২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৩:২৮:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ভবন থাকবে, কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না : মইনুল
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০১-২০২৪
ভবন থাকবে, কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না : মইনুল শূন্য আসনে নিয়োগপ্রাপ্তদের শপথ বাক্য পাঠ করাচ্ছেন সভাপতি শাহীন কামালী


প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের শাহীন-মইনুলের নেতৃত্বাধীন কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এস্টোরিয়ার জালালাবাদের নিজস্ব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হয়। ভবন ক্রয়কে কেন্দ্র মূলত জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বদরুল-রোকন। আরেক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন শাহীন-মইনুল। বিভক্তিকরণে কার্যকরি কমিটিও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। কার্যকরি কমিটিতে পদ শূন্য হয়ে যায়। মূলত সেসব শূন্য পদে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম বলেন, আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন ২০২২ সালের নির্বাচনে আমাদের একমাত্র এজেন্ডা ছিল জালালাবাদবাসীর হৃদয়ের গহীনে লালিত দীর্ঘ ৩৮ বছরের ‘স্বপ্ন’ একটি নিজস্ব ভবন ক্রয় করা। আজ আমরা যেখানে বসে আছি এটাই জালালাবাদবাসীর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন এবং দৃশ্যমান জালালাবাদ ভবন। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের স্বপ্নের জালালাবাদ ভবন ক্রয়কে কেন্দ্র করে সংগঠনের কার্যকরি পরিষদ দ্বিধাবিভক্ত। এটা আপনাদের কারো অজানা নয়। কিন্তু এসব কাটিয়ে উঠে সংগঠনকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে বর্তমান কার্যকরি কমিটি এবং সব জালালাবাদবাসীর সহযোগিতায় আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমান কমিটির কিছু সংখ্যক সদস্যের অসহযোগিতা, সংগঠনের প্রতি অনীহা ও পরপর তিনের অধিক সভায় অনুপস্থিতির কারণে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য হয়েছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের আগামী দিনের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে আমরা শূন্য পদসমূহ পূরণ করার প্রয়োজনীয়তা মনে করছি।

তিনি আরো বলেন, জালালাবাদের সাধারণ সভায় বহিষ্কৃত সভাপতি বদরুল খান বিগত ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে সাংবাদিক সম্মেলনের নামে জালালাবাদ ভবন নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছেন এতে সাধারণ জালালাবাদবাসীকে হেয়প্রতিপন্ন এবং আমাদের প্রিয় সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এই ষড়যন্ত্রমূলক, ন্যাক্কারজনক ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ভবন জালালাবাদবাসীর দীর্ঘ ৩৮ বছরের স্বপ্নের প্রতীক্ষার ফসল। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনেকেই ভবন ক্রয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তাদের মেধা, শ্রম ও অর্থ দিয়ে পরলোকে চলে গেছেন। আমি তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। মহান আল্লাহর কাছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

তিনি আরো বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আপনাদের জানাতে চাই প্রিয় জালালাবাদবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এবং আমার সহকর্মীদের সহযোগিতায় স্বপ্নের জালালাবাদ ভবনকে অক্ষত ও মর্টগেজমুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ। আমি আরো দৃঢ়তার সঙ্গে আপনাদের জানাতে চাই জালালাবাদ ভবন নিয়ে বহিষ্কৃত সভাপতি বদরুল খান কখনো ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারবে না। প্রিয় জালালাবাদবাসী আপনাদের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ভবন থাকবে, কেউ ষড়যন্ত্র সফল হতে পারবে না। তিনি বলেন, লিন বসিয়ে, মামলা করে, মানুষকে বিভ্রান্ত করে কোনো লাভ হবে না। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, জালালাবাদের ভবনের জন্য অর্থ উঠানো হয়েছিল সেটি খরচ করা হয়েছে, ফিলাডেলফিয়ার ভবনের অর্থেরও হিসাব নেই, আবার আমরা যে ২০ হাজার টাকা রেখে এসেছিলাম সেটিও খরচ করা হচ্ছে মামলার পেছনে। সত্যি কথা বলতে কী আসলে তারা দিতে আসে না, তারা সব সময় নিতে আসে।

শূন্য পদে নতুন কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেন সৈয়দ জুবায়ের আলী এবং শপথ বাক্য পাঠ করান সভাপতি শাহীন কামালী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি এম এ কাইয়্যূম, সৈয়দ শওকত আলী, আজিমুল রহমান সাবু, কাতার জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি সদস্য শাহ মিজানুর রহমান, গোলাপগঞ্জ সোসাইটির সভাপতি এবাদ চৌধুরী, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কর্মকর্তা হেলিম উদ্দিন, মহি উদ্দিন, এনায়েত হোসেন জালাল, এম এ করিম, বিলাল চৌধুরী, রুবেন মিয়া, আতিকুল ইসলাম জাকির, আব্দুল হান্নান দুখু’ বদরুল উদ্দিন, আব্দুর রহিম, নজরুল ইসলাম, আবুল খায়ের, মনজু মিয়া, সৈয়দ লোকমান, শাহ নেওয়াজ কোরেশী, মনসুর চৌধুরী, ফছেৎ এ চৌধুরী, খলকুর রহমান, ফয়েজুর রহমান, বসির থান, হাসনাত তালুকদার, মামুন আহমেদ, শাহীনুর ইসলাম, আজহার আহমেদ, আবু তালহা, হুমায়ুন চৌধুরী, মেহরাজ ফাহিম, মখন মিয়া, আব্দুস সালাম, মোদাব্বির হোসাইন, লেইস আহমেদ, ইমাম আশরাফ আহমেদ, মহসীন আহমেদ প্রমুখ।

যাদের শপথ করানো হয় ও পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি শাহীন কামালী, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি দরুদ মিয়া রনেল (সিলেট), সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মনির উদ্দিন (সুনামগঞ্জ), সহ-সভাপতি শেখ জামাল হোসাইন (হবিগঞ্জ), সহ-সভাপতি বসির খান (মৌলভীবাজার), সহ-সাধারণ সম্পাদক আতাউল গনি আসাদ, কোষাধ্যক্ষ মইনুজ্জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইফজাল আহমদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সাহিদুল হক রাসেল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল এম চৌধুরী উমেল, আইন বিষয়ক সম্পাদক তেওয়ান এম এ মোতাচ্ছির, ক্রীড়া সম্পাদক আল মোস্তাজাব, মহিলা সম্পাদিকা সুতিপা চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জয়নাল উদ্দিন। সদস্য হেলিম উদ্দিন (সিলেট), জামাল আহমেদ (সুনামগঞ্জ), মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ (হবিগঞ্জ) ও (মিজানুর রহমান মৌলভীবাজার)।

শেয়ার করুন