২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০২:১২:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


অভিবাসীদের কারণে ২০৩৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত রাজস্ব কর ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৩-২০২৪
অভিবাসীদের কারণে ২০৩৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত রাজস্ব কর ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে


অভিবাসন নীতি মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলছে। এর ফলে রাজস্ব আয় বাড়ছে। রাজস্ব আয় বাড়লেও বর্তমান অভিবাসন ব্যবস্থাকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। প্রায়ই অভিযোগ তোলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে যে রাজস্ব আদায় হয় অভিবাসীদের কারণে, তা ব্যয়কে ছাড়িয়ে যায়। বাস্তবে বর্তমানে অভিবাসন ইস্যু এটি একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। মার্কিন অর্থনীতি গত দুই বছরে মন্দার পূর্বাভাস দেওয়া হলেও অভিবাসীদের কারণে তা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। অভিবাসন বৃদ্ধির পূর্বাভাসকে পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ বলে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ার জেরোম পাওয়েল গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে বলেন।

কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের পরিচালক ফিলিপ সোয়াগেল গত মাসে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর একটি নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে অভিবাসন এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব সম্পর্কিত একটি বিশেষ বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আরো কর্মী মানে আরো আউটপুট এবং এর ফলে অতিরিক্ত রাজস্ব কর বাড়বে।

কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের রিপোর্টে বলা হয়, যদিও সমস্ত অভিবাসী চাকরি খুঁজে পাবে না বা করতে পারবে না। যেমন শিশু বা দুর্বল অভিবাসী। সাম্প্রতিক এবং ভবিষ্যতে অভিবাসীদের প্রত্যাশিদের কড় একটি অংশের বয়স ২৫ বছর থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে বলে মনে করা হয়। এই বয়সসীমার লোকদের প্রাইম এজ কর্মক্ষম জনসংখ্যার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অনুমান অনুসারে, ফেডারেল কর্তৃপক্ষ গত বছর মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করে ২.৫ মিলিয়নেরও বেশি অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের প্রতিবেদন অনুসারে ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩.৩ মিলিয়ন অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। যা ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বার্ষিক গড় ৯ লাখেরও বেশি। অভিবাসন প্রবণতার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের সিবিওর অনুমানের তুলনায় এই বছর ১.৭ মিলিয়নের বেশি কর্মী রয়েছে। ২০৩৩ সালে এই সংখ্যা হবে ৫.২ মিলিয়ন।

যার ফলে পরবর্তী দশকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব অতিরিক্ত ৭ ট্রিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে। বৃহত্তর অভিবাসনের কারণে মুদ্রাস্ফীতি-সামঞ্জস্যপূর্ণ। জিডিপি প্রতি বছর গড়ে ০.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ফেডারেল সরকার সেই বৃদ্ধি থেকে উপকৃত হবে। যা কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস অনুসারে কর রাজস্ব সংগ্রহ ২০৩৩ সালের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

জেপি মরগ্যানের গ্লোবাল রিসার্চের চেয়ার জয়েস চ্যাংয়ের মতে, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক অভিবাসন বৃদ্ধি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করছে। ফেডারেল রিজার্ভ গত ২০ মার্চ বুধবার ২০২৪-এর জন্য তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রবৃদ্ধির অনুমান ডিসেম্বরের আউটলুকে ১.৪ ভাগ থেকে ২.১ ভাগে উন্নীত করে। 

এদিকে কঠোর আর্থিক অবস্থা সত্ত্বেও শ্রমবাজার তুলনামূলকভাবে চাঙ্গা রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে বেকারত্বের হার ৪ ভাগের নিচে ছিল। গত কোয়ার্টারে অর্থনীতিতে ২ লাখ ৭৫ হাজার চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

সাম্প্রতিক কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের রিপোর্ট অনুমান করেছে যে ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিট অভিবাসন ছিল ৩.৩ মিলিয়ন এবং ২০২৪ সালে সেই স্তরে থাকবে ২০২৫ সালে ২.৬ মিলিয়ন এবং ২০২৬ সালে ১.৮ মিলিয়ন। তিনি যুক্তি দেন অর্থনীতিতে নেট প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন ‘একটি ভালো জিনিস।’

শেয়ার করুন