২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৫:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


‘লুটেরা ও উচ্ছিষ্টভোগীদের কাছে দেশপ্রেম শিখবো না’
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৪-২০২৩
‘লুটেরা ও উচ্ছিষ্টভোগীদের কাছে দেশপ্রেম শিখবো না’ সিপিবি বিক্ষোভ সমাবেশ


সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার শাসক জোটের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, লুটেরা ও উচ্ছিষ্টভোগীদের কাছে মানুষ দেশপ্রেমের শিক্ষা নিতে চায় না। তিনি বলেন, যারা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং রুটি-রুজির স্বাধীনতা হরণ করেছে আজ তারাই ‘দেশ গেল’ মায়াকান্না কাঁদছে। দেশের মানুষের সব সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে তারা সংবিধানকেই  করেছে স্বৈরশাসনের ঢাল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, র‌্যাব হেফাজতে ‘মৃত্যুর’ তদন্ত, বিচার এবং খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। জলি তালুকদার আরো বলেন, একদিন এসব অপরাধের হোতাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। 

গত ৩১ মার্চ শান্তিনগর বাজারে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিবি শান্তিনগর শাখার সভাপতি হযরত আলীর সভাপতিত্বে এবং সহকারী সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সিপিবি সদস্য মঞ্জুর মঈন, পল্টন থানা কমিটির সদস্য মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, উদীচী শান্তিনগর শাখার সহসভাপতি রাশিদা কুদ্দুস রানু, শ্রমিকনেতা জাহিদ নগর, ফজলু মণ্ডল, ছাত্র ইউনিয়ন পল্টন থানা সংসদের সভাপতি মিঞা মো. জুয়েল প্রমুখ। 

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জনৈক দিনমজুরকে উদ্ধৃত করে সংবাদপত্রে প্রকাশিত ‘মাছ-মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব’ সংবাদের জেরে গ্রেফতার সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের মুক্তি, র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার,  অবিলম্বে বাজার নৈরাজ্য বন্ধ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বাকস্বাধীনতা হরণ ও সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ বন্ধ, র‌্যাবসহ নিরাপত্ত বাহিনীর হেফাজতে সব ‘মৃত্যু’ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতি শ্রমিকনেতা হযরত আলী বলেন, দেশে আধাপেট খাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। প্রকৃত আয় কমে যাওয়া এবং খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম চরম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবন মারাত্মক সংকটে পড়েছে। সরকার রেশনিং ও পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর বদলে বাজার সিন্ডিকেটের পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করছে। তিনি আরো বলেন, একদিকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বাজার আজ মধ্যস্বত্বভোগী এবং সিন্ডিকেটের দখলে অন্যদিকে স্বৈরাচারী সরকার মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ এবং গণ-আন্দোলন দমনে ফ্যাসিবাদী নির্যাতনকে হাতিয়ার করেছে। তিনি বলেন, ইতিহাসের শিক্ষা হলো, গুম-খুন, দমনপীড়ন, নির্যাতন করে কোন স্বৈরশাসকের মসনদ চিরস্থায়ী হয়নি। বর্তমান শাসকরাও গণ-আন্দোলনের সামনে টিকবে না।

সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ ‘দাম কমাও, জান বাঁচাও’, বাকস্বাধীনতা হরণ ও সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ বন্ধ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে সব ‘মৃত্যুর’ বিচার বিভাগীয় তদন্ত, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা শহরের পাড়া মহল্লায় বিক্ষোভ সমাবেশ পথসভা, পদযাত্রা কর্মসূচি পলনের ঘোষণা দেন। তারা দেশের আপামর জনসাধারণকে গণ-আন্দোলনে শামিল হয়ে চলমান দুঃশাসনের অবসান এবং ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থান রচনার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন