২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০২:২৩:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


রাইজ আপ নিউইয়র্ক সিটির অনুষ্ঠানে মেয়র এডামস
বাংলাদেশিদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজেরা নেতৃত্ব নেবে, না অন্যদের আমন্ত্রণ জানাবে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৫-২০২৩
বাংলাদেশিদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজেরা নেতৃত্ব নেবে, না অন্যদের আমন্ত্রণ জানাবে এরিক অ্যাডামসের সঙ্গে নেতৃবৃন্দ


নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচনে বাংলাদেশিদের শক্তি প্রদর্শনের সময় এসেছে। ৫০ হাজার বাংলাদেশি ভোটার সিটিওয়াইড লিডারশিপ নির্ধারণে শক্তিশালী ভূমিকা নিতে হবে। ভোট প্রদান করে সে শক্তি প্রদর্শন করুন। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করতে বলুন। আমি ব্রুকলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডসে, ব্রঙ্কস ও কুইন্সে বাংলাদেশি কমিউনিটির উত্থান দেখছি। জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে বাংলাদেশি কমিউনিটি একটি বড় শক্তি। এখন বাংলাদেশিদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী নিজেদের নেতৃত্ব নিজেরা বেছে নেবে না অন্য কমিউনিটির নেতাকে নিজেদের নেতা বানাবে। গত ১২ মে কুইন্সের আগ্রা প্যালেসে ‘রাইজ আপ নিউইয়র্ক সিটি’ আয়োজিত ‘লিডারশিপ সামিট’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। ‘রাইজ আপ নিউইয়র্ক সিটি’র সভাপতি নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ অফিসার শামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির। এতে সিটির নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ কমিউনিটির অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলওম্যান জেনিফার রাজকুমার, মেয়রের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মীর বাশার, মেয়রের সাউথ এশিয়া ও মুসলিম অ্যাফেয়ার্সের সিনিয়র অ্যাডভাইজর আহসান চৌতাই, মেয়রের ডেপুটি কমিশনার দিলীপ চৌহান, নিউইয়র্ক স্টেটের সিনেটর জন লু, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর রবার্ট জ্যাকসন, মোহাম্মদ বাহি, ডেভিয়েন ডানিয়েল, ম্যারিয়েন গনজালেজ, হায়রাম মুনসারাত, চার্লস ক্যাস্ট্রো। বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের সিইও শাহ নেওয়াজ, আজকালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রানু নেওয়াজ, মূলধারার রাজনীতিক ও এল্ডার হোম কেয়ারের কর্ণধার গিয়াস আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, আমিন মেহেদী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ও মূলধারার রাজনীতিবিদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, গোলাম মোস্তফা, শেখ আল মামুন, রোকন হাকিম, আনাফ আলম, রাব্বি মোহাম্মদ। 

অনুষ্ঠানে ‘রাইজ আপ নিউইয়র্ক সিটি’র কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এরশাদুল সিদ্দিকী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, ভাইস প্রেসিডেন্ট এমডি লতিফ, ভাইস প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবীর, ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াজোঁ জামিল সরওয়ার, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর জুয়েল, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইশমাম চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ উদবা। 

মেয়র এরিক অ্যাডামস আরো বলেন, ক্রিমিনাল সিস্টেমের দুর্বলতা আমি ভালোভাবে বুঝি। আমিও এ আইনে একবার গ্রেফতার হয়েছিলাম। গড আমাকে এই সিটির মেয়রও নির্বাচিত করেছেন। তিনি বলেন, ৩২ বছর ধরে পাবলিক সার্ভিস করছি। পুলিশ অফিসার, স্টেট সিনেটর, ব্যরো প্রেসিডেন্ট থেকে আজ আমি গ্রেট সিটি নিউইয়র্কের মেয়র। এই শহর চার্চ, মসজিদ, মন্দির ও সেনেগালের শহর। এটা নিউইয়র্ক সিটির বিউটি। সব ধর্মেই মানবতার কথা বলা হয়েছে। আমি এই শহরে বন্দুক দেখতে চাই না, আমি এই শহরে মানবতা দেখতে চাই। আল্লাহ, জিসাস, আব্রাহাম মানবতাই আমাদের শিক্ষা দেয়। আমি এই সিটিকে ভালবাসি, আমি এই সিটি নিয়ে গর্ব করি। আসুন আমরা একে অন্যকে ভালবাসি। তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটি নিয়ে আরো বলেন, এই সিটিতে মেয়র আফিসসহ বর্র্তমানে প্রায় ১২ হাজার চাকরি আছে। এই চাকরিতে আপনারা যোগদান করতে পারেনঅ অথবা আপনাদের সন্তানদের উৎসাহিত করতে পারেন।

 তিনি বলেন, টাইটেল ৪২ উঠে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে হাজার মাইগ্র্যান্ট দেশের দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে নিউইয়র্কে আসবে। আমি জানি কীভাবে এই সংকট মোকাবিলা করতে হয়। আমাদের ফেডারেল সহযোগিতা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে এটি একটি জাতীয় ইস্যু।

মেয়রের বক্তৃতার পর ‘রাইজ আপ নিউইয়র্ক সিটির সভাপতি শামসুল হক অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং মেয়রকে বাংলাদেশের স্মৃতি সৌধের একটি ক্রেস্ট উপহার দেন।

সংগঠনের সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলধারার রাজনীতি সম্পর্কে যুবসমাজকে অবগত ও সম্পৃক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য। তারা বলেন, মূল ধারায় আমাদের নতুন প্রজন্মের সম্পৃকতা বাড়ছে। এই ধারা আরো বাড়াতে রাইজ আপ নিউইয়র্কের লক্ষ্য। সামনের দিনগুলোতে আমেরিকান বাংলাদেশি প্রজন্ম নিজেদের ভোটের অধিকার থেকে শুরু করে প্রত্যাশিত অধিকার আদায়ে যেন সচেষ্ট থাকে, এই বিষয়গুলোতে সচেতন করতেই এই রাইজ আপ নিউইয়র্ক সিটির অগ্রযাত্রা চলবে বলে জানান আয়োজকরা।

শেয়ার করুন