২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৭:১০:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


কোয়াড কি এশিয়ান ন্যাটো?
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৫-২০২২
কোয়াড কি এশিয়ান ন্যাটো? কোয়াডের নেতৃবৃন্দ/ছবি সংগৃহীত


 গত১৯ মে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফর শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি তার প্রথম এশিয়া সফর। টোকিওতে তিনি কোয়াড নেতাদের সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যখন সংঘাত চলছে, সেসময়ই তার এই এশিয়া সফর।যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সম্পর্কে পরিবর্তন আসছে। জাপান-যুক্তরাষ্ট্র যে জোট তৈরি করা হচ্ছে এবং হাতের কাছে বেইজিংকে রেখে দক্ষিণ কোরিয়া যেভাবে ওয়াশিংটনের দিকে ঝুঁকছে তা মোটেও ভালোভাবে নেবে না চীন। ওয়াশিংটনের যে ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি আছে তা ভারতের পশ্চিম উপকূল থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত। 

এ অঞ্চলে নিরাপত্তা সম্পর্কিত, অর্থনৈতিক এবং কূটনীতিক যোগাযোগকে শক্তিশালী করছে যুক্তরাষ্ট্র। ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস। এতে ১০টি পয়েন্টের কথা বলা আছে যা আগামি এক বা দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে চায় ওয়াশিংটন। এরমধ্যে আছে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগীতা বৃদ্ধি। এতে বলা হয়, আমরা আমাদের আঞ্চলিক কৌশলকে তিন দেশের সমন্বয়ে বাস্তবায়ন করবো।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে এই কৌশলের প্রধান উদ্দেশ্য যে চীনকে মোকাবেলায় করা, সেখানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি’র নির্বাহী প্রধান রিচার্ড ফন্টেইনের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ মেয়াদে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট করে তুলবে। চীনকে চাপে ফেলতে তার প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিজের সঙ্গে বেঁধে ফেলতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াশিংটন এবং টোকিও নিজেদের মধ্যেকার সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছে। তাইওয়ানকে ঘিরে তারা যৌথ সামরিক পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। আবার ইউক্রেনে আক্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জাপান। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করেছে। কিশিদা জাপানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির আশা করেন। দেশটির লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি কিশিদাকে সামরিক বাজেট বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সকল ট্যাব্যু ভেঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বোমা মোতায়েনের কথাও বলেছেন। পাশাপাশি জাপান তার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপগুলোকে সামরিকীকরণ করছে। তাইওয়ানকে ঘিরে ভবিষ্যত সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্র জাপানে স্বল্প এবং মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। মার্চ মাসে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনী যৌথ মহড়া করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে জাপান। কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জাপান। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটিতে পরিণত হয়েছে দেশটি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ফিলিপাইনের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে জাপান। জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি বিশেষ চুক্তি করেছে দেশটি। এর অধীনে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধাস্ত্র শেয়ারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ভারতের সঙ্গে জাপান একটি বিশেষ কৌশলগত এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করেছে। ফিলিপাইনের সঙ্গেও গত মাসে একই ধরনের একটি চুক্তির বিষয়ে কথা বলেছে দুই দেশের প্রতিনিধিরা।দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেেিডন্ট ইয়ুন সুক-ইওলের অধীনে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আগ্রহী। দক্ষিণ কোরিয়ার কোয়াডে যোগ দেয়ার বিষয়েও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

কোরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর সাবেক কমান্ডার রবার্ট আব্রামস চীনকে মোকাবেলায় নতুন পরিকল্পনার কথা সামনে এনেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে একটি যৌথ সামরিক পরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তাইওয়ানকে ঘিরে কোনো সংঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক সহায়তা চায় যুক্তরাষ্ট্র। 

গত সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব (অকাস) গঠন করা হয়। এর অধীনে যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু সাবমেরিন তৈরিতে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। এ নিয়ে বেশ ঈর্ষান্বিত বোধ করে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটি আশা করে, তাদেরকেও একই সাহায্য দেবে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক সময়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের সামরিক নীতিতে পরিবর্তন এনেছে।এর ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এশিয়া-প্যাসিফিক এলাকার নিরাপত্তা কাঠামোর বিভিন্ন উপাদানে জটিল কিছু পরিবর্তন আসবে। আগামি মাসে স্পেনের মাদ্রিদে ন্যাটোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাতে যোগ দেবে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও। যুক্তরাষ্ট্র তখন এই দেশগুলোকে ন্যাটোর এশিয়া-প্যাসিফিক সংস্করণের প্রধান সদস্য হিসেবে দেখতে চাইবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ওয়াশিংটনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল মোটেও স্থবির হয়ে পড়েনি। নিকট ভবিষ্যতে চীনকে কূটনৈতিক অঙ্গনে আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।

কোয়াড কী?

আনুষ্ঠানিকভাবে কোয়াড মূলত চতুর্পক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপ। ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে বিধ্বংসী সুনামির পর একটি আলগা অংশীদারিত্ব গ্রুপ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল কোয়াড। বিধ্বংসী সেই সুনামির পর যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত; এই চারটি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে মানবিক ও দুর্যোগ সহায়তা প্রদানের জন্য একত্রিত হয়েছিল। এরপর ২০০৭ সালে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে কোয়াডকে একটি আনুষ্ঠানিক রূপ দেন।কিন্তু এরপর থেকে প্রায় এক দশক এটি সুপ্ত বা অনেকটা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিল। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বেগের কারণেই চারদেশীয় এই জোটটি ছিল নিষ্ক্রিয়। কারণ সেসময় অস্ট্রেলিয়া মনে করতো, এই গ্রুপে তাদের অংশগ্রহণ হয়তো চীনকে বিরক্ত করবে।

এরপর ২০১৭ সালে এই গ্রুপটির পুনরুত্থান হয়। এতে করে মূলত এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতি পরিবর্তনশীল মনোভাবেরই প্রতিফলন ঘটে। সেই সময় থেকে প্রথমে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পরে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আক্রমণাত্মক বা দৃঢ় পদক্ষেপের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে নজরদারি চালাতে কোয়াডকে মূল চাবিকাঠি হিসেবে ব্যবহার করছেন। কোয়াড নেতারা ২০২১ সালে তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করে এবং মার্চ মাসে তারা ভার্চ্যুয়ালি আবারও বৈঠক করে।

কোয়াড কি ‘এশিয়ান ন্যাটো’?

চীন অভিযোগ করেছে যে, এই গ্রুপটি নিজেকে ‘এশীয় ন্যাটো’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মতো কোয়াডের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কোনো পারস্পরিক-প্রতিরক্ষা চুক্তি কার্যকর নেই। একইসঙ্গে কোয়াডের সদস্য রাষ্ট্রগুলো বলছে, চারটি সদস্য দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর করাই তাদের এই গ্রুপের উদ্দেশ্য।তবে কোয়াডের একটি পরোক্ষ উদ্দেশ্যও রয়েছে। মূলত কোয়াডের সদস্য দেশগুলো স্পষ্টভাবে না বললেও নিজেদের এই পারস্পরিক অংশীদারিত্বকে চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধ হিসাবে বোঝানো হয়ে থাকে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে দেওয়া ‘স্পিরিট অব কোয়াড’ বা কোয়াডের রূপরেখার ঘোষণায় নেতারা বলেছিলেন, ‘আমরা বৈচিত্র্যময় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছি এবং মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য একটি একক দৃষ্টিভঙ্গিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’সেই ঘোষণায় নেতারা আরও বলেছিলেন, ‘আমরা এমন একটি অঞ্চলের জন্য সংগ্রাম করছি যেটি হবে অবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বাস্থ্যকর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং যেকোনো ধরনের জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থাপনা বর্জিত।’

নতুন মুখ কারা?

২৪ মে মঙ্গলবার চারদেশীয় জোট কোয়াডের এই শীর্ষ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। গত বছরের অক্টোবর মাসে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজও মঙ্গলবারের এই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনের মাত্র দুই দিনের মাথায় এবং কোয়াডের সম্মেলনের মাত্র একদিন আগে অর্থাৎ সোমবার অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি।

ভারতের কী খবর?

কোয়াডের সদস্য দেশ হিসেবে মঙ্গলবারের এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তবে এমন এক সময়ে মোদি এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন, যখন ভারতের সংখ্যালঘুদের ওপর দেশটির বিজেপি সরকারের দমন-পীড়ন এবং কিছু স্বৈরাচারী প্রবণতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক তদন্ত বা যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।

এছাড়া অন্য একটি দিক থেকেও কোয়াডের অন্য সদস্যদের তুলনায় মোদির তথা ভারতের অবস্থান বেশ ভিন্ন। যেমন, কোয়াডের অন্য সদস্যরা যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং মস্কোর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবেই নিষেধাজ্ঞা আরোপে অংশ নিয়েছে, তখন কিয়েভে আক্রমণ শুরুর পর থেকে রুশ জ্বালানির ক্রয় বাড়িয়েছে ভারত।

অধিকন্তু রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকেই খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে যা বিশ্বজুড়েই মূল্যবৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই অবস্থায় বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় না রেখে ভারত গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। এর ফলে উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতিতে চলমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সমাধান করা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

কোয়াডে আর কোনো দেশ যোগ দিতে চায়?

পূর্ব এশীয় রাষ্ট্র এবং জাপানের প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ইতোমধ্যেই কোয়াডে যোগ দিতে আগ্রহপ্রকাশ করেছে। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রুপের সদস্যপদ পেতে নিজেদের কোয়াডের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার কথা ভাবছে না সিউল।

এছাড়া চারদেশীয় এই গ্রুপটি ইতোমধ্যেই ‘কোয়াড-প্লাস’ নামে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছে। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম অংশ নিয়েছিল। আর এটিই এই অঞ্চলে কোয়াডের ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ বা অংশীদারিত্বের ভিত্তি তৈরি করতে পারে।


শেয়ার করুন