২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৯:০১:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


দেশ’কে শরিফুল রাজ
পরাণ হাওয়া অন্যতম সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকল
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৮-২০২২
পরাণ হাওয়া অন্যতম সুন্দর  স্মৃতি হয়ে থাকল শরিফুল রাজ/ফাইল ছবি


ঈদে মুক্তি পেয়েছে নির্মাতা রায়হান রাফি পরিচালিত সিনেমা পরাণ। মুক্তির একমাস হতে চললেও এখনও সিনেমাটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খাওয়া ভিড়। এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ। যার আরো একটি সিনেমা ঈদের পর মুক্তি পাওয়ার পর দর্শক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। নাম ‘হাওয়া’। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি হিট সিনেমা উপহার দেওয়া শরিফুল রাজ কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে। 

প্রশ্ন: অল্প দিনের ব্যবধানে দুটো হিট সিনেমা। অনুভূতি কেমন?

শরিফুল রাজ: ‘পরাণ’ এবং ‘হাওয়া সিনেমা দুটো নিয়ে আগে থেকেই ভালো কিছু হবে আশা ছিল। সেটার পূর্ণতা যখন এলো স্বাভাবিকভাবেই ভালো অনুভূতি হওয়ার কথা। তবে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে দর্শকদের উচ্ছ্বাস। তাদেরকে তৃপ্তি দিতে পেরেছি, বিনোদন দিতে পেরেছি, হলমুখী করতে পেরেছি এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। 

প্রশ্ন: ‘পরাণ’ ঘিরে রাজের এত প্রশংসা, সেটা কীভাবে উদযাপন করছেন?

শরিফুল রাজ: প্রশংসা তো ভালোই লাগে। এটা আরো ভালো কাজের উৎসাহ দেয়। একটা সিনেমা করে আসার পর সেই সিনেমার চরিত্র নিয়ে, সিনেমা নিয়ে মানুষ কথা বলছে, প্রশংসা করছে, সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়- যে চরিত্রটি করতে গিয়েছিলাম, সেই চরিত্রটি মনে হয় ঠিকঠাক করে আসতে পেরেছি। যার কারণে মানুষের এত ভালোবাসা, এত প্রশংসা। এই উদযাপনটা আমার নয়, আমার দর্শকদের, যারা আমাকে নিয়ে এত আলোচনা করছে, প্রশংসা করছে এই ক্রেডিটটা তাদেরই।

প্রশ্ন: ‘পরাণ’ কি আপনার চলচ্চিত্রজীবনের নতুন দ্বার উন্মোচন করল?

শরিফুল রাজ: ‘পরাণ’ আমার জীবনের নতুন দ্বার উন্মোচন করল কি না বলতে পারব না, তবে পরাণ আমার জীবনের করা কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম একটা কাজ, যে কাজে আমি এত সাড়া পাই, আমাকে নিয়ে এত প্রশংসা হয়, এত আলোচনা হয়। আমার চলচ্চিত্রে কাজ করতে এসে মনে হয় আর কোনো কাজ নেই যেই কাজে এত সাড়া পেলাম আমি। পরাণ আসলে ওই জায়গাটাই স্পেশাল থাকবে আমি যতদিন ফিল্মে থাকি; যে একটা সিনেমাতে আমি অভাবনীয় সাড়া পাই। আমার মনে হয় এটা আমার জীবনের অন্যতম একটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকল।

প্রশ্ন: পরাণের রেশ থাকতেই ‘হাওয়া’ মুক্তি পেয়েছে। এটাও হিট। আপনি কি মনে করেন দুই সিনেমা মুক্তির সময়ের ব্যবধান আরো বেশি হওয়া উচিত ছিল?

শরিফুল রাজ: শুরুতে মনে হয়েছিল ‘হাওয়া’ সিনেমা আরো কিছুদিন পর মুক্তি দিলে ভালো হতো। কিন্তু এখন মনে হয়েছে ‘হাওয়া’ সঠিক সময়েই মুক্তি পেয়েছে। ‘পরাণ’ যেভাবে দেখল বাংলা সিনেমার দর্শকরা। এত মানুষ যে বাংলা সিনেমার জন্য পাগল, আমার মনে হয় ‘পরাণ’-এর ইমপ্যাক্ট ‘হাওয়া’তেও পড়েছে। দর্শকদের অনেক রিয়েকশন আমার কাছে এসেছে যারা একদিনে ‘পরাণ’ এবং ‘হাওয়া’ দেখেছে। অর্থাৎ পরপর দুটি ভালো সিনেমা দর্শকদের হলমুখী করেছে এবং হলে অন্যদের ডেকে আনতে সহযোগিতা করেছে।

প্রশ্ন: আপনার অর্ধাঙ্গিনী পরীমনির সঙ্গে এইসব নিয়ে আলাপ হয়? দুটি সিনেমা নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া কী?

শরিফুল রাজ: পরী তো আসলে সব সময় এগুলো নিয়ে আলাপ করে বাসায় এলেই। আর সে চমৎকারভাবে আমাকে সাপোর্ট করে। সবার প্রতিক্রিয়া-আলোচনায়-প্রশংসা সবকিছু মিলে সে অনেক হ্যাপি। আসলে ওর সাপোর্টেই আমি এতো ভালো কাজ করতে পেরেছি। 

প্রশ্ন: আপনাদের নতুন অতিথি পৃথিবীর মুখ দেখবেন কবে নাগাদ? দু’জনের এই সুখময় মুহূর্তের অপেক্ষার প্রহর নিয়ে কিছু বলেন।

শরিফুল রাজ: আমরা মনে হয় আর কিছুদিনের মধ্যে নিজেরাই সেই সুখবর দেব। এই মুহূর্তে আমরা ঠিকঠাক-সুন্দর সময় কাটাচ্ছি। আমরা নিজেরাও খুব অপেক্ষার প্রহর গুণছি। কখন আসলে সেই দিনটা আসবে। সবকিছু মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ।

প্রশ্ন: দর্শকদের এত ভালোবাসার বিপরীতে তাদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?

শরিফুল রাজ: আসলে আমার কাজগুলো যারা পছন্দ করেন, প্রশংসা করে লেখালেখি করেন, যারা আমার কাজ নিয়ে এত মাতামাতি করেন; আমার এই কাজের ক্রেডিটটা তাদেরই। আমাকে যারা মন ভরে ভালোবাসা দিলেন, জড়িয়ে ধরে ভালোবাসা দিলেন, আমি তাদেরকে অনেক ভালোবাসি-অনেক ভালোবাসি। এই ভালোবাসার ঋণ তো আসলে শোধ হয় না, ভালোবাসাটা ভালোবাসা দিয়েই দিতে হয়। আমি তাদের কাছে দোয়া চাইব, আমি যেন সুস্থ স্বাভাবিকভাবে থাকতে পারি এবং ভালো কিছু কাজ উপহার দিতে পারি তাদের।

 

শেয়ার করুন