২০ সেপ্টেম্বর ২০১২, শুক্রবার, ০৪:৫০:৪২ অপরাহ্ন


ক্রীড়াঙ্গনকেও অযোগ্য অদক্ষদের দ্বারা দূষিত করন হয়েছে
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৮-২০২৪
ক্রীড়াঙ্গনকেও অযোগ্য অদক্ষদের দ্বারা দূষিত করন হয়েছে


পতিত সরকার গুলোর সময়ে অন্যান্য  সকল অঙ্গনের মত ক্রীড়াঙ্গনকেও দলদাস , দুর্নীতিপরায়ণ ,অযোগ্য ,অদক্ষ প্রসাশক ,পরিচালকদের পদায়ন করে দূষিত করা হয়েছে। অলিম্পিক এসোসিয়েশন, ফুটবল ,ক্রিকেট ,হকি ,সাঁতার ,দাবা ,অ্যাথলেটিক্স, শুটিং সহ সকল খেলায় প্রকৃত নিবেদিত যোগ্য সংগঠকদের কোনঠাসা করে রাখায় স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও বাংলাদেশ আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক আসরে তলানিতে পরে আছে। অথচ ঢাকার বাইরে এখনো খেলাধুলার ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। দক্ষ যোগ্য লোকদের দায়িত্ব দিয়ে স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ দিলে বাংলাদেশ কিন্তু স্বল্প সময়ে অন্তঃ দক্ষিণ এশিয়া এবং এশিয়ার পরাশক্তি হয়ে উঠতে পারে।


অথচ একসময়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ফুটবল এবং বর্তমানে জনপ্রিয় ক্রিকেট বিগত সরকারের ১৫ বছরে বিএফএফ এবং বিসিবির দুর্নীতি এবং অব্যাবস্থাপনার জন্য ধ্বংসের মুখে। দুটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রক্রিয়া ম্যানিপুলেশন করে কাজী সালাউদ্দিন এবং নাজমুল হাসান পাপন স্বৈরাচারী পন্থায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফা /এএফসি এবং আইসিসি /এসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের স্বার্থে এই দুইটি মূল ফেডারেশন সংস্কার করতে পারে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন সহ অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশন অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ  সরকার নিজ দায়িত্বে পুনর্গঠন করতে পারে।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেখলাম দেশের অন্যতম  স্থানীয় আবাহনী ক্রীড়াচক্রের ক্লাব ভবন আক্রমণ করে অগ্নিসংযোগ এবং লুট পাট করা হয়েছে। ক্লাবের সব ট্রফি চুরি করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়।  আশা করি নতুন সরকার সঠিক তদন্দের মাদ্ধমে দোষী ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

ক্ষুদ্র পরিসরে বিশাল সংস্কার নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব না. এখানে শুধু ক্রীড়া ক্ষেত্রে জাতীয় পুরুস্কার নিয়ে কিছু কথা বলি. স্বাধীনতার পর থেকে নিদৃষ্ট বিরতিতে বিভিন্ন খেলায় অবদানের জন্য খেলোয়াড় ,সংগঠক , পৃষ্ঠপোষকদের পুরুস্কার দেয়া হয়।  এই পুরুস্কার দেয়ার কোনো স্বচ্ছ নীতিমালা না থাকায় দুই একজন যোগ্য ব্যাক্তির সঙ্গে অধিকাংশ সময় ভুঁইফোড় ,তোষামোদকারীরা জাতীয় পুরুস্কার লাভ করে।


 বিশেষ করে ২০০০-২০২৪ পর্যন্ত এই প্রবণতা খুব বেশি ছিল. এই দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সুস্থ পরিবেশে এগিয়ে নিতে হলে প্রকৃত মেধাবী ক্রীড়াবিদ ,খেলোয়াড় ,সংগঠক, লেখক, সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকারদের পুরুস্কৃত করতে হবে ,সীকৃতি দিতে হবে. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বল্প সময়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারে। বিগত ১৫ বছরে যাদের পুরুস্কৃত করা হয়ে সেটি পরীক্ষা পর্যালোচনা করে অযোগ্যদের পুরুস্কার বাতিল করতে পারে।

শেয়ার করুন