৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০১:০২:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


দেশকে রাজেকুজ্জামান রতন
দেশ এক সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে আছে
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১০-২০২৩
দেশ এক সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে আছে রাজেকুজ্জামান রতন


বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, দেশ এক সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে আছে। সহসাই এই পরিস্থিতি উত্তরণের কোন সম্ভাবনা নেই। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচনের ঝুঁকি নেয়া অসম্ভব, বিরোধীদের পক্ষে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন করা অসম্ভব। রাজনীতিতে এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আতঙ্ক গ্রাস করেছে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিদেশী শক্তির প্রভাব। ফলে নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়েও একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকায় এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

রাজেকুজ্জামান রতনের জন্ম বাংলাদেশের উত্তরের জেলা বর্তমানে বিভাগীয় শহর রংপুরে। সরকারি চাকুরীজীবী বাবা ও গৃহিণী মায়ের পরিবারের ৭ জন সন্তানের মধ্যে তিনি ৪র্থ। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া ও বেড়ে উঠা তার। রংপুর জিলা স্কুল থেকে ১৯৭৮ সালে প্রথম বিভাগে এস এস সি এবং ১৯৮০ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচ এস সি পাশ করে ১৯৮১ সালে ভর্তি হন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে। রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি তার এই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েই। সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টে যুক্ত হন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি এক পর্যায়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কৃষি অনুষদ থেকে অনার্স শেষ করে এমএস করাকালীন সময়ে তিনি ন্যাশনাল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ফেলোশিপ পান। পরবর্তীতে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ৮ম বিসিএসে উত্তীর্ণ হন। কিন্তু উত্তাল রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত থাকায় তিনি সরকারি চাকুরিতে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার হলে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে সম্মেলনে তিনি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্র রাজনীতি শেষ করে তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ এর চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৬ সালে তিনি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শ্রম আইন সংশোধন কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি, শ্রম আদালতের শ্রমিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র ব্যবস্থাপনায় তিনি ইতালির তুরিনে অবস্থিত আইটিসিতে  ইনফরমাল ইকনমি, লেবার মাইগ্রেসন এবং মাইগ্রেসন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে তিন বার প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন। শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল গিয়েছেন। সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিনি প্যারিসে ইউনেস্কোর সাথে মতবিনিময়ে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ন্যাশনাল কো অরডিনেসন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন এর প্রবাসী শ্রমিক কমিটিতে সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত কনভেনশনের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০২২ সালের বাসদ এর কংগ্রেসে তাঁকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তিনি বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ এর মুখপাত্র ভ্যানগার্ড পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশ: কি মনে হচ্ছে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি? 

রাজেকুজ্জামান রতন : দেশ এক সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে আছে। সহসাই এই পরিস্থিতি উত্তরণের কোন সম্ভাবনা নেই। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচনের ঝুঁকি নেয়া অসম্ভব, বিরোধীদের পক্ষে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন করা অসম্ভব। রাজনীতিতে এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আতঙ্ক গ্রাস করেছে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিদেশী শক্তির প্রভাব। ফলে নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়েও একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। জনমনে আতংক আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। যা ভবিষ্যতের জন্য খারাপ ফল নিয়ে আসবে। 

দেশ: বলা হচ্ছে অবস্থাতো এমন যে অর্থনৈতিক থেকেও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে দেশ? কি বলেন এব্যাপারে.. 

রাজেকুজ্জামান রতন : দেশের রিজার্ভ কমছে প্রতি মাসে ১ বিলিয়ন ডলার হারে, সরকারি হিসেবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি ছাড়িয়ে গেছে বাস্তবে যা আরও বেশি। আর্থিক সংকট মেটাতে টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়ার কারণে সংকট আরও বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। রেমিটেন্স কমে যাওয়া এবং টাকা পাচার দুটোই  বাড়ছে। অর্থনৈতিক দুর্বলতা এবং সংকট ক্রমাগত ঘনীভূত হচ্ছে- যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবনে মারাত্মকভাবে। আর্থিক নীতি ও দুর্নীতির কারণে ব্যাংকগুলো একের পর এক দুর্বল হয়ে পড়ছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও সংকটের হাতছানি। যা সামগ্রিক অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

দেশ: কিন্তু দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। নিজেদের অর্থায়নে বলেন বা সামর্থেই বলেন অনেক উন্নয়ন প্রকল্প শেষ হয়েছে। এজন্য হয়তো সাময়িক অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ বলে কারো কারো অভিমত। আপনি কি বলেন.. 

রাজেকুজ্জামান রতন : উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সব সরকারই দাবি করেন তাদের সময়ে উন্নয়ন হয়েছে। দরিদ্র দেশের ক্ষমতাসীন দলগুলোর জনগণকে প্রভাবিত করার এই কৌশল অনেক পুরনো। কিন্তু মানুষ দেখতে চায় উন্নয়নের সুফল তাদের জীবনে কতটুকু?  নিজেদের অর্থায়নে অথবা বিদেশী ঋণে যেভাবেই হোক না কেন, উন্নয়নের নামে লুণ্ঠন চলছে কিনা? দ্রব্যমূল্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, কর্মসংস্থানের উন্নতি কতটুকু হয়েছে? এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উন্নত হচ্ছে কিনা আর শাসক গোষ্ঠীর দমন পীড়নের মাত্রা কেমন? এসব কোন ক্ষেত্রেই সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপের পিছনে লুটপাট, দুর্নীতি, টাকা পাচার, সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ এবং জবাবদিহি না থাকা প্রধান কারণ। 

দেশ: দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি উঠেছে বিরোধী দলগুলি পক্ষ থেকে। কিন্তু এনিয়ে জনগণের মধ্যে কি কোনো ধরনের সাড়া বা আগ্রহ আছে বলে মনে করেন?

রাজেকুজ্জামান রতন: দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি এখন জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। অতীতের সকল নির্বাচন প্রমাণ করে যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে সব সময় ক্ষমতাসীন দলই জিতেছে বা জিতে নিয়েছে। দেশে ১১ টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে যে চারটি নির্বাচনকে আপাত গ্রহণযোগ্য বলা হয় সে সব কয়টিই দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয়েছিল। তাই জনগণ মনে করে সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক হতে হবে আর নির্বাচনে আস্থা অর্জন করতে হলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। 

দেশ: ..সাড়া বা তাদের মধ্যে যদি আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে দাবি আদায়ে সর্বস্তরের জনগণ কেনো ঝাপিয়ে পড়ছে না, যেমনটি নব্বইয়ের গণআন্দোলনে দেখা গেছে..। 

রাজেকুজ্জামান রতন : আমাদের দেশের অতীত আন্দোলনের ইতিহাস থেকে দেখা যায় জনগণের ব্যাপক সমর্থন থাকলেও জনগণ সবসময় রাস্তায় নেমে আসে না। আর যখন নেমে আসে তখন সরকার না হটিয়ে রাস্তা ছাড়ে না। নব্বই এর আন্দোলন সম্পর্কে যাদের জানা আছে তারা দেখেছেন এই আন্দোলনে বারবার হতাশা এসেছে, বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে, প্রতিটি হত্যার পর মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। নানা উত্থান পতনের পর  বিজয় এসেছে ৯০ সালের ডিসেম্বরে। ফলে বিক্ষুব্ধ জনগণ সব কিছুই দেখছে, বুঝছে এবং নিজেদের মত করেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। জনগণ রাজপথের হানাহানি দেখতে চায় না, তারা একটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছে। 

দেশ: আসলে জনগণ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অনেক সন্তুষ্ট। এজন্য কি গণতন্ত্র বা অন্য ইস্যুতে তারা আগ্রহী না। কি বলেন এ ব্যাপারে.. 

রাজেকুজ্জামান রতন : জনগণ সন্তুষ্ট কি না তা পরীক্ষা করার উপায় হলো নির্বাচন। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণের মতামত বুঝতে পারা যায়। কারসাজির নির্বাচন বা গায়ের জোরের নির্বাচন দিয়ে জনমতের প্রতিফলন ঘটে না। জনগণের প্রতিদিনের আগ্রহ দ্রব্যমূল্য নিয়ে, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, শিক্ষা, কাজের সুযোগ ও মজুরি নিয়ে। এসব ব্যাপারে জনমনে যে অসন্তোষ তৈরি হয় তা প্রকাশের ভাষা কি? সাধারণ জনগণের তো একটা ভোট দেয়া ছাড়া আর কোন পথ জানা নেই। তাই তারা চুপ করে থাকে। চুপ করে থাকা মানে কিন্তু সম্মতি নয়। 

দেশ: বাম রাজনৈতিক দলগুলিও নিজেদের মধ্যে তেমন জোরালো ঐক্যের ভিত তৈরি করতে পারেনি বলে বলা হয়। ফলে তারাও জনগণকে আন্দোলনে মাঠে নিয়ে আসতে পারছে না বা তাদের ওপরও আস্থা উঠে গেছে..বিষয়টি কি সেরকম? 

রাজেকুজ্জামান রতন : বামপন্থীরা দুটো সমস্যায় পড়ে আছে। একটি হলো আদর্শগত অন্যটি সাংগঠনিক দুর্বলতা। কোন কোন বামপন্থী দল মনে করে পুঁজিবাদী দলের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা জনগণের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে। আবার কেউ মনে করে তাদের স্বতন্ত্রভাবেই  আন্দোলন করা উচিত। যারা পুঁজিবাদী দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয় তারা বামপন্থী হিসেবে নিজেদের ভূমিকা আর পালন করতে পারে না। ফলে বামপনস্থীদের শক্তি ক্ষয় হতে থাকে।  

দেশ: আপনি কি মনে করেন আপনারাসহ যারা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইছেন তারা এদাবি আদায়ে খুব সহসা সফল হবেন? 

রাজেকুজ্জামান রতন: আমাদের দেশের বিবেচনায় নিরপেক্ষ সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম পূর্বশর্ত। এটা ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। ফলে এই দাবিতে আন্দোলন চালাতেই হবে যতদিন সফল না হই।

শেয়ার করুন