২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৫:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


সন্দ্বীপ সোসাইটির নির্বাচনে ফিরোজ-আলমগীর পরিষদের নিরঙ্কুশ বিজয়
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১১-২০২৩
সন্দ্বীপ সোসাইটির নির্বাচনে ফিরোজ-আলমগীর পরিষদের নিরঙ্কুশ বিজয় নবনির্বাচিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে ফুলেল অভিনন্দন


প্রবাসের অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন ও সমগ্র বিশ্বে সন্দ্বীপবাসীর বৃহত্তম সংগঠন সন্দ্বীপ সোসাইটির নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে ফিরোজ-আলমগীর পরিষদ। গত ২৯ অক্টোবরের এই নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ, ফোবানার কেন্দ্রীয় নেতা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ফিরোজ আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন।

সভাপতি পদে ফিরোজ আহমেদ পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮১ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এখলাক হোসেন ফয়সল, তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৪২৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কমিউনিটির আরেক পরিচিত মুখ মোহাম্মদ হোসাইন আলমগীর, তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মো. আমজাদ হোসেন, তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫০ ভোট।

অত্যন্ত উৎসবমুখর এই নির্বাচনে সারাদিন বৃষ্টিভেজা থাকলেও ভোটারদের মধ্যে উৎসবের কোনো কমতি ছিল না। সারাদিন বৃষ্টি এবং কনকনে শীতের মধ্যেও ৫ হাজার ২৪ ভোটের মধ্যে ৩ হাজার ২৭৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সকাল ৯টা থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং তা রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় ছিল এই নির্বাচনকে ঘিরে সন্দ্বীপবাসীর উৎসাহ-উদ্দীপনা। সন্দ্বীপবাসীর উৎসব-উদ্দীপনার কাছে হার মেনেছে বৃষ্টি এবং কনকনে ঠান্ডা। নির্বাচনকে কেন্দ্র উভয় প্যানেলের প্রার্থী এবং সমর্থকরা আগের দিন রাত থেকেই স্পর্ট দখল করতে থাকে। ব্রুকলিনের পিএস-১৭৯ স্কুল অডিটোরিয়ামের ভোটকেন্দ্র থাকলেও স্কুলের সামনের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাস্তার উভয় পাশে ছিলো উভয় প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকরা। তারা চেয়ার নিয়ে বসে ভোটারদের সহযোগিতা করতে থাকেন। আবার মাঝেমধ্যে উত্তেজনাও দেখা যায়। যদিও উত্তেজনা বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিলো না। আরো লক্ষণীয় বিষয় ছিলো পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি মহিলা ও নতুন ভোটারদের উপস্থিতি। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটো প্যানেল প্রায় কয়েক মাস যাবৎ প্রচারণা চালাতে থাকে। নির্বাচনে কমিউনিটির অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সারা দিন ভোট গ্রহণ এবং গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। এই সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য, দুই প্যানেলের ৩৯ প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের নির্বাচনে ফিরোজ-আলমগীর পরিষদের নির্বাচনী প্রচার কৌশল ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা নতুন ধারা সৃষ্টি ও পরিবর্তনের মেসেজ নিয়ে মাঠে নেমেছিল এবং ভোটাররা ভালোভাবে নিয়েছেন। তার প্রতিফলন ঘটেছে ভোটের ফলাফলে। ফলাফল ঘোষণার অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সভাপতি ফিরোজ আহমেদ শুরুতেই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি সব ভোটার ফিরোজ-আলমগীর পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, সব নির্বাচনী এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আগামী দিনে সোসাইটি পরিচালনায় সকল মহলের সার্বিক সহায়তা চেয়ে বলেন আমরা এক ছিলাম, আছি এবং ইনশাআল্লাহ এক থাকবো। তিনি আরো বলেন, যুগ পাল্টিয়েছে সেই যুগের সঙ্গে আমাদেরও পরিবর্তন হতে হবে। নতুন নতুন কর্মসূচি নিয়ে এই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন-সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মনজুর কাদের সোহাগ ১ হাজার ৭৪২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম. ইসলাম সাহাব উদ্দিন ১ হাজার ৪১৫ ভোট। সহ-সভাপতি: ৩ জন (১) আব্দুস সালাম লাবু ১ হাজার ৯৩২, (২) আবদুল মান্নান ১ হাজার ৭৬২, (৩) মো. আলমগীর হোসাইন ১ হাজার ৭৪৮। সহ-সভাপতি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী: (১) মেজবা উদ্দিন মনির ১ হাজার ৪০১, (২) কমিউল আলম ১ হাজার ৩৬১, (৩) মো. ফেরদৌসুল হক ১ হাজার ১৭৩। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত: ইঞ্জিনিয়ার নাসির উদ্দিন: ১ হাজার ৭৮৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। মো. হোসেন ১ হাজার ৩১৩। সাংগঠনিক সম্পাদক: জসিম উদ্দিন: ১ হাজার ৬৮৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী: কাওছার সর্দার ১ হাজার ৪৩৪। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক: মো. আলাউদ্দিন ফারুক: ১ হাজার ৬৯৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী: সাফায়েত হোসেন ১ হাজার ৩৮৬। ট্রেজারার: মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম ১ হাজার ৭৬৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী: রিদওয়ানুল বারী ১ হাজার ৩৪৭। সহ-ট্রেজারার: মো. সোহেল ১ হাজার ৮০৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেলোয়ার হোসেন মাকসুদ ১ হাজার ২৭১। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক: নাজিম উদ্দিন সুজন ১ হাজার ৮৬০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাশা মাওলা ১ হাজার ২২৫। ক্রীড়া সম্পাদক: নামি উদ্দিন ১ হাজার ৭১৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মনির উদ্দিন ১ হাজার ৩৬৫। শিক্ষা সম্পাদক: ফরহাদ হোসেন ১ হাজার ৭৩৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জামসেদ উদ্দিন ১ হাজার ৩৬১। ট্রেনিং ও জবস বিষয়ক সম্পাদক: মো. আরিফ ১ হাজার ৭৪০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেরাজুল আমিন ১ হাজার ৩৪৯। প্রচার সম্পাদক: ইমরুল হাসান আরফান ১ হাজার ৭৪৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ আজাদ সেলিম ১ হাজার ৩৭০। দফতর সম্পাদক: আজমীর হোসাইন ১ হাজার ৬৬৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল করীম ভুট্টু ১ হাজার ৪৪০। মূলধারা সম্পাদক: এম. আরিফুজ্জামান ১ হাজার ৭৩৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইন উদ্দিন দিদার ১ হাজার ৩৬৮। ইনফরমেশন সেক্রেটারি: রেহান উদ্দিন সোহেল ১ হাজার ৭৯২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী: কাজী আলতাফ হোসেন ফয়সল ১ হাজার ২৯৮।

শেয়ার করুন