২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:৪৩:৫০ অপরাহ্ন


আওয়ামী লীগের ভাবনায় নির্বাচন-পরবর্তী আন্তর্জাতিক চাপ
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১১-২০২৩
আওয়ামী লীগের ভাবনায় নির্বাচন-পরবর্তী আন্তর্জাতিক চাপ


আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ধরে নেয়া যায় যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি মাঠের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ তাদের সাথে আন্দোলনরত সমমনাদের অংশগ্রহণ ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ বারবার বিভিন্ন পক্ষ থেকে যা-কে বলা হচ্ছে একতরফা নির্বাচন। সম্ভবত তা-ই হতে যাচ্ছে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহলে জোর আলোচনার পাশাপাশি উৎসক্য যে, ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো আসলেই নির্বাচন কি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ করে ফেলতে যাচ্ছে? এমনটা হয়ে গেলে কি হবে ভবিষ্যতে? কারা এর ভুক্তভোগি হবে বা হতে যাচ্ছে? ভবিষ্যতে সরকার কি জাতীয় আন্তর্জাতিক বিশেষ করে পুরো পশ্চিমাদের সমালোচনা কঠোর পদক্ষেপ হজম করে দেশকে বর্তমানে যে গতিতে এগিয়ে নিচ্ছিল তা চলমান রাখতে পারবে? পারবে কি আমেরিকাসহ পশ্চিমাদের চোখ রাঙিয়ে চলতে? আমেরিকাসহ পশ্চিমাদের স্যাাংশন বা নিষেধাজ্ঞায় কি তছনছ হয়ে যাবে না বাংলাদেশ? মুখে না বললেও ভেতরে ভেতরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ে এমনকি যারা এদলটির সাথে সমমনা সেজে নির্বাচন করতে যাচ্ছে তাদের মধ্যেও শঙ্কা উদ্বেগ বিরাজ করছে। তাদের মধ্যে উৎকন্ঠা নির্বাচনের পরে কি হবে? বড়ো ধরনের স্যাংশনে ক্ষমতাসীনরা কি দৃঢ়তা দেখাতে পারবে? মুখে উৎসবমুখর আমেজ লক্ষ্য করা গেলেও ভেতরে ভেতরে এমন উৎকণ্ঠা উদ্বেগ দেখা গেছে ক্ষমতাসীন ও তাদের সমমনাদের সাথে কথা একান্তে কথা বলে। 

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী,এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। প্রচারণা শেষ ৫ জানুয়ারি।

কারা কারা অংশ নিচ্ছে

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যা জানা গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও জোটের শরিকসহ মোট ১৫টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া এর বাইরের দলগুলো হলো জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। আওয়ামী জোটের বাইরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আগ্রহী দলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে কারো কারো অভিমত। 

নিষেধাজ্ঞা সব উলট-পালট করে দিলো

টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরে সবাই ধরে নিয়োছিল এবারেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এধরনের নির্বাচন করে পার পাবে না? পারবে না একতরফা নির্বাচন করতে। তাদেরকে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনাদের আন্দোলনের কাছে হার মানতে হবেই। এমন ধারণার জন্ম হয় আসলে বিএনপি’র তুখোড় আন্দোলনের কারণে নয়। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছিলো আমেরিকার দ্বারা র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের রাজনীতির সব হিসাব নিকাশ উলট-পালট করে দিয়েছে। গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার আগের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘেটে দেখা যায় যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ করে বিএনপি’র মতো একটি রাজনৈতিক দল বলা যায় রাজপথ কিংবা অন্য কোনো প্রকাশ্য স্থানে সভা সমাবেশ করার সাহসই পায়নি। বিএনপি’র মতে. ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদসহ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলনে তাদের দলের লাখ লাখ কর্মী বিভিন্ন সময়ে কারাগারে গেছেন। আর দলটি শীর্ষ নেতারাসহ লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আসলে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা অর্থ্যাৎ গুম খুন আর মামলা মোকাদ্দমার ভয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে টু-শব্দ করার সাহস পায়নি। সেক্ষেত্রে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনা বিএনপি’র জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখা বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন। প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের পরপর অন্যান্য পশ্চিমারা যখন একের পর এক বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন দাবি করে আসেছে , ঠিক তখন বিএনপিসহ তার সাথে আন্দোলনরত দলগুলি আরো ভরসা পেতে থাকে। ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর দেশী-বিদেশী চাপকে মাথায় রেখেই বিএনপি দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনকে এতোদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। 

এখন কেন শঙ্কায় আওয়ামী লীগ

‘গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার’ অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনাই বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়নি। এখানে আরো অনেক হিসাব নিকাশ কাজ করেছে বা করছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। তাদের মতে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপটি প্রত্যাহারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বহু চেষ্টা দেনদরবার করেছে আন্তর্জাতিক মহলে। বলা হয় একাজে একটি প্রতিবেশি দেশের শক্তিশালি কূটনৈতিক লবি ব্যবহার করে। কিন্তু কিছুতেই কিছু করা সম্ভব হয়নি বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে। বরং এর পর থেকে বাংলাদেশে এসে বহু বিদেশী শক্তিশালী কূটনৈতিকরা এসে বাংলাদেশে বিএনপি’র অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে কঠোরভাবে তাগিদ দিয়ে আসছে। বিশেষ করে ইইউ বিএনপি’কে ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানবে না বলেই অনেকে মনে করছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এবছর ফেব্রুয়ারিতে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায়। তিনি আরো বলেন, ইইউর সাতটি দেশের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আজকে বৈঠক করা। তারা চায় আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহসব দল অংশগ্রহণ করবে। এমন চাপ একের পর এক লেগেই আছে। এরপর পর বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেই চলেছেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অপরদিকে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হলে এর জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বার্তায় কোনো বদল আসেনি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরও যুক্তরাষ্ট্র একই বার্তা দিচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। আর তা হলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান। অন্যদিকে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবাধিকার পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির জন্য জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি চাইতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। 

শরিকরা উদ্বিগ্ন

ফলে এতসব আন্তর্জার্তিক চাপ মহামত উপেক্ষা করে পারবে কি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করিয়ে নিতে? পারবে কি রাজনীতির পাশাপাশি টালমাটাল অর্থনীতিকে সামাল দিয়ে সামনের দিকে এগুতে। কারণ খোদ জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে যদিও দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচন করতে চায়। কিন্ত এই মুহূর্তে নির্বাচনে গেলে স্যাংশন (মার্কিন নিষেধাজ্ঞা) আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করে বসেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি। তার এমন মন্তব্য আলোচনার ঝড় ফেলে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে যাওয়ার এখনও পরিবেশ তৈরি হয়নি। নির্বাচনে গেলে স্যাংশন আসারও সম্ভাবনা রয়েছে। তার এমন বক্তব্যের পরপরই গত সপ্তাতের ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানান জিএম কাদেরকে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত মাশরুর মাওলা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। দীর্ঘ এক ঘণ্টারও বেশি সময় বঙ্গভবনে ছিলেন জিএম কাদের। যদিও এই বৈঠকের ব্যাপারে জিএম কাদের জানান যে, তিনি সংলাপের উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন, এত্তসব ঘটনার পর জাতীয় পার্টি মনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন এতরফাভাবে করে ফেললেও শেষমেষ সার্বিক পরিস্থিতি হয়তো সামাল দিতে পাবে না। এমনটা-ও মনে করে মাঠের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামী লীগ নেতা এই প্রতিনিধিকে বলেন, ২০১৪ বা ২০১৮ মতো নির্বাচন করে এবার কোনোভাবেই পার পাবে না আওয়ামী লীগ। কারণ হিসাবে তিনি সর্বশেষ বিদেশী কূটনীতিকের আচরণ ও মন্তব্যকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র মহাসমাবেশ ঘিরে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সরকারি ভাষ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং কূটনীতিকরা শুনেছেন, কোনো কথা বলেননি .কোনো ধরনের প্রশ্নও করেননি। আওয়ামী লীগের এই নেতা মনে করেন এটা খুবই উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তিনি আরো বলেন, এতো কিছুর পরও যেখানে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেশী দেশ সব ফয়সালা করেই ফেলেছে ঠিক তখনই কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর কি করে বলে ফেললেন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় অস্ট্রেলিয়া? এর পাশাপাশি তিনি গত কয়েকদিনের সহিংসতার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন বলেও মন্তব্য করেন। তাই ধরেই নেয়া যায় এবারে একতরফা নির্বাচন করে ফেললে ক্ষমতাসীনরা কতো সামাল দিতে পারবে তা নিয়ে বড়ো ধরনের আশঙ্কা থেকেই যাবে-এমনটাই মনে করেন সেই আওয়ামী লীগ নেতা।

শেয়ার করুন