আমেরিকায় ইমিগ্রেশন প্রশাসনের দায়িত্বে নিয়োজিত সিটিজেনশিপ ও ইমিগ্রেশন সার্ভিস (ইউএসসিআইএস) ব্যাপকভাবে ইমিগ্রেশন আবেদনের ফি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এখনই ইউএসসি আইএস বলেছে সংস্থায় অর্থের প্রয়োজন। কংগ্রেস মাত্র ৪ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ করে থাকে আর ৯৬ শতাংশ অর্থ আসে আবেদনের ফি থেকে। ২০১৬ সাল থেকে এই আবেদন ফি বাড়ানো হয়নি।
এই প্রস্তাবিত ফি রুল ব্যাপকভাবে বিচার বিবেচনা করে নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। যখন পেনডেমিক বা মহামারী শুরু হয়, তখন ইমিগ্রেশনের আবেদনও ৪০ শতাংশ কমে যায়। আর তদানুসারে আরো কমে যায়, আর সে কারণে স্টাফ কমানো হয়েছে। আর তাতে ব্যাকলগও বেড়ে গেছে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে।
কর্নেল ল’-এর স্টিফেন ইয়েল লোর বলেন, ‘ব্যাকলগ থেকে সংস্থাটি বেরিয়ে আসতে ফি অবশ্যই বাড়াতে হবে।’ তবে তিনি বলেন, সংস্থার অর্থ জোগানের বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত ব্যবসার জন্য বিশেষ বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ইয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক উল্লেখ করেন, যেসব নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেবেন, তাদের নতুন করে ৬০০ ডলার ফি দিতে হবে। এই অর্থ এই সংক্রান্ত বিষয়ে নয়, বরং যারা অ্যাসাইলাম প্রার্থী তাদের জন্য ব্যয় করা হবে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানিদের বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হতে পারে আর যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে না।