২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০২:১৫:৩৩ পূর্বাহ্ন


গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য
জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করলে বাড়ালেই হরতাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৭-২০২২
জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয়  পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করলে বাড়ালেই হরতাল


জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেবে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের উদ্যোগে আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির পায়তারার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচিতে তারা এ হুশিয়ারি দেন।  

অবস্থান কর্মসূচিতে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও সাস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ লিখিত বক্তব্যে রাখেন। এতে তিনি বলেন, গত ৭ জুলাই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ইঙ্গিত দিয়েছেন। আমাদের প্রশ্ন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম যখন কমে তখন মন্ত্রীরা তেলের দাম কমানোর কি ইঙ্গিত দেন?

বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লেই তারা পাগল হয়ে যান তেলের দাম বাড়ানোর জন্য এটা ঠিক না। গত নভেম্বরে যখন তেলের দাম বাড়ানো হয় তার ২০ দুনের মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম পড়তে শুরু করে। ২। গত আট বছরে ভ্যাট—ট্যাক্স পরিশোধের পরও বিপিসি নিট মুনাফা করে ৪৮ হাজার ১২২ কোটি টাকা। ৩। বিপিসি প্রতিদিন লোকসানের যে হিসাব দেয় তাতেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি এবং লুটপাট। লুটপাটের কথা শুধু আমরা বলছি না আইএমএফ বাংলাদেশ সরকারকে বারবার চাপ দিচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে বিপিসির অডিট করানোর জন্য।

তিনি বলেন, গত এক যুগে অর্থাৎ ১২ বছরে সরকার শিল্প,বানিজ্য ও আবাসিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে ১৮ বার।মূল্য বৃদ্ধির যুক্তি ছিলো উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, আমদানি শুল্ক —কর কার্যকর, কয়লা ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি। আমাদের বিকল্প প্রস্তাব, গত এক দশকে কুইক রেন্টাল এর নামে ৭০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। এই লুটপাট বন্ধ করুন।কয়লায় ভ্যাট প্রত্যাহার করুন,বেসরকারি খাতের বদলে সরকারিভাবে তেল আমদানি করুন, উৎস থেকে প্রতিদিন ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয় ,দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস সংগ্রহ করুন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, পিডিপি’র মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল—বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনসার আলী দুলাল, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রীয় সদস্য  বিধান দাস, পিডিপি’র কেন্দ্রীয় নেতা ক্যাপ্টেন আয়নুল হক, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কামরুজ্জামান ফিরোজ প্রমুখ।


শেয়ার করুন