২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৬:৩৭:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


আনসারকে গ্রেফতারের ক্ষমতা : বামজোটের নিন্দা
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২৩
আনসারকে গ্রেফতারের ক্ষমতা : বামজোটের নিন্দা


বাংলাদেশ আনসার ব্যাটেলিয়নকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দিয়ে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন বামজোটের পক্ষ থেকে।  বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২৩ অক্টোবর সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আনসার ব্যাটেলিয়নকে আটকের ক্ষমতা দিয়ে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করেন এবং চলতি সংসদ অধিবেশনেই বিলটি পাশের আয়োজন চলছে। এই আইন পাশ হলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের সময় আনসার সদস্যরা নতুন ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ পাবেন- যা মূলত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর প্রয়োগ করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার অশুভ উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। 

প্রস্তাবিত বিলের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যের সামনে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে অপরাধীকে আটক করে অবিলম্বে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবে এবং ক্ষেত্রমতো জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি; কোনো স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি এবং মালামাল জব্দ করতে পারবে।’ এটা মূলত ব্যাক্তি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, আনসার ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হয়েছিল পুলিশকে সহায়তা করার জন্য, পুলিশের কোন প্যারালাল বাহিনী হিসেবে নয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরও একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতা দখলের অসৎ উদ্দেশ্যে এই বিল পাশের আয়োজন করছে সরকার। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের ক্ষমতাকাঠামোর সম্প্রসারণ এবং অবৈধভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার লক্ষ্যেই সংসদে এই বিল উত্থাপন করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই বিল প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। বিবৃতি দেন  বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি ) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।

শেয়ার করুন