাজ চলছে। ম আ মুক্তাদির স্মৃতি পরিষদ ধরে রাখার জন্য সড়কের নামকরণসহ বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সরকার ও সিটি করপোরেশন মেয়রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। স্মৃতি কল্যাণ ট্রাস্টের দেশ বিদেশে কর্মতৎপরতার ব্যাপারে এবং ম আ মুক্তাদিরের কর্মময় জীবনভিত্তিক দেশে-বিদেশের গুণীজনের লেখা ও ছবিসহ একটি স্মারকগ্রন্থ বের করে তার জীবনী এবং সহযোদ্ধাদের ত্যাগের কথা ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আব্দুর রহিম।

শেয়ার করুন