২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১১:৩৭:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


যুক্তরাষ্ট্রে পোকার কামড়ের পর মাংস খেয়ে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ আলফা-গাল সিনড্রোমে ভুগছেন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৮-২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রে পোকার কামড়ের পর মাংস খেয়ে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ আলফা-গাল সিনড্রোমে ভুগছেন গরুর মাংস


ছোট্ট একটি পোকা। নাম টিক (এঁটুলি)। পোকাটির কামড়ের পর মাংস বা প্রাণিজাত খাদ্য খেলে অনেক মানুষের শরীরে দেখা দিচ্ছে অ্যালার্জি। বিজ্ঞানীরা এ জটিলতার নাম দিয়েছেন আলফা-গাল সিনড্রোম। এই জটিলতা মৃত্যুঝুঁকিও ডেকে আনতে পারে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে হয়তো প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আলফা-গাল সিনড্রোমে ভুগছেন।  

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) গত ২৭ জুলাই এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, লোন স্টার টিক নামে পোকাটির একটি প্রজাতির লালা থেকে জটিলতাটি দেখা দিচ্ছে। পিঠের সাদা দাগ দেখে পোকাটি শনাক্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে এটি বেশি দেখা যায়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে পোকাটি আরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।

লোন স্টার টিকের কামড়ের পর নির্দিষ্ট কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণিজাত খাবার খেলে আলফা-গাল সিনড্রোম দেখা দিতে পারে। এই খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে শূকর, গরু, খরগোশ, ভেড়া ও হরিণের মাংস এবং জিলেটিন, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য ও নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ। এগুলো খেলে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, চর্মরোগ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সিডিসি বলছে, আলফা-গাল সিনড্রোমের প্রভাব মানুষভেদে ভিন্ন হতে পারে। এই প্রভাব মৃদু, তীব্র বা প্রাণঘাতী হতে পারে। এ ছাড়া অ্যানাফিলাক্সিস নামের একধরনের অ্যালার্জিজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই জটিলতায় শরীরের একাধিক অঙ্গের ওপর প্রভাব পড়ে। ফলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে অনেকের শরীরে আলফা-গাল সিনড্রোমের প্রভাব সব সময় না-ও পড়তে পারে। আবার মাংস পরিপাক করতে বেশি সময় নিলে এই জটিলতার লক্ষণগুলো ধরা কঠিন হতে পারে। সিডিসি বলছে, ২০১০ সালে থেকে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি আলফা-গাল সিনড্রোম শনাক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শনাক্তের পরিমাণ প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার করে বেড়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্তের চেয়ে বেশি মানুষের শরীরে আলফা-গাল সিনড্রোম বাসা বাঁধতে পারে বলে মনে করছে সিডিসি। তাদের ধারণা, সংখ্যাটা ৪ লাখ ৫০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসকরাও এই জটিলতার সঙ্গে তেমন পরিচিত নন। গত বছর ১ হাজার ৫০০ চিকিৎসকের ওপর একটি জারিপে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ৪২ শতাংশ আলফা-গাল সিনড্রোমের কথা কখনো শোনেননি।

শেয়ার করুন