২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৩:২১:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


দেশকে বাজ লুহরম্যান
রেড সিতে এসে সিনেমা নিয়ে আমার ধারণা পাল্টে গেছে
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১২-২০২৩
রেড সিতে এসে সিনেমা নিয়ে আমার ধারণা পাল্টে গেছে বাজ লুহরম্যান


সৌদি আরবের জেদ্দায় চলছে রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় আসর। এই উৎসবে জুরি বোর্ডের প্রধান হিসাবে আছেন প্রধান আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন লেখক পরিচালক এবং প্রযোজক বাজ লুহরম্যান। তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জেদ্দা রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণকারী দেশ প্রতিনিধি আলমগীর কবির। 

প্রশ্ন: খ্যাতিমান পরিচালক হিসাবে সারা বিশ্বের মানুষ আপানাকে চেনে। এবার নতুনভাবে আপনাকে জানছে সবাই। অভিজ্ঞতা কেমন?

বাজ লুহরম্যান: সৌদি আরবে এসে সিনেমা নিয়ে আমার ধারণা পাল্টে গেছে। লরেন্স অফ আরাবিয়ার মতো ঐতিহাসিক সিনেমার প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেই সময় থেকে আরব বিশ্বের প্রতি আমার একটি স্থায়ী আবেগ ছিল। সর্বশেষ সৌদি আরব সফর করার পর আমি সত্যিই অনুপ্রাণিত ছিলাম যে এ অঞ্চলে অসাধারণ সব তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাণ উঠে আসছে। বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ কাড়তে যথেষ্ট প্রতিভা নিয়েই তারা বেড়ে উঠছে। আরব, এশিয়া ও আফ্রিকা জুড়ে সিনেমার মাধ্যমে এক ধরনের যোগাযোগ ঘটছে যার অংশ হতে পারাটা সম্মানের। এ উৎসবের মাধ্যমে এই সংযোগটা আরো বেশি প্রকাশিত এবং উদ্ভাসিত হতে শুরু করেছে। 

প্রশ্ন: বিচারক হিসাবে কাজ করাটা কেমন লাগছে? 

বাজ লুহরম্যান: আগে কখনো এমন কাজ করিনি। আমি কখনই দিনে তিন থেকে চারটি সিনেমা দেখতে বসে থাকতে বাধ্য হইনি। এটি আমাকে সাংবাদিক এবং বিচারকদের প্রতি আরও সহানুভূতি ও সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা খুবই ভালো একটি অভিজ্ঞতা, কারণ আমি এটি থেকে অবিশ্বাস্য রকম মানসিক শক্তি পেয়েছি। আর আপনি যে পরিমাণ সিনেমাই দেখেন না কেন, বিচার কার্যটা কিন্তু সহজ না। এটা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ সংবেদশীল একটি বিষয়। আমাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আসলে, সিনেমা সত্যিই শক্তিশালী এবং সত্যিই ভাল হতে পারে। যা সমাজ পরিবর্তনের নিয়ামক হিসাবে কাজ করে। 

প্রশ্ন: বিচার কার্যের পর সব সময়ই কিছুটা সমালোচনা হয়। বিশেষ করে যারা পুরষ্কার পান না তারা এই সমালোচনা করেন। এবার এই সমালোচনার সম্ভাবনা কতটুকু?

বাজ লুহরম্যান: বিচার কার্যের ফলাফলা ঘোষণার পর অনেকেই আমাকে নিয়েও সমালোচনা করবে। তবে আমি উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের আমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দেখাতে পারবো। লোকেরা যখন রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভাল নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন আমার উত্তর দেওয়া সত্যিই সহজ হয়। সবাইকে আমি বলে দেই-যান এবং সিনেমা দেখুন, তারপর এখানে কি ঘটছে সে সম্পর্কে আমার সঙ্গে কথা বলবেন। চলচ্চিত্র নির্মানের প্রত্যেকটা স্তরই বেশ আশ্চর্যজনক। তবে আমি এখানে জেদ্দায় দর্শকদের সঙ্গে বসে দেখেছি যে, প্রত্যেকটা বিষয় বেশ শক্তভাবে দর্শকদের মনে নাড়া দেয়। বিষয়টি আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। 

প্রশ্ন: গত বছর ‘এলভিস’ মুক্তির পর আপনার নতুন কাজের খবর পাওয়া যাচ্ছে না কেন? 

বাজ লুহরম্যান: আমি আসলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি সিনেমার বাইরে থিয়েটারেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। এখন এসব নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। এই কারণে নয় যে আমি কিছু লুকানোর চেষ্টা করছি। কোনো কিছুর পূর্ণাজ্ঞ প্রস্তুতি না নিয়ে যদি কিছু বলে ফেলি তাহলে পরিবেশ যেমনই হোক আমাকে সেটা করতে হবে। ডায়রিতে নিজের জন্য একটি সময়সীমা তৈরী করেছি, যেখানে বছরের শেষ নাগাদ কি করতে যাচ্ছি তার জন্য আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব। আমি কখনো হুটহাট সিনেমা তৈরি করি না। যে কোনো প্রজেক্ট হাতে নিলে কয়েক বছর সময় নেই। তাই ভুল হতে পারে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। সিনেমায় কখনো ভুল কাস্ট করা উচিত নয়। স্ক্রিপ্টের সঙ্গে মিল রেখে কাজ এগিয়ে নিতে হয়। ভুল হলে আপনারাই আবার প্রশ্ন করবেন কেন আমি এই পথে নেমেছিলাম। 

প্রশ্ন: আপনার কাজের প্রক্রিয়াগুলো আসলে কি রকম হয়?

বাজ লুহরম্যান: যখন আমি গ্যাটসবি (দ্য গ্রেট গ্যাটসবি) সিনেমা বানাই তখন ১৮ মাসের জন্য গ্রেসল্যান্ডে একটি অফিস নিয়ে ছিলাম। আমরা যখন সিনেমার শুটিং শুরু করি তখন ওখানকার সব কিছু ছিল আমাদের চেনা জানা। ফরে আনন্দের সঙ্গে আমরা কাজটি করতে সক্ষম হয়েছিলাম এবং বিশ্বজুড়ে সিনেমাটি প্রসংসিত হয়েছিল।

শেয়ার করুন