২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৮:২০:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


বিয়ানীবাজার সমিতির সাধারণ সভায় ছিল উত্তেজনা, সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১২-২০২৩
বিয়ানীবাজার সমিতির সাধারণ সভায় ছিল উত্তেজনা, সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ সাধারণ সভায় মঞ্চে নেতৃবৃন্দ


কথায় বলে শেষ ভাল যার সব ভাল তার। বিয়ানীবাজার সমিতির মান্নান-মাহবুব পরিষদের সেক্রেটারি নাজমুল হক মাহবুবের ছিল শেষ সাধারণ সভা। সাধারণ সভার প্রারম্ভেই বিজয়ের মাসে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন না করা, নিউইয়র্ক স্টেট কর্তৃক অনুমোদিত সমিতির নামের পূর্বে ব্যানারে বাংলাদেশ লেখা উল্লেখ না করা নিয়ে সর্বজনীন বিষয়কে উপেক্ষা করার জবাবের প্রশ্নে হোঁচটের মধ্যেই সেক্রেটারি সভার কাজ আরম্ভ করেন। সাধারণ সভা চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতে সভার কাজ চলে। টান টান উত্তেজনা, উত্তপ্ত কথা, সাবেক সভাপতিদের মঞ্চে যেতে অস্বীকার, মৃদু বাক-বিতন্ডা, বিক্ষিপ্ত সভাস্থল, সভায় বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন বিশেষ করে ফিউনারেল স্থাপনের আলোচনা সীমিত রেখে কোনোরকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভাপতি আব্দুল মান্নান সাধারণ সভার কার্যক্রম সমাপ্ত করেন। 

বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির শেষ সাধারণ সভা ওজনপার্কের আল মদিনা রেস্টুরেন্টে গত ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির বর্তমান ও পুনরায় নির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মান্নান এবং সভা পরিচালনা করেন বিদায়ী সেক্রেটারী নাজমুল হক মাহবুব। সভার প্রথমে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন জামাল হোসেন। প্রথা অনুযায়ী সম্পাদকীয় রিপোর্ট ও কোষাধ্যেক্ষর রিপোর্ট উপস্থাপন করেন যথাক্রমে বিদায়ী সেক্রেটারি নাজমুল হক মাহবুব ও কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান দুখু। সম্পাদকীয় রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, মকবুল রহিম চুনই, মোস্তফা কামাল, আজিমুর রহমান বুরহান, মাসুদুল হক ছানু, বুরহান উদ্দীন কপিল, আজিজুর রহমান সাবু, সাবেক উপদেষ্টা আজিজুর রহমান পাখি, উপদেষ্টা হাজি শামসুল ইসলাম, বুরহান উদ্দীন কপিল, সাবেক সেক্রেটারি মিছবাহ আহমদ, শামীম আহমদ, সারওয়ার হোসেন, জামাল হোসেন।

মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা হাজি শামসুল ইসলাম, শফিক উদ্দীন, সিরাজ উদ্দীন আহমদ, বুরহান উদ্দীন কপিল। সেক্রেটারি নাজমুল হক মাহবুব তার সম্পাদকীয় রিপোর্টে বিগত ২ বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন। কোষাধ্যক্ষ তার হিসেবে গত ৬ মাসের হিসাব প্রদান করেন। কোষাধ্যক্ষ তার হিসাবে গত ৬ মাসে জুন ২০২৩ থেকে নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত আয় উল্লেখ করেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬১১ ডলার এবং ব্যয় উল্লেখ করেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩১০ ডলার। নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সমিতির পক্ষ থেকে ৪৩ হাজার ৪৯৬ ডলার প্রদান করা হয়। নির্বাচন কমিশন নমিনেশন বিক্রি বাবদ ৫ হাজার ২৫০ ডলার, মান্নান-প্যানেলের কাছ থেকে নমিনেশন জমা বাবদ ১৪ হাজার ৭৫০ ডলার ও মিছবাহ প্যানেলের কাছ থেকেই নমিনেশন বাবত ১৫ হাজার ৮৫০ ডলার। মোট ৩৫ হাজার ৮৫০ ডলার অর্থ সংগৃহীত হয়।

উল্লেখ্য, সাধারণ সভার পূর্ব থেকে জনৈক উপদেষ্টা ৩ জন সাবেক সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক মিডিয়ায় লেখালেখি করলে সাধারণ সভায় এ নিয়ে জনৈক উপদেষ্টা বনাম ৩ জনের স্থলে ২ জন সাবেক সভাপতি মুখোমুখি অবস্থান করেন। এক পর্যায়ে সাধারণ সভা বিশৃঙ্খলা, উপস্থিতি সদস্যদের এলোমেলো ঘুরাঘুরি এবং জটলা বাঁধাতে দেখা যায়। নিরাপত্তা কর্মীদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়। এ পরিস্থিতিতে সাবেক সভাপতি মকবুল রহিম চুনই সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে সমিতির ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে এবং অতীতের সব কিছু ভুলে গিয়ে সবাই এক ও অভিন্ন হয়ে সমিতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সাধারণ সভায় উচ্চবাচ্য হয়, উত্তেজনা থাকে। দিন শেষে আমরা সবাই এক। মকবুল রহিম চুনইর এ কথার সঙ্গে উপদেষ্টা হাজি শামসুল ইসলাম ও সাবেক সেক্রেটারি মিছবাহ আহমদ একাত্মতা পোষণ করেন। সাবেক উপদেষ্টা হাজি শামসুল ইসলাম নিজ থেকে উদ্যোগী হয়ে জনৈক উপদেষ্টা ও সাবেক দুই সভাপতিকে কোলাকুলি করিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে মিলিয়ে দেন।

শেয়ার করুন