২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:৪২:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


এক আমলার উপদেশে জ্বালানি সংকট
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৮-২০২৩
এক আমলার উপদেশে জ্বালানি সংকট


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাহসী এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন অর্জিত হলেও একজন আমলার দূরভিসন্ধিমূলক উপদেশে জ্বালানি সেক্টরে তীব্র সংকট। ফলশ্রুতিতে বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এখন গলার কাঁটা, জ্বালানি সংকটে বিদ্যুৎসংকট, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সেক্টরের কোম্পনিগুলো দেনার দায়ে দেউলিয়া প্রায়। ইদানীং ভদ্রলোক জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কটাক্ষ করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন। এই ভদ্রলোকের ভুল উপদেশের কারণে দেশের কয়লা সম্পদ বিষয়ে সরকারপ্রধান বিভ্রান্ত। শুরু হয়েছিল সিলেটের মৌলভীবাজারে মাগুরছড়া কূপখননের সময় অকসিডেন্টালের ব্যর্থতার কারণে blow out সময় থেকেই। 

এর পর এই ভদ্রলোক নিয়ে এসেছিলেন নাইকো নামের ব্যর্থ একটি প্রান্তিক কোম্পানিকে। সরকারের বর্তমান টার্মেও তার কারণেই বাপেক্সের ঘাড়ে ১০৮ কূপখননের অবাস্তব বোঝা চাপানো হয়েছিল। কঠিন সময়ে তার নেতৃত্বে শিল্পকারখানাসমূহে গ্যাসসংযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েও অনেক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। মূলত তার কারণেই কয়লা উত্তোলন হচ্ছে না। সাগরে মালটিক্লায়েন্ট সার্ভে কাজ বিলম্বিত হয়েছে। এমনকি সাগরে অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি উডসাইড পেট্রোলিয়াম প্রস্তাবিত গভীর সাগরে পাঁচটি ব্লকে অনুসন্ধান প্রস্তাব তার কারণেই ব্যর্থ। ইদানীং নাকি তার ১০ বছরের উদ্যোগের কারণেই এক্সন মোবিল গভীর সাগরে ১৫টি ব্লকে ৩০ বিলিয়ন বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। কীভাবে একজন উপদেষ্টা একটি বিশেষ কোম্পানিকে এভাবে এককভাবে আমন্ত্রণ জানায়?

বাংলাদেশে কিন্তু জ্বালানি সেক্টরের প্রাক্তন অভিজ্ঞ পেশাদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং ভূতত্ত্ববিদ আছেন। ওনারা কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশীয় গ্যাস এবং কয়লা উত্তোলন বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছেন। দেখলাম, ব্যর্থ ব্যক্তিটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কটাক্ষ করছেন। বর্তমান জ্বালানি সংকট, নানা সেক্টরে বিপুল অর্জনের মধ্যেও সরকারকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, সরকারের কিছু উপদেষ্টা এই সংকটের জন্য একান্তভাবে দায়ী। মাটির নিচে স্থলভাগে এবং সাগরে এখনো বিপুল গ্যাসসম্পদ মজুদ আছে, প্রমাণিত উন্নত মানের কয়লাসম্পদ আছে। এতদসত্ত্বেও এগুলো উপেক্ষা করে আমদানিকৃত জ্বালানি দিয়ে বাংলাদেশের কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জন হবে না। 

জ্বালানি বিশেষজ্ঞের মতো এতো বড় তকমা হয়তো নেই, তবে দেশের নিজস্ব জ্বালানিসম্পদ নিয়ে দুনিয়ার যে কোনো স্থানে অভিজ্ঞ দর্শকের সামনে বিতর্ক করতে রাজি আছি। মনে রাখতে হবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা দেশের গ্যাসসম্পদ, জ্বালানিসম্পদ নিয়ে খাঁটি কথাই বলছেন। বিশেষজ্ঞদের কটাক্ষ করা একজন বিতর্কিত মানুষের শোভা পায় না। বিশেষত, যখন তিনি সংকটের জন্য দায়ী বলে ইতিমধ্যে মানুষ মনে করতে শুরু করেছে।

শেয়ার করুন