২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৬:৪৬:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


পদ্মা সেতু নিয়ে ফরমায়েশি নির্দেশনা মুক্তগণমাধ্যমের জন্য হুমকি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২২
পদ্মা সেতু নিয়ে ফরমায়েশি নির্দেশনা  মুক্তগণমাধ্যমের জন্য হুমকি


গত ৯ জুন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, পদ্মা সেতু নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সিরিজ আকারে সংবাদ প্রকাশের জন্য সকল গণমাধ্যমকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ ধরনের নির্দেশনা গণমাধ্যমের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ ও স্বাধীন এবং মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি।

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুলহক নুর এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা  বলেন। বিবৃতিতে তারা গণমাধ্যমের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ ও সরবরাহকৃত সংবাদ পরিবেশনে চাপ প্রয়োগের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা বলেন,‘গণমাধ্যম কি ধরনের সংবাদ প্রকাশ করবে সেটা তাদের নিজস্ব নীতিমালার বিষয় উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন,তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে সংবাদ প্রকাশে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি করবে। ফরমায়েশি সংবাদ পরিবেশনে বর্তমান সরকার কিভাবে গণমাধ্যমের উপর চাপ প্রয়োগ করে মুক্ত গণমাধ্যমের পথ রুদ্ধ করছে তা এ নির্দেশনায় আরো স্পষ্ট হয়েছে।’

নেতৃদ্বয় অবিলম্ব এ নির্দেশনা প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনভাবে কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করারও আহ্বান।নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের মতো গণবিরোধী কালো আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের কণ্ঠ রোধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। সরকারি দল ও তাদের নেতা-কর্মীদের সমালোচনা করলেই সংবাদকর্মীদের জেলখানায় যাওয়া থেকে নানা হয়রানি হতে হয়।

এমনকি আরও কঠোরভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার এখন সবার আপত্তি স্বত্ত্বেও আরেকটি বিতর্কিত গণমাধ্যম আইন করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে গণমাধ্যমের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাই নেতৃদ্বয় প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আইন প্রণয়নেরও বিরোধিতা করেন।’


শেয়ার করুন