২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:৩৩:৬ পূর্বাহ্ন


ডাকার এক দশক পর এক মিলিয়ন অবৈধ নতুন ড্রিমার
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৬-২০২২
ডাকার এক দশক পর এক মিলিয়ন অবৈধ নতুন ড্রিমার


ডাকা বা ডেফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের এক দশক পূর্তির পর আনডকুমেন্টেড ছাত্রছাত্রীর অন্তত এক মিলিয়ন নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি হয়েছে। তারা হাইস্কুল গ্রাজুয়েশন করেছে এদেশে, কিন্তু এদেশে বৈধভাবে কাজ করার কোনো অনুমতি তো দূরে থাক ডিপোর্টেশনের হাত থেকে বাঁচার কোনো পথও পায়নি। এই প্রথমবারের মতো দেখা যাচ্ছে, অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট যারা হাইস্কুল থেকে গ্রাজুয়েট হয়েছে, তাদের ডাকা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির আবেদন স্থগিত করা হয়েছে। তাদের ডিপোর্টেশন বন্ধ করা, বৈধ করা এবং কলেজ টিউশনি ফি নিতে সাহায্য করার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এই ডাকা কর্মসূচি জাতির সবচেয়ে শোচনীয় ইমিগ্র্যান্টদের সাপোর্ট করার জন্য ওবামা আমলের সৃষ্ট। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় গোষ্ঠী তা সমর্থন করেছিল। তা ছিল এক অন্তর্বর্তীকালীন সুরাহা, যা পরবর্তীতে কংগ্রেস আইনের মাধ্যমে স্থায়ী করবে, কিন্তু অদ্যাবধি কংগ্রেস ২০১২ সালের জুন মাসে ডাকা সৃষ্টির পরও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। 

 হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মেওরকাস বলেন, আশা ছিল যে, ডাকা একটা আইন প্রণয়নের জন্য সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। আর এক প্রশাসনিক কর্মসূচি আপাতত প্রয়োজন হবে না। কারণ তখন এক স্ট্যাটিউটরি কর্মপন্থা বহাল হবে। ডাকা কর্মসূচি ২০১২ সালের জুন মাসের ১৫ তারিখে কার্যকর হয়েছিল। 

এরপর প্রতি বছর ডাকার অধীনে প্রোটেকশনের সংখ্যা ১ লাখ করে প্রতিবছর বাড়বে। আর আজ সে সময়ে ডাকার মাধ্যমে প্রোটেকশন পেয়েছে এমন ইমিগ্র্যান্টদের বয়স এখন প্রায় ২৬ বা তদূর্ধ্ব। কিন্তু ২০১২ সালের পর যারা এদেশে এসেছে, তাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। তারা ইতিমধ্যে হাইস্কুল গ্রাজুেেয়শন লাভ করলেও তাদের অবৈধতার গ্লানি বয়ে চলতে হচ্ছে।

যারা ওয়ার্ক পারমিট পায়নি, তারা হাইস্কুল গ্রাজুয়েশনের পর তাদের উচ্চশিক্ষা কীভাবে চালাবে। তারা বছরে ১৭ হাজার ডলার রুম ও বোর্ড খরচ কোত্থেকে ম্যানেজ করবে? অথচ দেশে এখন কাজ করার লোকের অভাব। প্রায় এর মধ্যে মোট অবৈধ ড্রিমারদের সংখ্যা বছরে এক লাখ করে হলেও ১০ বছরে ১০ লাখ বেড়েছে। ২০১২ সালে এদের সংখ্যা ছিল ৮ লাখ। এখন তা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৮ লাখে। অথচ এদের মানবিক সমাধানে আমেরিকার সরকারের কোনো মানবিক উদ্যোগ নেই। 

এদিকে দেশের চেম্বার সংগঠনগুলো ইমিগ্র্যান্ট লোকের ব্যবস্থা করার কথা বলছেন ইন্ডাস্ট্রি ও সার্ভিস সেক্টর চালু রাখতে। রিপাবলিকানরা তাতে কুলো বেঁধেছে। 


শেয়ার করুন