২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


দেশকে বিজরী বরকতউল্লাহ
অর্থের চেয়ে ভালো কাজ গুরুত্বপূর্ণ
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৩-২০২৩
অর্থের চেয়ে ভালো কাজ গুরুত্বপূর্ণ বিজরী বরকতউল্লাহ


১৯৯৩ সালে হুমায়ূন আহমেদের লেখা ও মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ প্রযোজিত ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক দিয়ে বিজরী বরকতউল্লাহর আনুষ্ঠানিক অভিনয়ে অভিষেক। যদিও ১৯৮৮ সালে ‘সুখের ছাড়পত্র’ নামে একটি নাটকে তাকে ছোট্ট একটি চরিত্রে দেখা গেছে। ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘বিঞ্জ’-এ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ওয়েব সিরজি ‘দ্য সাইলেন্স’। মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির।  

প্রশ্ন: ইদানিং ক্যামেরার সামনে অনেক কম দেখা যায়। কিভাবে সময় কাটে আপনার?

বিজরী বরকতউল্লাহ: আসলে যে মানের কাজের আশা করি সেরকম কিছু না পাওয়ার কারণেই কম দেখা যায় ক্যামেরার সামনে। তবে আমি সব সময়ই ভালো কাজের আশায় থাকি। বাবা শিখিয়েছিলেন, কখনো অর্থের পেছনে ছুটবে না। সে কথাটি প্রতি মুহূর্তে স্মরণ করি আমি। অর্থের চেয়ে ভালো কাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

প্রশ্ন: ওয়েব সিরিজ ‘দ্য সাইলেন্স’ নিয়ে বলুন

বিজরী বরকতউল্লাহ: ‘দ্য সাইলেন্স’ মূলত একটা খেলার গল্প। খেলোয়াড় অয়ন ও রুবি। কিন্তু কেমন সে খেলা, তা বোঝা যাবে সিরিজটি দেখার পর। অতিভোজন, হিংসা, ক্রোধ, অহংকার, লোভ, লালসা, অলসতা- এগুলোই ’দ্য সাইলেন্স’-এর বিষয়। অন্য রকম ভালোবাসার গল্পও অবশ্য আছে এতে।

প্রশ্ন: এই সিরিজের ‘আফরোজা’ চরিত্রে দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?

বিজরী বরকতউল্লাহ: অদ্ভূত এক চরিত্র আফরোজা। কখনও সে প্রচণ্ড রেগে দিগ্বিদিক ছুটে যায়, কখনও কূটকৌশলে সফল হয়ে পাগলাটে হাসি হাসে। আবার কখনও দর্শকের সামনে চোখের জাদু দেখায়। গল্প ও চরিত্র মিলিয়ে সিরিজটি বেশ মজার- এমন কথা শোনা গেছে অনেকের মুখে। সিরিজটির দৃশ্যধারণের সময় সবাই বেশ পরিশ্রম করেছেন। এখন যখন দর্শকদের কাজটি ভালো লাগছে বলে শুনছি, তখন সব পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলেই মনে করি।

প্রশ্ন: প্রতিটি কাজেই কি গল্প ও চরিত্র নিয়ে আলাদা করে ভাবেন?

বিজরী বরকতউল্লাহ: ভালো ওয়েব সিরিজ, নাটক কিংবা টেলিছবিতে সবার আগে প্রয়োজন ভিন্নধাঁচের গল্প। সেই সঙ্গে চরিত্রের গভীরতা থাকা চাই। হাস্যরসাত্মক গল্পেও চরিত্র গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ জন্য কোনো কাজের আগে গল্প ও চরিত্র নিয়ে ভাবি। সব সময় চ্যালেঞ্জিং চরিত্র খুঁজি, নিজেকে ভাঙার জন্য এটি জরুরি।

প্রশ্ন: টিভি নাটকে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন মনে হয়...

বিজরী বরকতউল্লাহ: বিষয়টি আসলে সে রকম নয়। আমার কাছে টিভি নাটকের যে ধরনের গল্প আসছে তাতে নতুনত্ব নেই। যুতসই চরিত্রও পাচ্ছি না। এ কারণে সব সময় টিভিতে কাজ করছি না। চলতি মাসেও নাটকের তিনটি চিত্রনাট্য এসেছে। অবাক লাগে, ২০২৩ সালে এসে এই চিত্রনাট্যে কীভাবে কাজের উদ্যোগ নেন নির্মাতা বা প্রযোজকরা। সেগুলো আবার চ্যানেল থেকে পাসও করা। মানুষের রুচি ও মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে, ভাবনার জগৎ খুলেছে। এখনও যদি অন্য রকম স্ট্ক্রিপ্ট নিয়ে না আসি তাহলে আগামীর পথ পাড়ি দেব কীভাবে?

প্রশ্ন: নতুন নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পীদের কাজ কেমন লাগে?

বিজরী বরকতউল্লাহ: অনেক নির্মাতা জীবনঘনিষ্ঠ কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছেন। আমি নিজেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পছন্দ করি। নতুনদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি। এই সময়ের অনেক নির্মাতা বুঝেশুনে নির্মাণে এসেছেন। ইউটিউব ও ওটিটির কল্যাণে অনেক অভিনয় শিল্পীর কাজই দেখার সুযোগ হয়। কোথায় ছিলেন তাঁরা এত দিন!

প্রশ্ন: এই সময়ের ব্যস্ততা কী নিয়ে?

বিজরী বরকতউল্লাহ: ওটিটির কাজ নিয়েই বেশি ব্যস্ত সময় কাটছে। আগামী মাসে ঈদের নাটকের কাজ শুরু করব। এ ছাড়া আসছে স্বাধীনতা দিবসের জন্য ‘মানুষ’ নামে একটি নাটকে অভিনয় করেছি। এটি পরিচালনা করেছেন হাসান মোর্শেদ।

শেয়ার করুন