২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১১:৩০:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


মার্কিনী চাপে কিংকর্তব্যবিমূঢ় আওয়ামী লীগ
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১০-২০২৩
মার্কিনী চাপে কিংকর্তব্যবিমূঢ় আওয়ামী লীগ মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সাথে আওয়ামী লীগের বৈঠক


যেভাবেই হোক দেশের বড় দল বিশেষ করে বিএনপিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজি করাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে কঠোরভাবে পরামর্শ দিয়েছে ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদল। এই দায়িত্ব ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নিতে বলেছে তারা। এর বদলে ছলচাতুরি করে যেনতেনভাবে নির্বাচন করিয়ে নেয়ার ব্যাপারেও সর্তক করে দেয়া হয়েছে ক্ষমতাসীনদের। এবারেও ২০১৪ বা ২০১৮’র মত নির্বাচন করিয়ে নিলে তাকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলে আন্তর্জাতিক মহলেও স্বীকৃত মিলবে না, সে ব্যাপারে সর্তক করে দেয়া হয়েছে প্রতিনিধিদলটির পক্ষ থেকে।

এদিকে পশ্চিমাদের তথা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদল এমন কঠোর পরামর্শে দিশেহারা হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড। তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। এসব তথ্য মিলেছে উভয় দলের বেশ কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদল। তারই অংশ হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল চলতি সপ্তাহে গত সোমবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক  বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অন্যদিকে সাউথ এশিয়া তদারকিকে নিয়োজিত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক সহকারী সচিব কার্ল এফ. ইনডারফুর্থ এবং মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি’র প্রাক্তন উপ-প্রশাসক বনি গ্লিক যৌথভাবে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিনিধি বাকিরা হলেন- মালয়েশিয়ার হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন সহযোগী কাউন্সেলর জামিল জাফর, এনডিআই’র এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ এবং আইআরআই’র সিনিয়র ডিরেক্টর (এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল) জোহানা কাও।

বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে আ.লীগের বক্তব্য..

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদলটি গত সোমবার আ.লীগের সাথে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কিছুই বলেননি। তবে তারা প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী এই প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নাগরিক সংগঠন এবং নারী ও তরুণদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবে। বাংলাদেশের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে কাজ করা বিদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও প্রতিনিধিদলের সদস্যরা কথা বলবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদলটি ঢাকা সফরের আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রেস অ্যাটাশে ও মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না, তা যাচাই করতে একটি প্রতিনিধিদল এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) যৌথভাবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করছে। সেই হিসাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদল সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠকে বসেন। 

বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের বক্তব্য..

বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন ‘তারা আমাদের মনোভাব জানতে চেয়েছে, আমরা কী করতে চাই, কেমন নির্বাচন চাই, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কীভাবে দেখছি। এপ্রসঙ্গে  তিনি আরো বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আসেনি। ‘তারা এখানে একটা ভালো নির্বাচন দেখতে চায়। তিনি আরো জানান, যে প্রতিনিধিদলটির কথাবার্তা ইতিবাচক ছিল। কোনো পক্ষ নিয়ে কথা বলেনি। তারা পরিস্থিতি বুঝতে চায়। নির্বাচনের পরিবেশ, বাস্তব অবস্থা, সংঘাতের আশঙ্কা আছে কি না, সেটি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে কাদের আভাস দেন যে, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে বিএনপির দাবির ব্যাপারেও যে বৈঠকে আলোচনা এসেছে। যদিও কাদের এমন প্রসঙ্গে জানান যে, ‘তারা বলেছে, কম্প্রোমাইজ ও অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমঝোতা ও আপসের) মাধ্যমে সমাধান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? আমরা বলেছি, কম্প্রোমাইজ ও অ্যাডজাস্টমেন্টের জন্য স্পেস থাকতে হয়। সেই স্পেস বিএনপি রাখেনি, বন্ধ করে দিয়েছে।’ কিন্তু গণমাধ্যমে এসেছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার অ্যাডজাস্টমেন্টের (মেনে নেওয়া) কোনো সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় কিনা তা জানতে চেয়েছে তারা।  তবে এ বিষয়ে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। অপরদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির দাবির প্রসঙ্গে প্রতিনিধিদলকে কী জানিয়েছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রথমত বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো মৃত একটি ইস্যুকে সামনে এনেছে। তাদের এক দফা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে। এসব দাবির মুখে কীভাবে সমঝোতা হবে। বিএনপি বা বিরোধী দলের যেসব দাবি এখন চলছে, সে বিষয়ে প্রতিনিধিদল একটি কথাও বলেনি।

বৈঠকে আসলে কী হয়েছে..

ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদলের সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে বৈঠকে আসলে কি হয়ে সে ব্যাপারে অনেক কিছুই চেপে যাওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে। তবে বৈঠকের একটি সূত্র জানায় কূটনৈতিক ভাষায় অতটা রুঢ হওয়া যায় না যতটা বাইরে বলাবলি হচ্ছে। তিনি বলেন, বৈঠকে সমঝোতার প্রশ্নটি তখনই আসে যখন ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদলটি আওয়ামী লীগের নেতাদের আহবান জানিয়ে বলেন যে, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে বিএনপিকে প্রয়োজন। বাংলাদেশের এমন বড় দল যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয় বা তাদেরকে যদি নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখার ব্যাপারে কৌশল নেয়া হয়, তা হবে সরকারি দলের জন্য বুমেরাং। কেননা আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। আর বাইডেন প্রশাসন খোদ আমেরিকার প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ফিরিয়ে আনা। তাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা মার্কিনীদের একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আর এসব বিষয় যে সুস্পষ্টভাবেই আলোচিত হয়েছে তা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথাতেও ফুটে উঠেছে। কেননা তিনি স্বীকার করে নেন যে, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। সেক্ষেত্রে ধারণাই করা যায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে সারা বিশ্বে তাদের কৃতিত্বটি তুলে ধরতে চায়। সেলক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে এখন যুক্তরাষ্ট্র। 

যুক্তরাষ্ট্রও কি চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার?

যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জোরালোভাবে গণমাধ্যমে বলেলনি যে আসলে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুটি তুলেছে বা দাবি জানিয়েছে কি-না? তবে বৈঠকের একটি সূত্র জানায় ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদলটি যখন বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আনতে চাপ দেয় তখন বুঝতে বাকি নেই তারা আসলে কি বোঝাচ্ছে। স্পষ্টতই ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদলটি ঘুরে ফিওে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটিই উপস্থাপন করেছে। কারণ বিএনপি একটি নিরপেক্ষ তদারকি বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ক্ষমতাসীনদের আমলে কোনো নির্বাচনে অংশই নেবে না। আর আমেরিকাসহ পশ্চিমারা চায় বিএনপিসহ আরো দল আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিক। ফলে এটাই স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সরকারকে এবারে সত্যিকারার্থে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে হবে। সেটা করতে হলে বিএনপিকে লাগবেই। আর বিএনপিতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না। এটা মার্কিনীসহ পশ্চিমারা ভালোভাবেই জানে। তাই তারা বারবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চেয়ে এক দিকে বিএনপির পক্ষে যেমন হাওয়া দিচ্ছে অন্যদিকে তত্ত্বাবধয়ক সরকারের দাবিটিও কৌশলে বলে যাচ্ছে। আর সেজন্যই প্রতিনিধিলটি জানিয়েছে যে, বাংলাদেশ এবারে ২০১৪ বা ২০১৮ মতো নির্বাচন করে ফেললে সেজন্য দেশটিকে যে ভয়াবহ মাসুল দিতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমটাই বৈঠকে সর্তক করা হয়েছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, যা ইতোমধ্যে ভালোভাবে প্রকাশ পেয়ে গেছে। কেননা ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদলের আসার  আগে গত জুলাইয়ে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশসহ নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাংলাদেশ সফর করে যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

সিইসি’র মুখেও একি কথা..

ঘুরে ফিরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের মুখেও একি কথার প্রতিধ্বনি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয় ছিল বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। নির্বাচনের সময় কমিশন কীভাবে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে তাও তারা জানতে চেয়েছিল। ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি এ কথা জানান।

শেষ কথা..

সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচনী প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সাথে কথা হয় এই প্রতিনিধির। তারা জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদলের আচরণে তারা নেতিবাচক কিছু না দেখা গেলেও তারা এতে একটি কৌশল লক্ষ্য করেছেন। তা হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে বিএনপিকে বাদ দেয়া যাবে না। আর বিএনপিকে নিতে গেলে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সেই কাঠামোতেই নিয়ে যেতে হবে। ফলে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড এখন দিশেহারা বলা চলে, দোটানায়ও পড়েছে বলে কারো কারো অভিমত।

শেয়ার করুন