৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৪:৪০:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি শুরু করার কোন যুক্তিযুক্ত কারণ দেখি না’
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৪-২০২৪
‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি শুরু করার কোন যুক্তিযুক্ত কারণ দেখি না’


ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ বুয়েট ক্যাম্পাসে। রাতের আঁধারে সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের অনুপ্রবেশ নিয়ে দেশ জুড়ে এখন তুলকালাম। কেন কি উপলক্ষে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেটা সবার জানা। একজন সত্তর দশকে ছাত্র রাজনীতি করা গর্বিত বুয়েট আলমনি হিসাবে আমি বিচলিত উৎবিঘœ।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বুয়েট অন্য ৮-১০ প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন।


দেশের সেরা মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা মুক্ত স্বাধীন মেধাভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।  কঠিন ক্যাম্পাস জীবনে কঠোর নিয়ম মেনে পড়াশুনো করেই স্নাতক এবং স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করতে হয়। গড্ডালিকা প্রবাহে গা এলিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সবাই জানে দেশে বিদেশে বুয়েট স্নাতকদের কদর।   


কয়েক বছর আগে বুয়েটের শেরে বাংলা আবাসিক হলে আবরার ফরহাদ নামের একজন ছাত্রকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল একটি ছাত্র সংগঠনের এক্টিভিস্টরা। বিচারাধীন সেই ঘটনার জের ধরে বেশ কয়েকজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে বিচারিক আদালত। ওই ঘটনার জের ধরে সাধারণ ছাত্র শিক্ষক দের দাবির প্রেক্ষিতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একটি সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের কিছু নেতা এবং সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী কোন তথ্যের ভিত্তিতে বুয়েট ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীর লালন করতে দেখলেন? সরকারের কোনো গোয়েন্দা সংস্থা কি রিপোর্ট দিয়েছে?   


আমরা ১৯৭৩-৭৭ বুয়েট ক্যাম্পাসে লেখা পড়া করেছি। ছাত্র লীগার হিসাবেই ছাত্র রাজনীতি করেছি। বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র ইউনিয়ন, জাসদ, ছাত্র শিবির সহ সকল ছাত্র দলের শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান দেখেছি।  এখন কিন্তু ছাত্র রাজনীতি পাল্টে গেছে।  প্রবাস থেকে সাময়িক সময়ের জন্য দেশে ফিরে খবর পেয়ে আবরার হত্যার পরদিন বুয়েট ক্যাম্পাসে ছুটে গিয়েছিলাম। সেখানে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা ছাত্র রাজনীতির বীভৎস রূপ আমাদের বর্ণনা করেছিল। আমি বিস্মিত হই। আমাদের সময়ের সহবাস্থানের সেই পরিবেশ এখন নেই।  


বুয়েটে যারা পড়ার সুযোগ পায় তারা সবাই মেধাবী। তাই বঙ্গবন্ধু স্বয়ং বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র শিক্ষকদের রাজনীতিতে জড়ানোর পক্ষপাতী ছিলেন না। ঐতিহ্যগত ভাবে বুয়েট ক্যাম্পাসে কিছু ছাত্র তবলীগ জামাত করে। আমি নিশ্চিত নই সেখানে মৌলবাদিদের কোনো ঘাঁটি গড়ে উঠেছে  কিনা..। যদি তাই হয় সরকারের এতো গোয়েন্দা সংস্থা তাদের নজর এড়ানোর কোন কারণ নেই। আমি এই মুহূর্তে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি শুরু করার কোন যুক্তিযুক্ত কারণ দেখি না। এমনিতেই পেশাদার প্রকৌশুলীদের নেতৃত্বে মূলত বুয়েট আলামুনিরা আছেন।  তাদের নেতৃত্বে পেশাদার হিসাবে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।  আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বুয়েট ক্যাম্পাস অশান্ত হবে এমন কিছু করবেন না।  

শেয়ার করুন