২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:১৪:১১ অপরাহ্ন


মেয়র অফিসে দ্বিতীয়বার হ্যারিটেজ ডে পালন : সমালোচকরা সাইটেশন পেলেন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৩-২০২৪
মেয়র অফিসে দ্বিতীয়বার হ্যারিটেজ ডে পালন : সমালোচকরা সাইটেশন পেলেন বক্তব্য রাখছেন মেয়র এরিক অ্যাডামস


‘অগ্নিঝরা মার্চকে’ বাংলাদেশের ঐতিহ্যের মাস হিসেবে পালন করেছে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র। বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চ মাসটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এই মাসটি বাংলাদেশের জন্ম মাস। এ মাসকে ‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যের মাস’ হিসেবে ঘোষণা করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে সুধী সমাবেশের আয়োজন করেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস। গত ৭ই মার্চ বৃহস্পতিবার মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসি ম্যানশনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হ্যারিটেজ মান্থ হিসেবে এটি দ্বিতীয়বারের মতো পালন করা হলো। প্রথমবার আয়োজকদের অন্যতম ছিলেন জেবিবিএর সাধারণ সম্পাদক এবং মেয়র অফিসের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান। এবার তার কাছ থেকে কৌশলে দায়িত্ব ছিনিয়ে নিয়েছেন মেয়র অফিসের এক বাংলাদেশি কর্মকর্তা। ফাহাদ সোলায়মানের আয়োজনে প্রথম অনুষ্ঠানে যারা সাইটেশন নিয়ে সমালোচনা করেছেন এবার তারাই সাইটেশন গ্রহণ করেছেন। তা নিয়ে কমিউনিটিতে কানাঘুষা চলছে।

অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানা প্রশংসার কথা উল্লেখ করে বলেন, নিউইয়র্ক সিটি বাংলাদেশি আমেরিকানদের জন্য গর্বিত। সিটির প্রতিটি দফতরেই তাদের পদচারণা রয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় বাংলাদেশিরা সিটির মূলধারার রাজনীতিসহ সর্বত্র এগিয়ে যাচ্ছেন। সিটির দরজা বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২৬ মার্চ বাংলাদেশ ফ্ল্যাগ ডে, বাংলাদেশ হ্যারিভিসাটেজ ডে, রমজানে ইফতার পার্টির আয়োজন হয় সিটির উদ্যোগে।

তিনি ব্যক্তিগতভাবে ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, জ্যামাইকা ও জ্যাকসন হাইটসসহ সব এলাকার বাংলাদেশিদের সঙ্গে অত্যন্ত পরিচিত। তাই বাংলাদেশি কমিউনিটির কল্যাণে তিনি আগামী দিনে আরো বেশি কাজ করতে চান। মেয়র এরিক অ্যাডামস বাংলাদেশের ঐতিহ্যের মাস উপলক্ষে চার জন বাংলাদেশিকে সাইটেশন প্রদান করেন। তারা হলেন রুহিন হোসেন, আব্দুল চৌধুরী জ্যাকি, ডা. শামীম আহমেদ ও মনিকা রায় চৌধুরী। এ অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি অংশ নেন। গেল বছর থেকে ম্যানহাটনস্থ মেয়রের সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশ হ্যারিভিসাটেজ দিবস উদযাপন শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশি আমেরিকান মীর বাশার। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা, মূলধারার রাজনীতিক ও কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট গিয়াস আহমেদ, আসেফ বারী টুটুল, ফাহাদ সোলায়মান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, নিউইয়র্ক-বাংলাদেশি আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি শাহ নেওয়াজ, শিল্পী রানো নেওয়াজ, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, যুবদল নেতা জাকির এইচ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান, রকি আলিয়ান, মোহাম্মদ কাশেম, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট এম এ ইসলাম মামুন, ডিটেকটিভ মাসুদুর রহমান, ইব্রাহিম বারো ভুঁইয়া, ফরিদা ইয়াসমীন, আব্দুস সামাদ জাকারিয়া খবির উদ্দিন ভূঁইয়া ও মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, আশা হোম কেয়ারের আকাশ রহমান প্রমুখ।

৭ই মার্চ নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসি ম্যানশনে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশের এ আয়োজন করায় মেয়র এরিক অ্যাডামসকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন প্রবাসীরা।

শেয়ার করুন