২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১০:১৫:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


নতুন বছরের প্রত্যাশা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০১-২০২৩
নতুন বছরের প্রত্যাশা



২০২৩ সালের প্রথম সূর্যোদয় হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে বরণ করে নিয়েছে নতুন বছরকে। সবার প্রত্যাশা অন্ধকার কেটে যাবে অমিত সম্ভাবনার আশ্বাসে। এক রাশ নতুন স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশায় বুক বেঁধে বিশ্ববাসী জানিয়েছে অভিবাদন- সুস্বাগতম ২০২৩। বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর তার সময়কালে এক নববর্ষের ভাষণে বলেছিলেন মানুষের নব বর্ষ আরামের নববর্ষ নয়, সে এমন শান্তির নব বর্ষ নয়: পাখির গান তার গান নয়, অরুণের আলো তার আলো নয়। তার নববর্ষ সংগ্রাম করে আপন অধিকার লাভ করে: আবরণের আবরণকে ছিন্ন বিদর্ঢু করে তবে তার অভ্যুদয় ঘটে।

নতুন বছর মানেই নতুন প্রত্যাশা। পেছনে ফেলে আসা ২০২২ সালের না পাওয়া, ভুল, হতাশা, দু:খ  দূরে ঠেলে দিয়ে নতুন উদ্যমে সাহস নিয়ে পথচলা। ২০২৩ সাল নানাবিধ কারণেই বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে বাংলাদেশ সব সময়ই নির্বাচনমুখী। ১/১১ এর অবৈধ সরকারের ক্ষমতা দখল। মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যববসায়ীদের হেনস্তা করে শেষ পর্যন্ত তাদের আত্মসমর্পণ। ফখরুদ্দীন- ম ইউ আহমেদ শেষ পর্যন্ত সমঝোতা করেই নামে মাত্র নির্বাচন করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। শর্ত ছিলো তাদের নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া। যদিও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। বলেছেন, তাদের আন্দোলনের ফসল। নির্বাচনের পর তারা দেশ ছেড়েছেন। দেশপ্রেমিক থেকে অনেকটা দেশদ্রোহী হয়েছেন। যে কারণে প্রিয় জন্মভ‚মিতে যেতেও পারছেন না। সত্য্যি কথা বলতে কী বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে তারাই হত্যা করেছেন। রাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আসলেই তারাই দায়ী। ৯০ এর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পর হাঁটি হাঁটি করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিলো। গণতান্ত্রিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করতে যাচ্ছিলো। ঠিক সেই সময়ই তাদের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল। বিএনপি সরকারের আমলে সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে বিএনপির সাথেই বৈঈমানী। পিএনপির পিঠ চুরিকাঘাত করে অনেকটা এখন বিদেশে পুনর্বাসন। শুধু কী তাই- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পঙ্গু করা, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করার যেন মিশন ছিলো তাদের। ঐ সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ফমুর্লা অনুযায়ী বিদেশে চলে গিয়েছিলেন। মাইনাস টু ফর্মুলা বেগম খালেদা জিয়ার কারণেই তারা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এটাই আমার দেশ, এই জনগণই আমার সন্তান। মৃত্যু বরণ যদি করতেই হয় তাহলে এই দেশেই মৃত্যুবরণ করবো। বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ়তায় ব্যর্থ মইন-ফখর গংরা। বেগম খালেদা জিয়ার কারণেই শেখ হাসিনা দেশে ফিরে যেতে পেরেছিলেন। শেখ হাসিনা দেশে গেলেন সমঝোতা করে প্রধানমন্ত্রী হলেন। আর যিনি তার দেশে যাবার পথ তৈরি করে দিলেন তাকেই মিথ্যা মামলা এবং ফরমায়েশি আদেশে জেলে ঢুকালেন, এক কাপড়ে স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে বের করে দিলেন। রাজনীতি কত নিষ্ঠুর এবং নির্মম। ক্ষমতার স্বাদ কত বিভৎস। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কুলশিত করা হল, সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে অনেকটা দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হলো, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে দলীয় পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করা হলো, বিচারালয়কে যেন আওয়ামী লীগের দলীয় বৈঠকখানায় পরিণত করা হলো। এক অর্থে বলা যায়, রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্গানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। রাজনীতির নামের দলীয় থাবা এখন বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে। দল করার অধিকার যেন কেড়ে নেয়া হয়েছে। দল করবেন আওয়ামী লীগ করবেন। অন্য কোন দল করলেই হামলা, মামলা, নির্যাতন বা গুম। বাংলাদেশে যেন এখন এক দলীয় বাকশালের রূপ দেখা যাচ্ছে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ মিডিয়ার হাত পা বেধে ফেলা হয়েছে আইন করে। বলা যায় অদ্ভ‚ত এক উটের পিঠে চলছে স্বদেশ।

২০২৩ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র মাঠের রাজনীতি এখন সরব। রাজপথ হারা বিএনপি বিদেশীদের হস্তক্ষেপে আবার রাজপথ দখলের চেষ্টা করছে। তাদের লক্ষ্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, দলীয় সরকার যেহেতু ভোট চোর, ভোট ডাকাত সেহেতু তত্ত¡াবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই। সবার প্রত্যাশা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক।

শেয়ার করুন