২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৩:২৫:৪১ পূর্বাহ্ন


আমেরিকায় বৈধ ইমিগ্রেশন স্থবির হয়ে রয়েছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৮-২০২২
আমেরিকায় বৈধ ইমিগ্রেশন স্থবির হয়ে রয়েছে


বাংলাদেশসহ বিদেশ থেকে এমনকি ইউরোপ থেকে যারা বৈধ পন্থায় আমেরিকায় আসতে চায়, তাদের আবেদনও আটকে রয়েছে আমেরিকার আমলাতান্ত্রিক ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যে। পরিবার একত্রীকরণ কিংবা এইচ১বি ভিসার প্রাপ্তি অথবা অন্য যে কোনো বৈধ পন্থায় ভিসা লাভে বিলম্ব হচ্ছে অসহনীয়ভাবে। গ্রিনকার্ড পাওয়ার জন্য প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার লোক সাক্ষাৎকারের অপেক্ষায় রয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সম্মুখে। অধিকাংশ অপেক্ষা করছে তাদের নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে যারা আবেদন করেছেন। তারা ইমিগ্রেশনের জন্য অতিশয় যোগ্য হলেও তা একমাত্র প্রসেসিং ডিলের কারণে বিলম্ব হচ্ছে। 

২০১৯ সালে অতিমারীর কারণে সরকারি অফিসসমূহ বন্ধ হয়ে গেলে তখন মাত্র ৬১ হাজার লোক অপেক্ষায় ছিল সাক্ষাৎকারের। জুলাই ২০২১ মাস থেকে মোট ৫ লাখ ৩২ হাজার স্থগিত আবেদন থেকে ব্যাকলগ কিছুটা কমেছে। কিন্তু দেখা যায়, এক মাসে মাত্র ৩০ হাজার সাক্ষাৎকার নির্ধারিত হয়েছে। এ সংখ্যা অতিমারীর পূর্বের চাইতে অনেক কম। মনে হচ্ছে, সংখ্যা না বাড়ার অন্যতম কারণ অনেক কম লোক সাক্ষাৎকারের জন্য আবেদন করেছে। আমেরিকানদের বিদেশি প্রেমিকদের জন্য তাদের ফিয়াঁসে ভিসা ইস্যু করা দ্রুত কমে গেছে। গ্রিনকার্ডধারীদের যারা নাগরিক হতে চায়, তাদের আবেদনের পর ৮ মাসের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। গত বছর দেড় লাখ পরিবার সদস্যদের জন্য রাখা গ্রিনকার্ড নষ্ট হয়ে গেছে। কারণ সেসব কার্ড যথাসময়ে ইস্যু করা হয়নি। অথচ তা কংগ্রেসের দ্বারা নির্ধারিত ক্যাম্পের মধ্যেই ছিল।

নিয়োগকর্তাদের দ্বারা স্পন্সরকৃত গ্রিনকার্ডের জন্য ক্যাপ রয়েছে বিভিন্ন দেশভিত্তিক। কিন্তু কোনো কোনো দেশ যেমন- বিশেষ করে ভারত থেকে যোগ্য প্রার্থীদের আসার সংখ্যা নির্ধারিত ক্যাপ থেকে অনেক বেশি। লাখ লাখ ওয়ার্কার যারা গ্রিনকার্ডের যোগ্য তারা নিয়োগকর্তাদের কাছে ধরা রয়েছে। তাদের সন্তানরা বয়স হওয়ার পর এ দেশ থেকে বিতাড়নের শঙ্কায় থাকে। যদিও তারা অত্যন্ত কম বয়সে এখানে এসেছে। অতিমারীর কারণে ইমিগ্রেশনের এই স্থবিরতা আংশিক। ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সময় তার কর্মকর্তারা ইউএসসিআইএসের ওপর অধিক বোঝা চাপায়, অথচ তাদের অর্থ দিয়েছে অনেক কম। 

আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের গ্রেগ চেন বলেন, ২০২০ সালে ট্রাম্প প্রশাসন সত্যিকারার্থে ইউএসসিআইএসকে দেউলিয়ার পর্যায়ে নিয়ে এসেছিল। কংগ্রেস থেকে অর্থ দেয়া হয়, কিন্তু তারপরও ২০ শতাংশ পদ খালি থাকে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে অন্তত ব্যাকলগ কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তা ব্যবস্থাগত দিক থেকে অতিবোঝা হয়ে দেখা দিয়েছে। এটা কমানোর পূর্বে আরো কয়েক বছর সময় নিতে পারে। 


শেয়ার করুন