২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:২৩:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


গ্রেফতার ধরপাকড়ে কঠোর বার্তা পশ্চিমাদের
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১১-২০২৩
গ্রেফতার ধরপাকড়ে কঠোর বার্তা পশ্চিমাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে


বাংলাদেশে বিরোধী দলীয়দের গ্রেপ্তার নিয়ে ইইউর উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইইউর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র একিই বিষয়ে এধরনের ঐকমত্য নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে তোলপাড় দেখা দিয়েছে। এনিয়ে নানান গুঞ্জন বাতাসে। বিরোধী দলীয়দের গ্রেপ্তার নিয়ে ইইউর উদ্বেগের সঙ্গে একিই সময়ে একমত পোষণ রহস্যজনকও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল। আভাস দিচ্ছে, পশ্চিমাদের কাছ থেকে একেযাগে আরো বিপদজ্জনক কোনো সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করছে কি-না। 

কেন এমন বিবৃতি

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের দিন ব্যাপক সহিংসতায় এক পুলিশ সদস্যসহ দুই জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতারই দেখানো হয় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আরো অনেককে। আর এর পর চলে একধরনের ক্র্যাক ডাউন। একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সংঘাতের পর থেকে গত ৪ নভেম্বর শনিবার পর্যন্ত আট দিনে সারা দেশে দলটির অন্তত ৭ হাজার ৮৩৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই গ্রেফতারের তালিকায় দলটির মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা রয়েছেন অন্তত সাতজন। সাবেক সংসদ সদস্যসহ জেলা ও মহানগর পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। আর এতে করে গত ২৮ অক্টোবর থেকে পুলিশের ব্যাপক অভিযান শুরুর পর বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতার বেশির ভাগই আত্মগোপনে রয়েছেন।

আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিবাদ

এরই মধ্যে বিএনপির ডাকে গত ২৯ অক্টোবর রবিবার সারাদেশে হরতাল পালিত হয়েছে। এই হরতালের সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাসহ মোট তিন জন নিহত হয়েছে। রবিবারের হরতালের পর মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এরপর আরো অবরোধ দেয়া হয়েছে।  কিন্তু ২৮ তারিখের ঘটনার পর বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় দেয়া বিবৃতি সবাইকে চমকে দেয়া হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ’ধারণা করা হচ্ছে- ২৮শে অক্টোবর সহিংসতাকারীরা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক। সংস্থাটির কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, যা বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় থেকে বলা হয়, চলমান এই সহিংসতায় বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য, পথচারী ও বিরোধী দলের কর্মীরা রয়েছেন। গত ২৮শে অক্টোবর বিরোধী দলের বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিচারপতিসহ অন্য কয়েকজন বিচারকদের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক বিক্ষোভকারী ও মোটরসাইকেলে চড়ে আসা মুখোশধারী ব্যক্তিদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলাকারীরা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক ছিলেন। এমন ভয়ানক তথ্য দিয়ে সংস্থাটি সর্তকও করে দিয়ে বলেছে। বলেছে, বাংলাদেশ যখন নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে তখন আমরা সকল রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য। আমরা তাদেরকে সহিংসতায় উস্কানি সৃষ্টি করতে পারে এমন বিবৃতি প্রদান বা কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। 

উদ্বেগ ইউরোপীয় ইউনিয়নের

এদিকে জাতিসংঘের এমন বিবৃতির রেশ কাটতে না কাটতে আরেকটি কড়া বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের জের ধরে সারা দেশে দলটির নেতাকর্মীদের যেভাবে ধরপাকড় চলছে, তাতে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপায় বের করার আহ্বান জানিয়েছে তারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল গত ৫ নভেম্বর রোববার সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে আট হাজারের বেশি বিরোধী নেতা–কর্মী গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানাচ্ছি। প্রতিটি মামলায় অবশ্যই ন্যায়বিচার হতে হবে।’ সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জোসেপ বোরেল লিখেছেন, ‘আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করি।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘অংশগ্রণমূলক নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ উপায় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার জন্য সহায়ক হবে।’

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একমত

এদিকে বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও ধরপাকড় বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জানানো নিন্দার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। গত ৫ নভেম্বর রোববার ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এই নিন্দা জানান। পরে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস একমত পোষণ করে। বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে বোরেলের টুইট শেয়ার করে লেখা হয়, ‘আমরাও এর সঙ্গে একমত।

উদ্বেগ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

অন্যদিকে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি খুব গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি। বাংলাদেশে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণœ করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজকে চিঠি লিখেছিলেন দেশটির ১৫ জন সিনেটর। এতে স্বাক্ষরকারীদের একজন এবং দেশটির প্রভাবশালী সিনেটর ডেভিড শুব্রিজের কাছে গত ১ নভেম্বর লেখা ফিরতি চিঠিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

গ্রেফতার বন্ধের আহ্বান ৮ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের

এদিকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিক্ষোভ দমনে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসসহ আট আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।  গত ৬ নভেম্বর সোমবার এক বিবৃতিতে সংগঠনগুলো বাংলাদেশের চলমান বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন ও বিক্ষোভে সহিংসতা এবং গ্রেফতার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পদত্যাগ এবং একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে। কিন্তু নির্ধারিত তারিখের আগেই ১২০০ জনেরও বেশি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে তাদের বাড়ি-ঘরসহ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ২৮শে অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।  গণমাধ্যমগুলোর রিপোর্টের বরাত দিয়ে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্টে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে- ২৮ অক্টোবর সমাবেশের সময় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছিল। এতে অন্তত তিনজন নিহত হন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যদিও বিক্ষোভকারীরাও সহিংস আচরণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু এসব সহিংসতা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ভিন্নমত দমন করতে নেওয়া চরম পদক্ষেপের একটি উদাহরণ। বিবৃতিতে বলা হয়, বিক্ষোভ চলাকালীন প্রাণহানি এবং সহিংসতা নিয়ে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। বিক্ষোভ শেষে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় অভিযান চালায়। বিবৃতিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলে, আটক ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে পারেন বলে আমরা আশঙ্কা করছি। নিরাপত্তা বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের হাতে নির্যাতন এবং দুর্ব্যবহারের অভিযোগ গত কয়েক সপ্তাহে বহুগুণ বেড়েছে। বাংলাদেশ সরকার ভিন্নমত দমন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শান্তি দিতে কম প্রাণঘাতী অস্ত্রসহ ব্যাপক শক্তি ব্যবহার করেছে। এটি গণতন্ত্রের নীতি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকারকে আরও ক্ষুন্ন করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই। বিবৃতিতে সর্তক করে দেয়া হয় যে, মানবাধিকার রক্ষা ও প্রচারে নিজেদের অঙ্গীকার বজায় রাখা এবং বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অবশ্যই বাংলাদেশের ওপর ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউতে (ইউপিআর) এই উদ্বেগগুলি উত্থাপন করতে হবে। আগামী ১৩ নভেম্বর এটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনেও এমন ঐক্যমত্য

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সম্প্রতি বিদেশি কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্রিফ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিএনপি’র সমাবেশ ঘিরে রাজধানী ঢাকায় যে সহিংসতা হয়েছে, তা বিদেশি কূটনীতিকদের জানিয়েছে সরকার। সরকারের দেয়া ব্রিফের পরপরই বিদেশি কূটনীতিকরা কেনো কোনো ধরনের প্রশ্ন করেননি। তারা এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আগ্রহীও হননি। বিদেশি কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে সরকারের এমন ব্রিফের পর সব কূটনীতিকরা একযোগে নিরবতা বা কোনো ধরনের প্রশ্ন করলো না কেনো তা নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। কার নেতৃত্বে তাদের এমন নিরবতা- রাজনৈতিক অঙ্গনে তা-নিয়ে  অনেক বড়ো প্রশ্নবোধক তৈরি করেছিল সে-সময়ে। 

শেষ কথা..

বিএনপিসহ বিরোধীদলের উপরে নির্যাতন-ধরপাকড় চলছে বলে আন্তর্জাতিক মহল পৃথক পৃথকভাবে অনেকবারই বলেছে। জানিয়েছে নিন্দা। কিন্ত এরসবই ছিল আলাদা আলাদাভাবে। কিন্ত এবারই এদিকে বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও ধরপাকড় বিষয়ে কোনো একটি সংস্থার সাথে আরেকটি একমত পোষণ করেনি। কিন্তু এবার বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও ধরপাকড় বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জানানো নিন্দার সঙ্গে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একমত পোষণকে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা আসলে ভিন্ন চোখে দেখছেন। তারা মনে করে, বাংলাদেশে গ্রেপ্তার ধরপাকড় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জানানো নিন্দার সঙ্গে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস একমত পোষণ করাকে বিষয়টি অবশ্যই ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। তারা মনে করেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নয়-নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য, সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক হয় এমন দাবিটির বাস্তবায়নে পুরো পশ্চিমারা এখন একাট্টা। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সামনের দিনগুলি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাল দিয়ে বাজিমাত করবে না-কি পুরো দেশ আরো ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে তা দেখার অপেক্ষায় বিশ্লেষকরা।

শেয়ার করুন