২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ১১:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


সম্পাদকদের পিটার হাস
যুক্তরাষ্ট্র চিন্তা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১১-২০২২
যুক্তরাষ্ট্র চিন্তা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পিটার হাস


ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস আবারো বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনে কে জয়লাভ করেছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চিন্তা করে না। বাংলাদেশে যাতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেটা নিয়েই তারা চিন্তা করেন। একই সঙ্গে তার দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) এ সময় তিনি নির্দিষ্ট কোন দলের পক্ষ না নেওয়ার বিষয়টিও তিনি অবহিত করেন। গত ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য তার। 

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ। এ সময় পিটার ডি হাস বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে সব সংস্থাকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। কারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনটির আগ থেকেই যে নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হয়। তিনি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

মতবিনিময় সভায় সম্পাদকরা রাষ্ট্রদূতকে মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে অবগত করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই অধিকার লঙ্ঘনবিষয়ক স্বচ্ছতা নিয়ে অব্যাহত চাপ ও বিতর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ করছে বলেও জানান তিনি। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে নানা চাপ মোকাবিলা করছে এমন বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুদ্ধের আগে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা ছিল বর্তমানে কেউ সেই অবস্থানে বা তারচেয়ে ভাল স্থানে নেই। তবে এটা সত্যি যে কিছু দেশ অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলায় বাংলাদেশের কৃষি খাতের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

মার্কিন রাষ্ট্রদূত এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারে তার ওপর জোর দেন। এ ক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি পণ্য বৈচিত্র আনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। 

অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি তিনি কথা বলেছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতেও। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গেও খুব দ্রুত সময় তাদের প্রত্যাবাসন হবে এমন প্রত্যাশা না রেখে তাদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে উন্মুক্ত করার বিষয়ে প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রেখে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার জান্তাকে চাপ দিতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র।  যদিও তাদের প্রত্যাবাসন হওয়া দরকার। তিনি আরো যোগ করেন, আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে, তারা যেন প্রতিশ্রুতি অভাবে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়ে।  

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম এর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, সমকাল এর ভারপ্রাপ্ত  সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, বনিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন