বিশ্বের লাঞ্চিত,
বঞ্চিত, নীপিড়িত নারীর মুক্তি, নারীর মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত
করার প্রত্যয়ে নারী সত্ত্বা, নারী
মুক্তিতে উদযাপনের দিন হিসেবে ৮
মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন
হয়ে আসছে। অর্ধেক আকাশের জন্য পৃথিবীর নারীর
লড়াই আজ থেকে নয়
বরং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে
বঞ্চিত ও অবহেলিত নারীরা
তাদের অধিকার আদায়ে লড়াই করছেন। সংসারে
বা কর্মক্ষেত্রে নারী সমাজ আজ
সাম্যটুকুর জন্য সমাজকে জানিয়ে
তুলেছে। গত ৮ মার্চ
বুধবার জ্যাকসন হাইটসের মামাস পার্টি হলে এসএসসি ব্যাচ
বাংলাদেশ ৮৬ এর যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা চ্যাপ্টারের উদ্যোগে উদযাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারি দিবস।
৮৬ ব্যাচের বন্ধুদের উদ্যোগে নারী বন্ধুদের শ্রদ্ধা
জানাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি মধ্যরাতে শেষ হয়। প্রায়
তিন যুগ আগে ১৯৮৬
সালে সারা বাংলাদেশে থেকে
যারা এসএসসি পাস করেন, তারা
বর্তমানে বিভিন্ন দেশে ভিন্ন পেশায়
রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে ওপরের সঙ্গে
যোগাযোগ করে এসএসসি ব্যাচ
বাংলাদেশ ৮৬ যুক্তরাষ্ট্র কানাডার
মডারেটর কানিজ ফাতেমা শিল্পির একান্তিক প্রচেষ্টায় বন্ধুরা এক হয়েছেন এক
প্লাটফর্মে।
বন্ধুতো বন্ধুই, এদের কখনো মন থেকে ভুলা যায় না, আর জীবন সংগ্রামের ব্যস্ততার কারণে হয়তো নিয়মিত খোঁজ- খবর রাখা হয়ে উঠে না। কিন্তু দিন শেষে এরাই গেঁথে থাকে অন্তরে। বাস্তবে সচরাচর দেখা না মিললেও স্মৃতির পাতায় আজীবন রয়ে যায় অমলিন। প্রায় তিন যুগ পর এসএসসি ব্যাচ ৮৬ শিক্ষার্থীরা বর্তমানে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বিভিন্ন পেশায় যুক্ত থাকলেও পরিচয় দিতে ভালবাসেন এসএসসি ব্যাচ ’৮৬ এর গর্বিত সদস্য হিসেবে। পুরানো বন্ধু মানে হারানো দিন, কিন্তু স্মৃতির পাতায় আজও রঙিন। দীর্ঘ এতোবছর পর আবারও সবাইকে পেয়ে আনন্দে আনন্দিত ও আবেগ আপ্লুত তারা। খাবারের টেবিলে আলোচনায় নিজেদের পুরানো স্মৃতি তুলে ধরেন একে একে সবাই। ডিনারে শেষে স্মৃতি চারণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
“পৃথিবীতে
যা কিছু মহান সৃষ্টি
চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে
নারী অর্ধেক তার নর।”কাজী
নজরুল ইসলাম।
বর্তমান
সভ্যতার অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে নারী ও পুরুষের
সমান অবদান অনস্বীকার্য। নারীকে পেছনে ফেলে পুরুষের একক
অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমান সমাজের উন্নয়নের কথা কল্পনা করা
যায় না। কিন্তু যুগ
যুগ ধরে নারীরা অবহেলিত
ও শোষিত হয়ে আসছে পুরুষ
শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় সামাজিক
কুসংস্কার ও বৈষম্যের বেড়াজালে।
“সাম্যের
গান গাই-
আমার
চোক্ষে পুরুষ-রমনী কোন ভেদাভেদ
নাই।”
কাজী
নজরুল ইসলাম।
আন্তর্জাতিক
নারী দিবস যেন শুধু
একটি দিনের জন্য না হয়
বরং প্রতিটি দিন হোক নারী
জন্য নারীর সমঅধিকার আর উপযুক্ত সম্মানের
জন্য।