২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৭:৪৪:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের মাইলফলক
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৭-২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের মাইলফলক


যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রফতানিতে নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছর দেশটিতে রফতানি হয়েছে ৯০১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক, যা দেশীয় মুদ্রায় ৮৪ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা। এই রফতানি গত ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ৫১ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। ওই অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রেরফতানি হয়েছিল ৫৯৪ কোটি ডলারের পোশাক।যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভালো প্রবৃদ্ধি হওয়ায় বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে সব মিলিয়ে ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছিল। তার মানে, এক বছরের ব্যবধানে পোশাক রফতানি বেড়েছে ১ হাজার ১১৬ কোটি ডলারের।

দেশ অনুযায়ী পোশাক রফতানির এই চিত্র গত ৭ জুলাইপ্রকাশ করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। শুধু যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি বেড়েছে তা নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা ও যুক্তরাজ্যের বাজারেও ভালো করেছে দেশের শীর্ষ রফতানি আয়ের এই খাত।বিদায়ী অর্থবছরে ইইউতে ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় এর আগের বছরের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে ইইউতে তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছিল ১ হাজার ৫৯৮ কোটি ডলার।

ইইউয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ জার্মানিতে বিদায়ী অর্থবছরে ৭১৭ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। আগের অর্থবছরে দেশটিতে রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৬১ কোটি ডলারের পোশাক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রফতানি হয়েছে স্পেনে। দেশটিতে ৩০২ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে গত অর্থবছর। ২০২০-২১ অর্থবছরে স্পেনে ২১৬ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যে বিদায়ী অর্থবছরে ৪৫০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় এর আগের বছরের তুলনায় ৩০ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে রফতানি হয়েছিল ৩৪৪ কোটি ডলারের পোশাক। এ ছাড়া কানাডায় রফতানি হয়েছে ১৩৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই আয় এর আগের বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে কানাডায় ৯৯ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছিল।

এদিকে নতুন বাজারে তৈরি পোশাক রফতানিতে ভালো করেছে বাংলাদেশ। বিদায়ী অর্থবছরে ৬৩৭ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় এর আগের বছরের তুলনায় ২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে নতুন বাজারে রফতানি হয়েছিল ৫০৮ কোটি ডলারের পোশাক।

নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে জাপানে, ১১০ কোটি ডলারের পোশাক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ রফতানি হয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ায় ৮১ কোটি ও ভারতে ৭১ কোটি ডলারের পোশাক।

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পরও রাশিয়ার বাজারে পোশাক রফতানি খুব বেশি কমেনি। বিদায়ী অর্থবছরে রাশিয়ায় ৫৮ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়। আগের অর্থবছর রফতানি হয়েছিল ৫৯ কোটি ডলারের।


শেয়ার করুন