নতুন বোতলে পুরোনো মদ- এটি বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ। বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরিতে, তথা জনপ্রশাসনের প্রবেশপথ ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)’-এর বেলায় এটা বারবার ঘটছে। গত ৮ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেন পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনসহ ১২ জন সদস্য। কিন্তু মাত্র দুদিনের মাথায় তাড়াহুড়ো করে কমিশনের চেয়ারম্যান পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেমকে চেয়ারম্যান ও চার জনকে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কমিশনের বাকি শূন্যপদগুলো (সদস্য) পূরণ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারপ্রধানের সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি এসব নিয়োগ দেন। পিএসসির কোনো সংস্কার না করে, শুধু বোতল রিফিল করার মতো কিছু লোককে পুনঃস্থাপনের ঘটনা জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার ব্যাপক আত্মত্যাগ ও তৎপরবর্তী ড. ইউনূস সরকারের প্রতিশ্রুত রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনর্গঠনের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের অনেকে পিএসসি সংস্কারের দাবি জানানোয় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা পদত্যাগ করেন। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক পোস্টার ও ব্যানারে থাকা শুধু ছবি বদল করা হয়েছে, কিন্তু পিএসসির প্রাতিষ্ঠানিক ও বিসিএস পরীক্ষাসহ সব নিয়োগ পরীক্ষার ব্যাপক সংস্কারের বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রায় পুরোপুরি অকার্যকর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কর্ম কমিশনের সংস্কার না করে, শুধু শেখ হাসিনা ও ভারতের আশীর্বাদপুষ্ট কিছু ব্যক্তিকে রদবদল করে দীর্ঘস্থায়ী কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের উচিত ছিল, ক্ষমতা গ্রহণের পর স্বল্পসময়ের মধ্যে দেশের জনপ্রশাসন ও সরকারের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান পিএসসির প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতিসমূহ, বিশেষ করে আইনি কাঠামো ও কার্যবিধিগত সীমাবদ্ধতা নিবিড়ভাবে চিহ্নিত করার জন্য একটি আলাদা কমিশন গঠন করা। এর পাশাপাশি পিএসসি যাতে আর ক্ষমতাসীন দলের কবজায় যেতে না পারে এবং বিসিএসসহ সব প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষা বৈষম্যমুক্তভাবে ও সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে সম্পন্ন হতে পারে, সে ব্যাপারে কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে সরকারের কাছে এখনো প্রত্যাশা করছি। জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পর ছাত্র-জনতার অন্যতম দাবি ছিল, রাষ্ট্রসংস্কার তথা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থবহ সংস্কার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সমন্বয়করা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সফল গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ব্যাপক রাষ্ট্র সংস্কারের দৃঢ় অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশনও গঠন করেছে। পিএসসি সংস্কারের জন্য একটি আলাদা কমিশন গঠন করা হবে বলে আমার বিশ্বাস ছিল। কিন্তু তা না করে কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের গণপদত্যাগ করানোর পর যেভাবে তাড়াহুড়ো করে মাত্র তিনদিনের মধ্যে শূন্যপদগুলো পূরণ শুরু করা হয়েছে, সেটা অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত বলে আমার অভিমত। এখানে রাষ্ট্র সংস্কার, তথা রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়টি কি হারিয়ে গেল? সরকারি কর্ম কমিশন বা পিএসসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান (১৩৭-১৪২ অনুচ্ছেদ) হলেও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ১১-১৪ জন সদস্য নিয়োগে স্বচ্ছ কোনো প্রক্রিয়া নেই। এ পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কীভাবে যোগ্যলোক বাছাই করা হবে? এ বিষয়ে সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদের আলোকে আজ পর্যন্ত কোনো বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। এমতাবস্থায়, লোকচক্ষুর আড়ালে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রভাবশালী নীতিনির্ধারক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যাদের ভালো যোগাযোগ আছে, তারাই পিএসসির মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় কমিশনগুলোর শূন্যপদ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে (সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কাজ) অভিজ্ঞতা, অভিজ্ঞান, কর্মদক্ষতা, সততা ও চারিত্রিক দৃঢ়তা ইত্যাদি বিবেচ্য বিষয় নয়; সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ-এসব প্রতিষ্ঠানে পদায়িত হওয়ার আসল যোগ্যতা আর এভাবে রাষ্ট্রীয় সুশাসনের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত দলীয় এবং সরকার সমর্থক অযোগ্য ও দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিদের পুনর্বাসনকেন্দ্র ও ডাস্টবিনে পরিণত হতে দেখা যায়। এসব লোক যখন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পদায়িত হন, তখন সরকার ও সরকার সমর্থক দল ও নেতাকর্মীদের অনৈতিক দাবি ও চাহিদা অবনতমস্তকে পূরণ করেন। এর পাশাপাশি এসব লোক পুরো সাংবিধানিক (পিএসসি, নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, ইত্যাদি) ও সংবিধিবদ্ধ (যেমন- দুদক) প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি অকার্যকর করার পাশাপাশি নিজেদের আখের গোছান, তথা দুর্নীতির মহোৎসবে লিপ্ত হন। দশকের পর দশক ধরে এ অনৈতিক চর্চা ও প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। ২০০৭ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পিএসসিকে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, সততা ও জবাবদিহির ঘাটতিসহ বিসিএস পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মূলে থাকা কারণ এবং এসবের প্রতিকারের উপায় চিহ্নিত করে একটি তথ্যানুসন্ধ্যানী বা ডায়াগনস্টিক গবেষণাটি সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করে https://shorturl.at/JsvWW)। কর্ম কমিশনকে একটি সক্ষম ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরসহ বিসিএস পরীক্ষার মতো সব প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষায় সব চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ লাভের সমান সুযোগ, তথা সাংবিধানিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ২৭) নিশ্চিতকরণের উপায়সংক্রান্ত সুপারিশমালা প্রদান করা হয়। টিআইবির কর্মী হিসেবে ওই গবেষণাটি আমি নিজেই করেছিলাম। ২২ মার্চ ২০০৭ সালে প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে টিআইবির সুপারিশের আলোকে তৎকালীন সেনাসমর্থিত ফখরুদ্দীনের সরকার পিএসসি পুনর্গঠন করার পাশাপাশি ২৮তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলও বাতিল করে। সে সময় একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষারও কিছু সংস্কার করা হয়, যেমন-মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ৩০০-এর স্থলে ১০০ করা হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর পিএসসি আগের অবস্থায় ফিরে যায়। বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার নম্বরও আগের মতো ৩০০ করা হয়। এই ধারা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লব-অবধি অব্যাহত ছিল। এসবের মূলে ছিল, আওয়ামী লীগ ও অখণ্ড ভারতীয় মতাদর্শের অনুসারী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরিপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, যাতে তারা পরবর্তীতে ৩০ থেকে ৩৫ বছর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের মধ্য দিয়ে সেই মতাদর্শের প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে পারে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ১৫টি বিসিএস পরীক্ষার (২৮তম থেকে ৪২তম বিসিএস) ওপর প্রকাশিত সরকারি গেজেটগুলোতে প্রকাশিত চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের নামের তালিকা এবং তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আলোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মির মতো ৩৮ হাজারের অধিক ব্যক্তি পিএসসির মাধ্যমে জনপ্রশাসনে প্রবেশ করেছে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ ও ফলাফল নিয়ে খুব শিগগিরই নিবন্ধ ও আমার ইউটিউব চ্যানেলে (@RezauVoice) ভিডিও প্রকাশ করার আশা রাখি। পিএসসির সংস্কার বিষয়ে আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও মতামত সংবলিত এই ভিডিওটিও দেখতে পারেন- https://shorturl.at/wFf2F
যাহোক, তাপসী তাবাসসুম উর্মির মতো জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের শহিদ আবু সাইদসহ শত শত শহিদের ঘটনাসহ বিশ্ববাসীর কাছে সমাদৃত ও বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করা নোবেলজীয় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে যা মন্তব্য করেছেন, আমার মতো অনেকে খুব কষ্ট পেলেও আমি ম্যাজিস্ট্রেট উর্মিকা-ে মোটেও অবাক হইনি। তাপসী তাবাসসুম বর্তমান জনপ্রশাসনের তরুণ ও মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ৯৫ শতাংশের মস্তিষ্ক ও ভাবাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করেন। আওয়ামী লীগের প্রতি সম্পূর্ণভাবে সংবেদনশীল ও অখণ্ড ভারতের ভাবাদর্শ ধারণ করা জনপ্রশাসনের এই তাপসীরাই আগামী তিন দশক বাংলাদেশের মানুষ ভাগ্য ও সরকারগুলো নিয়ে ‘ফুটবল’ ও ‘দাবা খেলবেন বা খেলাবেন’-এটাই বাস্তবতা। অদূর ভবিষ্যতে বিএনপি কিংবা সমমনা কোনো দল বা জোট ক্ষমতায় গেলে জনপ্রশাসনের এই অংশটা বিষফোঁড়া হিসেবে কাজ করতে পারে অথবা আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমান জনপ্রশাসনে সংখ্যাগরিষ্ঠ তাবাসসুমদের দু-একজনকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশে অবস্থান গ্রহণ করার অভিযোগে ওএসডি কিংবা চাকরিচ্যুতি করে কোনো লাভ হবে না। এক্ষেত্রে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, ড. ইউনূসের সরকার যদি জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের লক্ষ্যপূরণে যদি সিদ্ধহস্ত হন, তাহলে অনতিবিলম্বে তাবাসসুমের মতো অতি প্রতিক্রিয়াশীল ও অখণ্ড ভারতীয় ভাবাদর্শের অনুসারীদের শনাক্ত করে জনপ্রশাসেন থেকে বের করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে কর্ম কমিশন হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর দাওয়াই ও ট্রামকার্ড। একটু খোলাসা করে বলছি, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পিএসসি কর্তৃক অনুষ্ঠিত মোট ১৫টি বিসিএস পরীক্ষায় (২৮তম থেকে ৪২তম বিসিএস) যারা জেলা ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় জনপ্রশাসনে প্রবেশ করেছে, তারা আসলেই নিজ জেলা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতিপুতি কি না-এ বিষয়টি কার্যকরভাবে তদন্ত ও যাচাই করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। ড. ইউনূসের সরকার চাইলে পিএসসির সংস্কারের জন্য যে কমিশন গঠন করবেন, সেই কমিশন এ আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এই যাচাইয়ের কাজটা সম্পন্ন করতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও অন্য জেলার কোটা ব্যবহার করে জনপ্রশাসনে প্রবেশ করা আমলাদের শনাক্ত করার পর তাদের বিরুদ্ধে সরকার সহজেই ব্যবস্থা নিতে পারবে। এভাবে বর্তমান জনপ্রশাসনকে কিছুটা হলেও বিশুদ্ধ করা যাবে। তবে এ প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনার আমলে সুবিধাভোগী আমলা আলী ইমাম মজুমদারের মতো কাউকে সম্পৃক্ত না করে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশ গঠনে স্বপ্নবাজ এমন কাউকে সম্পৃক্ত করতে হবে। পরিশেষে বলবো, জুলাই-আগস্টের বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশ ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে আরো কয়েকটা মাস কঠিন সময় পার করতে হবে। দ্বিতীয় স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও কার্যকর স্বাধীনতা (বেলারুশের মতো রাষ্ট্র হিসেবে নয়) ধরে রাখতে ছাত্র-জনতার রক্তঝরা বিপ্লবের আদর্শ ধারণ করেন, এমন যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে যথাসম্ভব দ্রুত ও যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসহ রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ করার ব্যাপারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ও জোর দাবি জানাচ্ছি।
লেখক : সাংবাদিক