২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০২:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


জালালাবাদ ভবন : আগুনে ঘি ঢাললেন সভাপতি
সমঝোতার শুরুতেই কী হোঁচট
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০২-২০২৩
সমঝোতার শুরুতেই কী হোঁচট জালালাবাদ ভবনে জালালাবাদের সাবেক কর্মকর্তাবৃন্দ


জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ভবন ক্রয়কে কেন্দ্র স্পষ্টভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরি একটি এবং সাধারণ জালালাবাদবাসী। এই অচলাবস্থা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। এই অচলাবস্থা নিরসনে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কর্মকর্তারা সমঝোতার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই উদ্যোগও এখন প্রশ্নের সম্মুখীন। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে সংগঠনের বর্তমান সভাপদি বদরুল হোসেন খানকে। তিনিই আগুনের মধ্যে ঘি ঢেলে দিয়েছেন। যখনই সাবেক কর্মকর্তারা সমঝোতার পথে হাঁটতে শুরু করেছেন সেই পথে অনেকটা কাঁটা বিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন সভাপতি বদরুল হোসেন খান। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সৈয়দ শতকত আলী গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জালালাবাদ ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, আমি বর্তমান কমিটির সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমদ জিল্লুর সঙ্গে। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর তাদের মতামতের ভিত্তিকেই আমি একজন আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার মনে রাখতে হবে এটা জালালাবাদবাসীর সংগঠন, গুটিকতেক ব্যক্তির সংগঠন নয়।’ তিনি সভাপতির কর্মকা-ের সমালোচনা করে বলেন, তারা এই সংগঠনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। তিনি নিজেও গঠনতন্ত্র মানছেন না। তিনি বলেন, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামকে শো কজ করা হয়েছে। তিনি সেই শোকজের উত্তরও দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাকে বহিষ্কার করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। তাকে বাদ দিয়ে সভাপতি কীভাবে কার্যকরি কমিটির সভা ডাকেন এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে ট্রাস্টি বোর্ড গ্রহণ করেছেন। সভাপতির কর্মকা-ে মনে হচ্ছে তিনি সমঝোতা চান না। তিনি সমঝোতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন? তিনি কেন সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে ট্রাস্টি বোর্ড করলেন। এটা কি মগের মুল্লুক? অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে জোর যার মুল্লুক তার। তবে আমি এখনো সমঝোতার পক্ষে। আমি আমার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবো। আগামীতে আপনাদের আপডেট জানাবো।

সাবেক সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল বলেন, আমরা সমঝোতার পক্ষে। ভবন ক্রয়ের সময় দি কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে আমরা বসে তা সংশোধন করবো। তিনি আরো বলেন, গত সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত ছিলো আমরা ভবন ক্রয় করবো। সেই অনুযায়ী, আমরা সুযোগ পেয়ে ভবন ক্রয় করেছি। এতে কারো ক্ষোভ সৃষ্টির তো কারণ দেখি না। তিনি আরো বলেন, এই ভবনটি আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। তা ছাড়া এটা লাভজনক ভবন। এই ভবনের মর্টগেজ আসে পাঁচ হাজার চারশ ডলার। আর এই ভবন থেকে আয় হবে ছয় হাজার ৮শ ডলার। তাছাড়া নিচের ফ্লোরটি আমরা বিনা পয়সা ব্যবহার করতে পারছি। তিনি বলেন, এখনো সময় আছে সমঝোতার। তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে আমরা ভবন চাই।

কার্যকরি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, আমরা এই অচলাবস্থা দেখতে চাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুৎসা রটনা এবং জালালাবাদবাসীর সম্মানহানি দেখতে চাই না। তিনি সাবেক কর্মকর্তাদের বৈঠকের আহ্বান জানান।

ইয়ামীন রশীদ সভাপতি এবং তার অনুসারীদের কর্মকাণ্ডে মনে হয় তারা সমঝোতা চায় না। আমরা তাদের পেছনে আর কত ঘুরবো। আমি মনে করি, একটি কমিটি করা হোক। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কেন সাধারণ সভা স্থগিত করা হলো? সাধারণ সভা স্থগিত করার মধ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে। সাধারণ সভা হলে এই সমস্যার সমাধান হতো এই বিশ্বাস আমার রয়েছে। তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে আমরা ভবন চাই।

সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সব সময় প্রস্তুত ভবন দেয়ার জন্য।’ তিনি বলেন, বর্তমান সভাপতি এবং কোষাধ্যক্ষ চাইলে রিফাইন্যান্স করে তাদের নাম মর্টগেজে ঢোকাতে পারে। আমার কোনো অসুবিধা নেই। আবার ট্রাস্টি করেও ভবনকে ঋণ মুক্ত করা যায়। প্রতিটি থানা থেকে ট্রাস্টি নিয়োগ করা যায়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক কর্মকর্তা মওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, এম এ করিম, অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান, সোহেল, বাবু, ইয়ামীন রশিদ, মোহাম্মদ মঞ্জুর, হাসান আলী প্রমুখ।

শেয়ার করুন