২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৮:৩৪:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


বিয়ানীবাজার সমিতির নির্বাচনে ১৯ পদে ৩৯ জন প্রার্থী
মনোনয়ন দাখিল থেকে ৩০ হাজার ৬৫০ ডলার সংগৃহীত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৯-২০২৩
মনোনয়ন দাখিল থেকে ৩০ হাজার ৬৫০ ডলার সংগৃহীত নির্বাচন কমিশন বাছাই পর্ব শেষে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করছেন


আগামী ২২ অক্টোবর বিয়ানীবাজার সমিতির নির্বাচন (২০২৪-২০২৫) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়ন গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওজনপার্কের ১০১ এভিনিউ ও ৭৭ স্ট্রিটে নির্বাচন কমিশনের পূর্ব ঘোষিত স্থানে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। প্রথম মনোনয়নপত্র জমা দেন মান্নান-জুয়েল প্যানেল। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মান্নান, সেক্রেটারী  প্রার্থী জহির উদ্দীন জুয়েল, ময়নুল হোসেন, ইফজাল আহমদ, গৌছ উদ্দীন খান,  নুরুল ইসলাম খান ও প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থী এবং সমর্থকরা। পরবর্তিতে  মনোনয়ন পত্র জমা  দেন মিছবাহ- অপু প্যানেল। মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় সভাপতি প্রার্থী  মিছবাহ আহমদ, সেক্রেটারী  প্রার্থী রেজাউল উল আলম অপু, সহ-সভাপতি প্রার্থী মুহিবুর রহমান রুহুল, মোজাহিদুল  ইসলাম, মোস্তফা কামালসহ প্যানেলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ছালেহ আহমদ মনিয়া, আব্দুন নুর, নুরুল ইসলাম।

উভয় প্যানেল ১৯টি পদের জন্য ৩৯ টি মনোনয়নপত্র জমা দেন। মান্নান-জুয়েল তাদের প্যানেলের ১৯টি পদে ১৯টি মনোনয়নপত্র ও মিছবাহ-রেজাউল প্যানেল ১৯টি পদের জন্য কোষাধ্যক্ষ সম্পাদক পদে ২টি মনোনয়নসহ ২০টি মনোনয়নপত্র  জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দান থেকে ৩০ হাজার ৬৫০ ডলার অর্থ সংগৃহীত হয়। মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় ছিল- বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। বাছাই পর্ব ছিল রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। বাছাই শেষে  রাত ১১ টার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহিউদ্দিন ১৯টি পদের জন্য ৩৯জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে মনোনয়ন বিক্রি করে ৩০ হাজার ৬৫০ ডলার সংগ্রহের কথা জানান। এ সময় কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ হেলাল আহমদ, আব্দুন নুর, ছালেহ আহমদ মনিয়া, নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদুল হক ছানু ৩৯ জন প্রার্থীর নাম বলার কথা বললে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উত্তরে যখন এখন কি নাম   ঘোষণা করতে হবে বলার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সবাই সমস্বরে নাম জানার আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সকল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। মান্নান-জুয়েল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন সভাপতি পদে আব্দুল মান্নান, সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন, সেক্রেটারী জহির উদ্দীন জুয়েল, সহ সেক্রেটারী রাজু আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তৈয়ব মোহাম্মদ তালহা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোস্তফা অনিক রাজ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হামিদ, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক কিবরীয়া শহীদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ এফএইচ সোনার, মহিলা সম্পাদক  ফাতিমা শীলা। কার্যকরি সদস্য ফখরুল হক, বদরুল উদ্দীন, মোহাম্মদ আব্দুছ খান, সামাদ আহমদ, আবু জাফর, মোহাম্মদ হোসেন আহমদ, নুর উদ্দিন। 

মিছবাহ-অপু প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে মিছবাহ আহমদ, সহ-সভাপতি পদে মুহিবুর রহমান রুহুল, সেক্রেটারি রেজাউল আলম (অপু), সহ  সেক্রেটারী মোহাম্মদ আবদুল ফাত্তাহ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হামিদ ও আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল কবির, দপ্তর সম্পাদক শামসুল আলম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফয়েজ আহমদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক জামিল আহমদ, প্রচার সম্পাদক আবু রাসেল, মহিলা সম্পাদক ফেরদৌস হাফসা হেলেন। কার্যকরি সদস্য মাসুদুর রহমান, ইকবাল হোসেইন, ফরহাদ হোসেন, মোহাম্মদ আমিন উদ্দীন, শরীফ উদ্দীন, রেজওয়ান আহমদ, মাহবুব উদ্দীন। 

মনোনয়ন পত্র জমাদানের সময় মিছবাহ-অপু ও মান্নান-জুয়েল প্যানেল উভয়ে ভিন্ন সময়ে নিজেদের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে ব্যানার, প্রার্থী ও সমর্থকদের মুহুর্মুহু স্লোগানে মনোনয়নপত্র জমা দান কার্যালয়ে আসেন। নির্বাচন কমিশন সবার সুবিধার্থে প্রার্থী ও কয়েকজন সমর্থক এসে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সুযোগ দেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে বলেন, মনোনয়ন পত্র গ্রহণের সময় কার্যকরি কমিটি অথবা উপদেষ্টাদের উপস্থিতি থাকার কথা নয়। কমিশনের এক জন সদস্য বিগত নির্বাচনে মান্নান-মাহবুব প্যানেলের পক্ষে    সংবাদ সম্মেলন করেন। আরেক সদস্য নিবন্ধনের পূর্বের দিন মান্নান-জুয়েলের প্যানেলের পক্ষে সদস্য নিবন্ধনে কাজ করেন। অনেকে বলতে শোনা যায় বিয়ানীবাজার সমিতির সদস্য নিবন্ধন হয়েছে এখানে বসবাসরত ১১টি ইউনিয়নের লোকজন  নিয়ে। অথচ কমিশনের ৩ জন সদস্য পৌর সভার ভিতরের। 

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর মিছবাহ-অপু ও মান্নান-জুয়েল প্যানেলের নির্বাচনী অফিস ছিল সমর্থকদের  উচ্ছ্বাস, স্লোগান, আলোচনা, মিষ্টি মুখ, রাতের খাবার- এ যেন অন্য রকম আবহ। আশ পাশ ঘিরে জটলা, কোলাহল মুখর পরিবেশ। অনেকে মনে করেছেন নির্বাচন হলো উৎসব আনন্দ-উৎসবপূর্ণ। সদস্য নিবন্ধনকালীন সময়ে নিবন্ধনের ৫ দিন পর অতিরিক্ত ১৯৬ ভোটের কেলেঙ্কারি আসন্ন ভোটের ইমেজকে অনেক ম্লান হলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কোর্টের দ্বারস্থ না  হয়ে শুধুমাত্র প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ থেকে নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন। ২২ অক্টোবর বিয়ানীবাজার সমিতির সাড়ে সাত হাজারের উপর ভোটার নিয়ে নির্বাচন কমিশন সুন্দর ভোট উপহার দেয়ার উপর নির্ভর করবে বিয়ানীবাজার সমিতির সম্মান।

শেয়ার করুন