২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১১:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন


মতবিনিময় সভায় ছাবেদুর রহমান
শেখ হাসিনার কারণে পদ্মা সেতু হয়েছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১১-২০২২
শেখ হাসিনার কারণে পদ্মা সেতু হয়েছে বক্তব্য রাখছেন ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে পদ্মা সেতু হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কী এই পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক কষ্ট আছে। আমি যখন পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন কমিটি করি, তখন আমি যখন হেঁটে যেতাম তখন সবাই বলতো ওই দেখো পাগলা খোকা হেঁটে যাচ্ছে। গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি হলে প্রবাসী শরীয়তপুর সমিতি ইউএসএ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মান্নান ঢালির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন বাদলের পরিচালনায় সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার। অন্যদের মধ্যে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল জাবিউল্লাহ টসর, আহ্বায়ক বুলবুল মালিক, সমন্বয়কারী সৈয়দ এম জলিল, সংগঠনের উপদেষ্টা নূরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান, হুমায়ুন কবীর, সাইদুর রহমান রিপন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহমুদুল ইসলাম সোহাগ, বর্তমান চেয়ারম্যান আমির হোসেন সরদার, মোহাম্মদ লোকমান হোসেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে পদ্মা নেতু হয়েছে। আমি যখন পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ করি তখন আমি হেঁটে গেলে বলতো পাগলা খোকা যাচ্ছে। এক সময় কেউ বিশ্বাস করতো না পদ্মা সেতু হবে। কিন্তু আজকে সেই পাগলা খোকার পদ্মা সেতু হয়েছে। তিনি তার সংগ্রামী জীবনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, একসময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া, আর অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমান। প্রথম যখন ভ্যাট চালু করা হয় তখন আমি আন্দোলন করেছিলাম। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আমাকে ডেকে পাঠালেন, আমি গেলাম এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলাম। তিনি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে সাইফুর রহমানকে বলেছিলেন। আমার দাবির কারণে ১৩টি পণ্যের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ৫৬টি জেলার মধ্যে শরীয়তপুর সবচেয়ে অনুন্নত ছিলো। আজকে আমি বলতে পারি আগামী ২ বছরের মধ্যে শরীয়তপুর বাংলাদেশের মধ্যে এক নম্বর জেলা হবে। তিনি বলেন, শরীয়তপুরের রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ১৭শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই অর্থ রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি বলতে পারি আগামীতে শরীয়তপুরে বাঁশের কোনো সাঁকো থাকবে না। প্রতিটি উপজেলায় সরকারি অর্থে মসজিদ হচ্ছে, স্কুল-কলেজের উন্নয়ন হচ্ছে, শরীয়তপুরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, জাজিরা এবং শিবচরে তাঁতপল্লী হচ্ছে। পদ্মা সেতুর পাড়ে এগ্রো বেজড শিল্পকারখানা হবে।

তিনি বলেন, আমি ঘুষ খাই না। যে কারণে আমার এলাকায় ঘোষখোর কমকর্তাও রাখতে চাই না। ইতিমধ্যেই আমি ১৩ জন কর্মকর্তাকে বদলি করিয়েছি। সভাপতিসহ বিভিন্ন বক্তার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনআইডির বিষয়টি আমি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে আলাপ করবো। পুলিশের বিষয়ে বলেন, এই বিষয়টি আমার জন্য কঠিন। আপনারা যে বলেছেন, গ্রেফতার করলে অর্থ, ফেরত আনতে গেলেও পয়সা এবং জামিন আনতে গেলেও পয়সা লাগে এটা সত্যি। তবে প্রবাসীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে আমি কথা বলবো। তিনি আরো বলেন, ইয়াবা এবং ইয়াং গ্যাং আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। ইয়াবা আমাদের তরুণ সমাজ বা জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তবে এর জন্য বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে অভিভাবকদের। সমস্যা অনেক জায়গায়। তবে এক্ষেত্রে আপনাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও প্রধান অতিথি এবং তার স্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

শেয়ার করুন