২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৭:১৩:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর অনুকরণীয়- অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৬-২০২২
জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর অনুকরণীয়- অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত অনুষ্ঠানে তবারক বিতরণ


 জ্যাকসন হাইটস নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রিয় স্থান। জ্যাকসন হাইটসে এলই অনুভব করা যায় বাংলাদেশকে। সেই জ্যাকসন হাইটসের কিছু ব্যবসায়ী, তরুণ সমাজ এবং আশেপাশের লোকজনের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠাতা করা হয় জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী নামে একটি সংগঠন। এই সংগঠন তাদের কর্মকান্ডেই প্রমাণ করেছে তারা দেশে এবং প্রবাসে অনুকরীয় এবং অনুসরণীয়। দেশপ্রেম এবং জাতীয় নেতাদের প্রতি তাদের সম্মান অটুট এবং অবিশ্বাস্য। বাংলাদেশে যেখানে রাজনীতি নিয়ে প্রতিহিংসা, সেখানেই জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী প্রতিষ্ঠাতা করেছে সৌহার্র্দ্য- সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাদের স্লোগান- হিংসা নয়, সম্প্রীতি, বিদ্বেষ নয় সৌহার্দ্য। বিভক্তি নয়, ঐক্য। ধ্বংস নয়, উন্নয়ন। এই রাজনীতি যদি বাংলাদেশে হতো তাহলে বাংলাদেশের চিত্রই পাল্টে যেত। এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে সকল দলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা থাকেন এবং স্পন্সরও করে থাকেন। যে কারণে জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর অনুষ্ঠানে মানেই অন্যন্য- অসাধারণ। জয়তু জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী। জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে খুব বেশি অনুষ্ঠান করা হয় না। কিন্তু যে কয়েকটি অনুষ্ঠান করেন তা স্মরণে রাখার মত।

জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রথমে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী অর্থাত দলমত নির্বিশেষে ১৫ আগস্ট পালন করে আসছে। কয়েক বছর পরেই শুরু করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী পালন। গত বছর পালন করা হয় হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীও। অনুষ্ঠান আয়োজনকে কেন্দ্র করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যদিও সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সমস্ত কর্মকান্ডের সাথেই থাকেন। প্রতি বছরই নেতাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়। তারই ধারাবাহিতায় গত ৩০ মে পালন করা হয় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী। জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাদ জোহর এই অনুষ্ঠানের শুরু করা হয় দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে।

আহবায়ক কমিটির আহবায়ক দেওয়ান মনির, সদস্য সচিব আমানত হোসেন আমার এবং প্রধান সমন্বয়কারী সরওয়ার খান বাবুর নেতেৃত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি, বিএনপির সুবর্ণ জয়ন্তী কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকির এইচ চৌধুরী ছিলেন বিশেষ অতিথি।

দেওয়ান মনিরের সভাপতিত্বে এবং আমানত হোসেন আমান ও সরওয়ার খান বাবুর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গিয়াস আহমেদ জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জাতীয় নেতাদের সকলেরই সম্মান করা উচিত। কাউকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সুতরাং তার অবদানকে অস্বীকার করা যাবে না।

জাকির এইচ চৌধুরী বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। কিন্তু দেশে বর্তমানে ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে এবং তার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সুবর্ণ জয়ন্তী কমিটির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন ভ‚ইয়া, যুগ্ম আহবায়ক জসীম ভুইয়া, আব্দুস সবুর, জেবিবিএর সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাবেক সভাপতি রাফেল তালুদার, ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা একেএম রফিকুল ইসলাম ডালিম, গোলাম ফারুক শাহীন, যুব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন, মাইনুল হাসান মুহিদ, সাইফুর খান হারুণ, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, মিজানুর রহমান মিজান, আতিকুল হক আহাদ, ইসলাম মুহিত, মজিফুর রহমান, মনির হোসেন, শাহাদাত হোসেন রাজু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিলেন জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর সভাপতি শাকিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জেড আলম নমি, যুগ্ম আহবায়ক আফতাব জনি, শামস জনি, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, গোলাম এম হায়দার মুকুট, ইক্তারুজ্জামান রতন, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম ডালিম, প্রফেসর মনিরুল ইসলাম খান, মফিজুর রহমান, বিএন বাদশাহ, জীবন শফিক, শাওন বাবলা, ফারুক হোসেন মজুমদার, নাজমুল হোসেন বাবু, এ জেড এম জাহাঙ্গীর,সংগঠনের সহ সভাপতি মোহাম্মদ মানিক বাবু, সহ সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলমগীর খান আলম, সদস্য নিহার সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টা মীর নিজামুল হক, উপদেষ্টা এম আজিজ, মার্শাল মুরাদ, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, মাজহারুল রবিন, প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, নামিস আহমেদ, মাকসুদুল হক চৌধুরী, মাজহারুল ইসলাম জনি, মাহবুবুর রহমান মুকুল, যুগ্ম সদস্য সচিব এবি সিদ্দিক পাটোয়ারি, জাহাঙ্গীর আলম জয়, ইশতিয়াক রুমি, মানিক বাবু, শেখ নোমান পলাশ, আসাদুল ইসলাম আসাদ, শফিউদ্দিন মিয়া, মার্শাল মুরাদ, খুলকু রহমান, মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান প্রমুখ।


শেয়ার করুন