২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৩:৫৪:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি
জালালাবাদের ইফতার মাহফিল মিলনমেলায় পরিণত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৩-২০২৪
জালালাবাদের ইফতার মাহফিল মিলনমেলায় পরিণত ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণকারীরা


সভাপতি শাহীন কামালী এবং সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামের নেতৃকবাধীন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল মানুষের স্বত:স্ফূর্ত উপস্থিতিতে যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে সিলটবাসীর বাঁধভাঙা জোয়ারে অভূতপূর্ব এক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মানুষের ব্যাপক উপস্থিতিতে আয়োজকদের মুখে হাসির ঝিলিক, হৃদয়ে তৃপ্তির ঢেকুর থাকলেও দুশ্চিন্তার রেখাও দেখা যায় তাদের কপালের ভাঁজে। কারণ এত মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা করা চাট্টিখানি কথা নয়। সেই পরীক্ষায়ও তারা উত্তীর্ণ হয়েছেন। কারণ মানুষের মধ্যে ছিল সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সহযোগিতার মনোভাব। অন্যদিকে কার্যকরি কমিটির প্রতিটি সদস্য ছিলেন সদা ব্যতিব্যস্ত। তাদের কর্মদক্ষতায় ইফতার করতে আসা প্রতিটি মানুষ হাসিমুখে ইফতার করেছেন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই ফ্লোরে বসে যান, আবার অনেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ইফতার করেন। পুরো আয়োজনটি ছিল আন্তরিকতায় ভরপুর। তারা জয় করে নিয়েছেন জালালাবাদবাসীর হৃদয়। যে কারণে আয়োজক কমিটি প্রশংসা পেতেই পারেন। একই দিনে আরেক অংশের ইফতার যে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি, বরং ভালোই হয়েছে। নেতৃত্বের গুণ যে মানুষ শ্রদ্ধা করে তারই প্রমাণ পাওয়া গেল গুলশান টেরেসে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই দাঁড়িয়ে ইফতার করে। অনেকেই বলেছেন, শাহীন কামালী এবং মইনুল ইসলাম- তাদের কার্যকরি কমিটি প্রমাণ করেছে জালালাবাদবাসী তাদের সঙ্গে আছেন, ভবনের পক্ষে রয়েছেন। আর অন্য পক্ষকে লাল কার্ড দেখিয়েছেন। 

সংগঠনের সভাপতি শাহীন কামালীর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, আসাদুল গনি আসাদ, জামাল হোসেন ও দরুদ মিয়া রুনেলের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ, বিয়ানীবাজার সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান, জ্যাকসন হাইটস বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কর্মকর্তা ও জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি আজিমুর রহমান সাবু, বোরহান উদ্দিন কপিল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম, বিলাল চৌধুরী, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান, সংগঠনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সৈযদ ফজলুর রহমান, আলহাজ জুবায়ের আলী, আব্দুর মুকিত চৌধুরী মাহরুফ, ইয়ামীন চৌধুরী, ড. জুন্নুন চৌধুরী, আব্দুল মালেক খান লায়েক, আব্দুল হাসিম হাসনু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক পংকি মিয়া, আনোয়ার চৌধুরী প্যারেক, শাহীন আজমল, মাওলানা কাজী কাইয়্যূম, মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, মাওলানা শিহাব আহমেদ, আতিকুল ইসলাম জাকির, মোহাম্মদ তোলন, এনায়েত হোসেন জালাল, মখন মিয়া, আব্দুল বাছিত, জামিল আহমেদ, আব্দুস সালাম, শাহাব উদ্দিন, মনির আহমদ, সৈয়দ লোকমান, রুমানা আহমদ, নজরুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, আব্দুল করিম, আব্দুল হান্নান দুখু, আবু তালহা, নূরুল ইসলাম, মাহি মিয়া, বদরুল ইসলাম, গীতিকার গউছ খান, আবুল খায়ের মজনু, প্রফেসর আমিনুল হক চন্নু, ফটিক চৌধুরী, রিয়াজ উদ্দীন কামরান, শাহ মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এ এস এম ফুয়াদ, মনসুর চৌধুরী, হুমায়ুন চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন, রাসেল কবির, এমরান আলী টিপু, মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী, হাসমত তালুকদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবু খান, আশফাক তালুকদার, ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, হেলাল তরফদার, মোতালিব রাজা, বাংলাদেশ সোসাইটির সহ সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ নওশাদ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কার্যকরি কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতি শাহীন কামালী অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কমিউনিটিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে কোনো লাভ হবে না। সিলেটবাসী আজ প্রমাণ করেছেন, তারা ভবনের পক্ষে রয়েছেন এবং আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি ভবন নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল কাইয়্যুম ও মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান আগত সবাইকে সংগঠনের পক্ষ থেকে কোরআন শরিফ, টুপি এবং তসবিহ উপহার দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন