২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ১১:২৮:৪৪ অপরাহ্ন


রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন নির্বাচন
পুনরায় মাছুম সভাপতি ও মুনির সম্পাদক
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১২-২০২৩
পুনরায় মাছুম সভাপতি ও মুনির সম্পাদক সভাপতি ফখরুল ইসলাম মাছুম ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মনির


প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মাছুম এবং পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন নূরে আলম মনির। রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে। ভোট গ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমিন খান জাকির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এই নির্বাচন কমিশনের সদস্য বাবুল চৌধুরী, আলমগীর হোসেন, সংগঠনের উপদেষ্টা, প্রার্থী এবং সমর্থকবৃন্দ। এছাড়াও ছিলেন কমিউনিটির সর্বস্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের নির্বাচন অন্যান্য সংগঠনের চেয়ে ভিন্ন। এই সংগঠনের উপদেষ্টা এবং কার্যকরি কমিটির সদস্যরাই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। যে কারণে নির্বাচন নিয়ে উচ্ছ্বাস এবং উদ্দীপনা অন্যান্য সংগঠনের চেয়ে ভিন্ন। করতে হয় না সভা-সমাবেশ। ছাপানো হয় না পোস্টার এবং ব্যানার। তবে ফোনে ভোট প্রার্থনা এবং গণসংযোগ রয়েছে। ১০ ডিসেম্বর ছিল সারা দিন বৃষ্টি। সেই সঙ্গে ঠান্ডা। টানা মসুলধারে বৃষ্টির কারণে অনেক প্রার্থীর মধ্যেই শঙ্কা ছিল। তাদের ভোটাররা আসবেন কি না। কিন্তু তাদের সেই শঙ্কাকে দূর করে ৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ৭৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, যা ছিল সত্যি অবিশ্বাস্য। মাত্র ১ জন ভোটারের অনুপস্থিতি! ৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ২০ জন ছিলেন উপদেষ্টা এবং বাকি ৫৫ জন কার্যকরি কমিটির সদস্য। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় মাত্র দুটি পদে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন বর্তমান সভাপতি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মাছুম এবং সাইফুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মনির এবং সোহেল গাজী।

রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন প্রবাসের একটি আদর্শিক সংগঠন। তাদের মধ্যে সৌহর্দ্য সম্প্রীতি রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন এলে দুটি ধারা পরিলক্ষিত হয়। সেই ধারায় গত নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। একধারায় ছিলেন মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মাছুম এবং নূরে আলম মনির। আরেক পক্ষে ছিলেন সাইফুল ইসলাম এবং সোহেল গাজী। নির্বাচন কমিশনের তিন সদস্য সন্ধ্যায় ৭টা নির্বাচন শুরু করেন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে এবার ২০ জন উপদেষ্টাই উপস্থিত ছিলেন এবং ভোটাধিবার প্রয়োগ করেন। কার্যকরি কমিটির ৫৫ জন সদস্যের মধ্যে ৫৪ জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নবান্ন পার্টি হল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। যেসব উপদেষ্টা এবং কর্মকর্তারা কালেভদ্রে আসেন, নির্বাচনের দিন তারা সন্ধ্যা থেকে ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ঠাঁই বসে থাকেন। অন্যরকম এক আনন্দ এবং উচ্ছ্বাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনা সম্পন্ন করেন।

নির্বাচন কমিশন ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। সেই ফলাফল অনুযায়ী মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মাছুম ৪০ ভোট পেয়ে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হলেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে নূরে আলম মনির ৩৮ ভোট পেয়ে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সোহেল গাজী পেয়েছেন ৩৪ ভোট। ২টা ভোট নির্বাচন কমিশন বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে। মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মাছুম এবং নূরে আলম মনির ২০২৪-২০২৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

নবনির্বাচিত সভাপতি ফখরুল ইসলাম মাছুম ভোটার এবং সমর্থক এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যকরি কমিটির সদস্য সংখ্যা ২৯ এবং উপদেষ্টা পরিষদের সংখ্যা ৯। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কার্যকরি কমিটি গঠন করা হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কার্যকরি কমিটির সভা অথবা সাধারণ সভায় কার্যকরি কমিটি এবং উপদেষ্টা পরিষদের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশন এবং অপর দুই সদস্য একটি সুষ্ঠু এবং সুন্দর নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য কার্যকরি কমিটি এবং ভোটারদের ধন্যবাদ জানান।

উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফার্মাসিস্ট রফিকুর রহমান, ডা. মইনুল ইসলাম মিয়া, নার্গিস আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজুল ইসলাম পাটোয়ারি, হারুণ ভূইয়া, মোর্শেদ আলম, মোহাম্মদ আলম, মনিরুজ্জামান মজুমদার, নূর আলী স্বপন, জসীম এ রাসেল, প্রফেসর শাহাদাত হাসান, মজিবুর রহমান মিয়া, মোস্তফা হোসেন মুকুল, ফারুক হোসেন মজুমদার, ডা. ধনঞ্জয় সাহা, মনির হোসাইন, সাবেক সভাপতি মামুন মিয়াজি, সাবেক নির্বাচন কমিশনার তপন জামান, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ বি সিদ্দিক, ফার্মাসিস্ট মোস্তাক আহমেদ, মতলব সমিতির সাবেক সভাপতি সাকিল মিয়া প্রমুখ।

শেয়ার করুন