প্রবাসের অন্যতম মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করেছে গত ১৬ ডিসেম্বর এবং ব্যাংক হিসাব থেকে শুরু করে সব কিছু বুঝিয়ে দেওয়া হয় গত ২৪ ডিসেম্বর। এদিকে সভাপতি আব্দুর রব মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কমিটি বাংলাদেশ সোসাইটির জন্য আরো ৪২০ কবর ক্রয় করেছে। এর মধ্যে জরুরিভাবে ২০২৪ সালের শুরুতে নিউজার্সিতে ৬০টি এবং বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির ক্রয়কৃত স্থানে আরো ৩৬০টি কবর ক্রয় করা হয়। সব মিলিয়ে কবরের পেমেন্ট দেওয়া হয় ৩ লাখ ৪ হাজার ডলার। বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির বাংলাদেশ সেমিট্রির জন্য দেওয়া হয় ২ লাখ ৪০ হাজার ডলারের চেক। নিউজার্সির কবরের জন্য পরিশোধ করা হয় ২৪ হাজার ডলার। বাংলাদেশ সোসাইটির বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ নওশাদ হোসেন বলেন, নিউজার্সিতে ক্রয়কৃত ৬০টি কবরের পুরো অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। এটি ক্রয় করার সময় দেওয়া হয়েছিল ২৭ হাজার ডলার। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেমিস্ট্রি থেকে কওয় করা হয়েছে ৩৬০টি কবর। এটিরও পুরো অর্থ দেওয়া হয়েয়ছে।
এ বাংলাদেশ সোসাইটির নবনির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম বলেন, কাজটি সুন্দর হলো না। তিনি বলেন, আমি বিদায়ী সভাপতি আব্দুর রব মিয়াকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয় তখন আমাদের বলা হয়েছিল ফান্ডে ৩ লাখ ৮০ হাজার ডলারের মতো রয়েছে। কিন্তু এখনো তা নেই। তারা প্রায় আড়াই লাখ ডলারের পেমেন্ট করেছে। এর মধ্যে কবর ক্রয় করেছে। তারা ক্ষমতা ছিল তাই তারা এটা করেছে। আমাদের বলার কিছু নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনে একটি প্যানেলে জয়লাভ করেছে। অভিষেক হয়েছে, এরপর কীভাবে অর্থ খরচ করা হয়। তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের জনানো উচিত ছিল। আমরা জানি না প্রতিটি কবর কত করে এবং কবরগুলো রেডি কি না। তিনি বলেন, আমরা জনগণকে জানাবো তারাই এটার বিচার করবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সোসাইটির বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী বলেন, এটা তাদের জানানোর দরকার কী? আমাদের কমিটির যৌথ সভায় কবর ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সভায় আমাদের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য এবং কার্যকরি কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন এবং রেজ্যুলেশনের তাদের স্বাক্ষরও রয়েছে। সুতরাং আমরা সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নিয়েছি। বিদায়ী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য এখন বর্তমান কমিটিতে রয়েছেন তারাও বিষয়টি জানেন। সুতরাং এটি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করার আমরা কোন কারণ দেখি না। বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির বাংলাদেশ সেমিট্রি থেকে আমাদের ১ হাজার কবর ক্রয় করার কথা ছিল। সেটাতো আমরা করিনি। বর্তমানে সোসাইটির অ্যাকাউন্টে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ডলারের মত রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ সেমিট্রি থেকে আসরা মাত্র ৭ শত ডলার করে কবর ক্রয় করেছি। আমাদের কারণে ৭০০ ডলারে কবর দেওয়া হয়েছে।
বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ বলেন, শুধু অভিষেক অনুষ্ঠানেই তারা প্রায় ৩০ হাজার ডলার খরচ করেছে। ৭ লোকের খাবারের অর্ডার দেওয়ার পরও ২০০ লোকের জন্য স্পেশাল গরুর মাংস ক্রয় করা হয়েছে। এ স্পেশাল লোকগুলো কারা? অভিষেকে ম্যাগাজিন বের করা হয়েছে, তা থেকে আমি কোনো ইনকাম দেখিনি। যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা কী সরকারি মাল দরিয়ামে ঢাল-এ বাক্যের মতো কাজ করেছেন?