দুই ভাই নূর নবী চৌধুরী (৫৬) ও মোহাম্মদ রহমান (৩৬)। নূর নবী থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোর চিকতোয়াগায়, আর রহমান থাকেন ঢাকায়। দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরিচয় গোপন করে বেআইনি লাইভ স্ট্রিম (ডিজিটাল সম্প্রচার) চালিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে তারা ৭০ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ জন্য আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে নূর নবী ও মোহাম্মদ রহমানকে। যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার হয়েছেন নূর নবী। নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ফেডারেল আদালতে চলছে বিচার। স্থানীয় সময় গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার মার্কিন বিচার বিভাগের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স দফতর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এই দুই ভাই অবৈধভাবে এমন একটি ডিজিটাল সম্পৃচার পরিষেবা পরিচালনা করতেন, যেখানে গ্রাহকেরা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে আধেয় (কনটেন্ট) দেখার সুযোগ পেতেন। বিশেষত সরাসরি খেলা দেখা ও টেলিভিশনের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দেখতে পেতেন। কোনো কোনো আধেয় ছিল মেধাস্বত্বের বা কপিরাইটের আওতাধীন। এসব আধেয় সম্প্রচার করা হতো প্রকৃত কপিরাইট মালিকদের অনুমতি ছাড়াই।
আদালতের নথিতে দেখা গেছে, নূর নবী চৌধুরী ও তার ভাই মোহাম্মদ রহমান কয়েক বছর ধরে এই অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। ‘২৪৭ টিভি স্ট্রিম’ নামের ডিজিটাল সম্প্রচার পরিষেবার মাধ্যমে দুই ভাই গ্রাহকদের কাছ থেকে ৭০ লাখ ডলারের বেশি সাবস্ক্রিপশন ফি নিয়েছেন।
অনুমান করা হচ্ছে, দুই ভাইয়ের এই কর্মকা-ের কারণে প্রকৃত মালিকদের ১০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। আর এই কর্মকাণ্ডের জন্য তারা নিজেদের পরিচয় গোপন করে অন্য একজনের পরিচয় ব্যবহার করেছেন।
মার্কিন বিচার বিভাগের ফৌজদারি শাখার প্রধান ও প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল নিকোল এম আর্জেন্টিয়েরি বলেন, ‘অভিযুক্ত দুই ভাই অনুমোদন ছাড়াই অন্যের কপিরাইট আধেয় নিজেদের প্ল্যাটফর্মে প্রচার করেছেন। এভাবে তারা বৈধ ব্যক্তিদের কোটি কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছেন।’
এরই মধ্যে নূর নবী চৌধুরী গ্রেফতার হয়েছেন। মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর মোহাম্মদ রহমানের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুই ভাইয়ের প্রত্যেকের ২ থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড (বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণসাপেক্ষে) হতে পারে।