২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০২:০৬:২৭ অপরাহ্ন


অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা রদে সুপ্রিম কোর্টের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের আহ্বান
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১২-২০২২
অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা রদে সুপ্রিম কোর্টের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীরা টেক্সাসের ব্রাউনসভিলের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের কাছে একটি অস্থায়ী শিবির


বাইডেন প্রশাসন গত ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টকে ১৯টি রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন রাজ্যের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাজার হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে রাজ্যগুলোতে বাধা দেয়ার বিরোধিতা করে এই আহ্বান জানায়।

তবে প্রশাসন ‘টাইটেল ফরটি টু’ নামে পরিচিত গাইডলাইনটি, ‘টাইটেল এইট অপারেশনে সুশৃঙ্খল রূপান্তরের’ অনুমতি দেয়ার জন্য অতিরিক্ত এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে।

একটি আদালতের নথিতে বলা হয়, সরকার স্বীকার করে যে টাইটেল ফরটি টু আদেশের সমাপ্তির ফলে সম্ভবত বিঘœ ঘটবে এবং বেআইনি সীমান্ত পারাপারের সাময়িক বৃদ্ধি ঘটবে। সরকার কোনোভাবেই এই সমস্যার গুরুত্ব কমিয়ে দেখতে চায় না। কিন্তু এই অভিবাসন সমস্যার সমাধান অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়ে প্রয়োজনীয় জনস্বাস্থ্যের ন্যায্যতা বাড়ানো যায় না। প্রশাসন আরো বলেছে, সরকার কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত অভিবাসন আইনের ওপর নির্ভর করতে প্রস্তুত যা টাইটেল এইট নামে পরিচিত। এটি সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বিভাগ এবং সীমান্ত সুরক্ষার ইতিহাসজুড়েই রয়েছে।

টাইটেল এইট-এর অধীনে যারা কাগজপত্র ছাড়াই সীমান্তে পৌঁছেছেন বা বন্দরগুলির মধ্য দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছেন, তাদের ইমিগ্রেশন আদালত দ্বারা সিদ্ধান্ত না নিয়ে তাদের মামলা প্রত্যাহার করা যেতে পারে। তাছাড়া যদি কোনো অভিবাসন-প্রার্থী আশ্রয় দাবি করতে চান, তবে অপসারণ বা নির্বাসনের আগে একজন আশ্রয় কর্মকর্তার দ্বারা তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।

ফেডারেল আইন অন্য দেশের লোকদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাইতে অনুমতি দেয় যদি তারা নিজ দেশে নিপীড়নের ভয় পায়। তাদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রে উপস্থিত থাকতে হবে এবং মোট পাঁচটি কারণের মধ্যে একটিতে নিপীড়নের ভয় প্রমাণ করতে হয়। যেমন- জাতি, ধর্ম, জাতীয়তা, রাজনৈতিক মতামত বা একটি নির্দিষ্ট সামাজিক শ্রেণির সদস্যতা। এছাড়াও পাঁচটি বিভাগের মধ্যে অস্পষ্টভাবে যৌনতা বা বর্ণ বৈষম্যের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে টাইটেল ফরটি টু প্রয়োগ করা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এই পদক্ষেপের আর প্রয়োজন নেই এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বলেছে, তারা এই নীতির অবসান ঘটাতে চায়।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার অর্থ এই নয় যে, সীমান্ত খোলা রয়েছে।

শেয়ার করুন