২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:১৩:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


আতিক চেয়ারম্যান রফিক এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি
ফোবানা ভাঙনে জন্ম থেকেই জ্বলছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৬-২০২২
ফোবানা ভাঙনে জন্ম থেকেই জ্বলছে চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারি ড. রফিক খান


ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকার (ফোবানা) কমিটি নিয়ে ভাঙ্গাগড়ার খেলা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। ঘুরেফিরে সেই একই রূপ, একই নায়ক। কোন পরিবর্তন নেই। শুধু চেহারার পরিবর্তন। শুধুমাত্র ক্ষমতাকে নিজেদের পকেটে রাখার জন্য ফোবানা নিয়ে যত ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রের নায়ক আর কেউ নয়- এক বন্ধুর বিরুদ্ধে আরেক বন্ধু। গতবার নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি করা হয়েছিলো। সেই কমিটি নিয়েও ছিলো নানারকম কথাবার্তা। সেই কমিটির নেতৃত্বেই ওয়াশিংটনে ফোবানা সম্মেলন অনুুষ্ঠিত হয়। যারা কনভেনর এবং সদস্য সচিব ছিলেন তাদের অর্থের নয়ছয়ের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। তারপর শুরু হয় অন্য খেলা। যে খেলার সমাপ্তি ঘটে বর্তমান কমিটি বাতিল করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা। একসময় ফোবানা গঠন করা হয়েছিলো প্রবাসীদের স্বার্থে। পুরো উত্তর আমেরিকাকে সম্পৃক্ত করে এই সংগঠন গঠন করা হয়। শুরুতেই সবকিছু ভালোভাবেই চলছিলো। এক সময় ঢুকে পড়ে রাজনীতি। সেই রাজনীতির কারণে এই সংগঠন ভেঙে যায় এবং বিভক্ত হয়ে যায়। একসময় এই ফোবানায় এসেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যোগ দিতেন দেশবরেণ্য শিল্পী, রাজনীতিক, সুশীলসমাজ এবং কবি-সাহিত্যিকরা। বিভক্তির কারণে ফোবানার জৌলুস কমতে থাকে। যারা নেতৃত্বে ছিলেন তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও ছিলো। একজন আরেকজনের বন্ধুও ছিলেন। কিন্তু শুধু ক্ষমতার জন্য এক বন্ধু আরেক বন্ধুর পিঠে চুরি মারেন। প্রতিটি সম্মেলনেই এই একই চিত্র। যা আজো বিদ্ধমান। যারা শুরুতে নেতৃত্বে ছিলেন আজো তারাই ক্ষমতায়। তারা ষড়যন্ত্র করেই পাল্টাপাল্টি ক্ষমতায় থাকেন। নতুনদের কোনো সুযোগ নেই। এক ধরনের সিন্ডিকেটের চক্করে ঘুরছে ফোবানার নেতৃত্ব। কেউ কেউ একাধিকার চেয়ারম্যান বা সেক্রেটারি হয়েছেন। তারপরেও তাদের শখ মিটে না। ফোবানা যেন জন্ম থেকেই জ্বলছে বা ভাঙনের খেলায় এক ক‚ল ভেঙে আরেক ক‚ল গড়ছে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি।

বর্তমান কমিটি বাতিল করে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। পহেলা জুন ফোবানার এক সাধারণ সভায় এই অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত এই কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক এবং এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন ড. রফিক খান। 

ফোবানার প্রায় ৩৫টি সংগঠন এই সভায় যোগদান করে এবং আরো প্রায় ১৩টি সংগঠন এই সভার সিদ্ধান্তের সাথে সহমত পোষণ করে নতুন নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানান। 

ফোবানার বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ফেডারেল ক্রিমিনাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ফোবানা নিয়ন্ত্রণ বিশেষ করে বিগত এক্সিকিউটিভ কমিটির সভায় চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি ও জয়েন সেক্রেটারি কর্তৃক তিনজন সাবেক চেয়ারম্যানকে মাইক বন্ধ ও দুজনকে সভা থেকে বের করে দেয়ার দৃষ্টতাসহ অন্যান্য নানা কারণে ফোবানার সিলেক্টেড চেয়ারম্যান রেহান রেজা ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মাসুদ রব চৌধুরীর কমিটিকে বাতিল ঘোষণা করে এই অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

সভায় আলোচনার ভিত্তিতে খুব শিগগিরই ফোবানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান ফোবানার নতুন চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক।

শেয়ার করুন