২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১০:৩০:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


র‌্যাবের কিছু কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা ‘অত্যন্ত গর্হিত কাজ’
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৩-২০২২
র‌্যাবের কিছু কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা ‘অত্যন্ত গর্হিত কাজ’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে র‌্যাব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় কোন কারণ ছাড়াই এ বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ‘অত্যন্ত গর্হিত কাজ।’ ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অপরাধীদের রক্ষা করে ও তাদের দেশে আশ্রয় দেয় এবং কোন প্রকার অপরাধ ছাড়াই আমাদের দেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এটাই তাদের চরিত্র। কাজেই তাদের ব্যাপারে এ ছাড়া আমি আর কি বলতে পারি।’- কথাগুলো বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় এ কথা বলেন। খবর বাসস’র। 

শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধাপরাধী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের আশ্রয় এবং তাদের নাগরিকত্ব দিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নারী ও শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করে সে সব খুনিদের ফেরত পাঠাতে তাঁর সরকার যুক্তরাষ্টের বিচার বিভাগের কাছে বার বার আবেদন জানিয়েছে। তাদেরকে ফেরত পাঠানোর পরিবর্তে তাদের দেশে তারা খুনিদেরকে আশ্রয় দিয়েছে। 

সরকার প্রধান বলেন, তাঁর সরকার কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে যে কোন আইন শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্য, র‌্যাব বা পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তুু এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, যে তাদের কোন বাহিনী অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকলেও তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনা। আবার তারাই কোন কারণ ছাড়াই আমাদের কিছু র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।’ 

যুক্তরাষ্ট্রে গুলি করে এক শিশুকে এবং বুটের পাড়া দিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যা করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইন শৃংখলা বজায় রাখার নামে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার যে কোন সদস্য অপরাধ করলেও তাদের বিরুদ্ধে তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনা। বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে যে কেউ অপরাধ করলে তার ব্যবস্থা নেয়া হয়। অথচ হলি আর্টিসান ক্যাফে হামলাসহ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে র‌্যাবের সফলতায় কেন যুক্তরাষ্ট্র কষ্ট পেল।

তিনি বলেন, ‘লজ্জাজনক বিষয় হচ্ছে যে বাংলাদেশের কিছু মানুষ দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তারা অপরাধী। তারা হয় চাকরি হারিয়েছে অথবা অপরাধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী র‌্যাব সদস্যদের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। সমাজে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তিনি র‌্যাব ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে র‌্যাবের অবদান অপরিসীম। দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজমান থাকায় আমরা প্রতিটি উন্নয়ন পরিকল্পনা নির্বিঘ্নে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’ সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক, সুন্দরবনে জলদুস্য ও বনদস্যু এবং দক্ষিণাঞ্চলে চরমপন্থী নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রী র‌্যাবের প্রশংসা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সুন্দরবনের বনদস্যু ও জলদস্যু এবং দক্ষিণাঞ্চলের চরমপন্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে। আত্মসমর্পণের পর সরকার তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তারা এখন তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সুখে-শান্তিতে জীবন কাটাচ্ছে। সরকার প্রধান আরো বলেন, র‌্যাব এখন সড়ক, আকাশ ও নৌ- তিন পথেই অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমরা প্রতিটি বাহিনীকে উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দেশের মানুষকে একটি সুন্দর ও উন্নত জীবন উপহার দেয়ার লক্ষ্যে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।


 

শেয়ার করুন