২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৫:২০:৫৩ পূর্বাহ্ন


দেশকে অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম
শেষ পর্যন্ত মানুষ পরাজিত হবে না
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০১-২০২৪
শেষ পর্যন্ত মানুষ পরাজিত হবে না এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম


রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেছেন, আমরা তাদের মত জঘন্যভাবে ভাবতে পারিনি, সেটা অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু রাজনীতিতে এই ধরনের ব্যর্থতা তথাকথিত বিজয়ের চাইতে অনেক বেশি গৌরবের এবং মর্যাদার। দীর্ঘমেয়াদে দেশ এবং জাতিকে রক্ষা করার জন্য এই ধরনের ব্যর্থতা বরং অনেক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ

দেশ: দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেও আপনাদের ভাষায় একতরফা নির্বাচন রুখে দিতে পারলেন না। আন্দোলনের এ-ই ব্যর্থতা স্বীকার করেন কি-না?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: ব্যর্থতা অবশ্যই স্বীকার করি। তবে আপনারা যেটাকে একতরফা নির্বাচন বলছেন আমরা এটাকে নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছি না। সরকার বাংলাদেশের কোন নির্বাচন করেনি। তারা তাদের নিজেদের দলের, আরো নির্দিষ্ট করে বললে তাদের জোটের সাঙ্গোপাঙ্গদের মধ্য থেকে কোন ৩০০ জনকে সংসদে নিয়ে আসবেন সেটা আগে থেকেই নির্ধারণ কওে তাদেরকে জনগণের সম্মতি ছাড়াই নির্বাচিত দেখিয়ে সরকার গঠন করার প্রহসন করেছে। এটাকে কোন অর্থেই নির্বাচন বলে স্বীকৃতি দেওয়ার কোন কারণ নেই।

আমাদের যেটা ব্যর্থতা সেটা রাজনৈতিক ব্যর্থতা নয়। মূলত সরকার যে ধরনের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত এবং আন্দোলনের ভেতরে নিজেদের ভাড়াটে লোকদের ব্যবহার করে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংস আন্দোলন হিসেবে দেখিয়ে, দমন পীড়নের অজুহাত তৈরি করেছে এবং হাজার হাজার বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং জুলুম নির্যাতন করেছে, সেইসব বীভৎস প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমরা আগে থেকে আঁচ করতে পারিনি এবং কোন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। এই ধরনের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র বুঝতে না পারার যে ব্যর্থতা, সেই ব্যর্থতার দায় আমাদেরকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। আমরা তাদের মত জঘণ্যভাবে ভাবতে পারিনি, সেটা অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু রাজনীতিতে এই ধরনের ব্যর্থতা তথাকথিত বিজয়ের চাইতে অনেক বেশি গৌরবের এবং মর্যাদার। দীর্ঘমেয়াদে দেশ এবং জাতিকে রক্ষা করার জন্য এই ধরনের ব্যর্থতা বরং অনেক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

দেশ: আপনাদের আন্দোলনের সাথে জনগন ছিলো না বা সায় দেয়নি- বিষয়টা কি এমন?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: না, আপনার এই ধারণাটি সঠিক নয়। জনগণ বরাবরই এই সরকারের বিরুদ্ধে এবং বিরোধী দলের আন্দোলনের সাথে বা পক্ষে ছিল। বিরোধী দলের বিপর্যস্থ অবস্থার মধ্যেও, যখন পিকেটিং করার জন্য কোন কর্মী বা সমর্থক রাজপথে নামতে পারেনি, মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশ করতে পারেনি, তখনও জনগণ হরতাল এবং অবরোধ কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছে। জনগণ বিরোধীদলের আহ্বানে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এ প্রত্যাখ্যান এত ব্যাপক এবং সর্বব্যাপী ছিল যে সরকার তাদের নিজেদের দলের লোকদেরকে নিজের দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ডামী প্রার্থী হিসেবে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে, অনুমোদিত প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোর পরেও সাধারণভাবে দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষে যে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোট আছে তারাও ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি। সরকার নির্বাচন কমিশনকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করে ৫ থেকে ১০ পার্সেন্ট ভোটকে ৪১% এর উপরে দেখিয়েছে যা দেশের ভেতরে এবং বাইরে কাউকেই সন্তুষ্ট করতে পারেনি।

আমরা জনগণের এই সমর্থনকে সক্রিয় প্রতিরোধে উন্নীত করতে পারিনি। এটা জনগণের সমর্থনের অভাব নয়। বরং সরকারি ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত্র এবং চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে জনগণের এই সমর্থনকে জনগণের প্রতিরোধে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। শান্তিপুর্ণ গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারা বজায় রেখে একটি অগণতান্ত্রিক শক্তির সাথে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যর্থতা এড়িয়ে চলা প্রকৃতপক্ষেই কঠিন।

দেশ: এখন কি মনে করেন সরকার জনপ্রিয় বা তাদের দ্বারা অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচনে জয় লাভ করে ফেলেছে।

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: না, এটা এমনকি সরকারি দলও মনে করেন না। তাদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে রেডিও-টেলিভিশনে বক্তৃতা-বিবৃতিতে যদিও এটা বলার চেষ্টা করেন যে জনগণ তাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে কিন্তু তারা নিজেরাই জানেন তাদের এই দাবি কতটা হাস্যকর। তাদের নিজেদের এ বক্তব্যের সাথে তাদের বাস্তব বিবেচনার বিস্তর ফারাক রয়েছে। যদি তারা সত্যি সত্যি বিশ্বাস করতেন যে তাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তাহলে তারা সরাসরি নির্বাচনে নামতে, একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে ভয় না পেয়ে সাহসের সাথে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধীদের মোকাবেলা করার জন্য নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতেন। তারা জানেন, তারা যে উন্নয়নের গল্প বলেন সেটা প্রকৃতপক্ষে দেশের কোন উন্নয়ন নয়। জনগণ অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার আওতায় থেকেও এটা জানেন যে, দেশে যে তথাকথিত উন্নয়ন হয়েছে তার সবটাই মূলত জনগণের পকেট থেকে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স এবং জনগণের নামে ঋণের টাকায় বড় বড় মেগা প্রকল্প দেখিয়ে মেগা আত্মসাৎ এবং মেগা পাচারের অপকৌশলের উন্নয়ন মাত্র। জনগণের কষ্টে অর্জিত সম্পদ নিজেদের দলীয় এবং অনুগত আত্মীয়-স্বজনের অবাধ লুটপাটের জন্য তুলে দেয়ার যে পদ্ধতি সেটার নাম তারা উন্নয়ন রাখলেও জনগণ তাদের এই সমস্ত ভন্ডামি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ।

দেশ: ২০২৪ সালের এ-ই নির্বাচনকে বিভিন্নভাবে বিভিন্নজন বিশ্লেষণ করেন। কখনো বলছেন ডামি বা একতরফা। কিন্তু নির্বাচনের পর গঠন করা সরকারতো আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছে?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: আন্তর্জাতিক সম্পর্কের রীতিনীতি এবং শিষ্টাচার অনুযায়ী কোন একটি দেশে নতুন সরকার গঠিত হলে তাকে শুভেচ্ছা জানানো একটি স্বাভাবিক আচার মাত্র। এই সরকার তাদের দেউলিয়াত্ব ঢাকার জন্য স্বাভাবিক শিষ্টাচার এবং সৌজন্যবশত যেসমস্ত অভিনন্দনবার্তা বিভিন্ন দেশ সরকারকে পাঠাচ্ছে সেগুলিকেই হাস্যকরভাবে তারা তাদের সরকারের প্রতি এবং তাদের নির্বাচনের প্রতি ওই সমস্ত দেশের স্বীকৃতি হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরছে যেন জনগণ অত্যন্ত বোকা এবং তাদের এই সমস্ত ধূর্তামি চিহ্নিত করতে পারবে না। কিন্তু বর্তমানে দেশের জনগণ তাদের মত নির্লজ্জ এবং বোকা নয়। জনগণ এই সরকারের কোন কার্যকলাপ যে কারো দ্বারই প্রশংসিত হচ্ছে না সেটা ভালোভাবেই জানেন।

দেশ: সরকার জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে বলা যায় সব দিক থেকেই এখন শক্তিশালি অবস্থানে- কি বলেন আপনি?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: না, প্রকৃতপক্ষে সরকার তার ১৫ বছরের শাসনকালের মধ্যে বর্তমানে সবচাইতে নাজুক অবস্থায় এবং সংকটের মধ্যে আছে। জাতীয়ভাবে তারা দেশের জনগণ থেকে এমন কি তাদের নিজের দলের রাজনৈতিক কর্মীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। তাদের দলে রাজনৈতিক কর্মীদের আর কোন অবস্থান নেই। বিরোধী দলবিহীন বিনা ভোটের যে নির্বাচন সেই নির্বাচনে তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মীদের সংসদে নিয়ে আসতে পারেনি, সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ সদস্যকে ব্যবসায়ী শ্রেণীর বলে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু দেশের সবাই জানেন এরা পত্রিকার ভাষায় ব্যবসায়ী হলও প্রকৃতপক্ষে তারা ব্যবসায়ী নয়, তারা লুটেরা মাফিয়াদের অনুচর মাত্র। ক্ষেত্র বিশেষে কেউ কেউ নিজেরাই মাফিয়া সিন্ডিকেটের কুশীলব। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাংক, বাণিজ্য সকল ক্ষেত্রেই এই সমস্ত মাফিয়ারা লুটপাট এবং পাচারের মাধ্যমে প্রায় তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। আপনারা প্রত্যেকে অবগত আছেন যে, এস. আলম গ্রুপের লুটপাটকৃত টাকার যোগান দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন করে টাকা ছাপানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সমস্ত টাকার চাপ, লুটেরা পাচারকারীদের বদলে সম্পূর্ণভাবে জনগণকে বহন করতে হবে। কর্মসংস্থানের অভাব, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া দাম ইতিমধ্যেই যে জনগোষ্ঠীকে পর্যদুস্ত করে ফেলেছে, নতুন নতুন লুটপাট এই জনগণকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আগে থেকে সতর্ক করে, বড বড় লুটের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশ দুই বিবাদমান ধারার শক্তির টানাটানির মধ্যে এক নাজুক অবস্থায় পতিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি, ঋণের সুদ পরিশোধ এবং নানামুখী সমীকরণের মুখে সরকার দেশের স্বার্থ রক্ষা করার যোগ্যতা ক্রমশ হারিয়ে ফেলছে। আন্তর্জাতিক মহল ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছে যে এই সরকার দেশের জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয়, তাই দেশের ভেতরে তাদের কোন শক্ত ভিত্তি নেই, সেজন্যে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর যে কোন চাপের সম্মুখে তাদের দাবি পূরণে অতি নতজানু নীতি মেনে চলতে বাধ্য। এ জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে সরকার পরস্পর বিরোধী চাহিদা এবং দাবি পূরণে টালমাটাল অবস্থায় আছে। এটাকে কোনভাবেই তাদের জন্য সুবিধাজনক অবস্থা বলার কোন সুযোগ নেই।

দেশ: সামনের দিনগুলিতে আপনাদের দল জোটের জন্য কি আশার বাণী?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: আমরা বিশ্বাস করি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই পর্যদুস্ত জনগোষ্ঠী তাদের হতবিহ্বল অবস্থা কাটিয়ে উঠে নতুন করে আন্দোলনে শামিল হবে। জনগণ এটা খুব স্পষ্ট করে জানে যে, এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে এই শাসনব্যবস্থার সংস্কার বা পরিবর্তন আবশ্যক এবং এই সংস্কার বা পরিবর্তন করতে হলে, জনগণের দৈনন্দিন দুর্দশা এবং অমর্যাদা থেকে রেহাই পেতে হলে, এই সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করতে হবে। এবারের আন্দোলন জনগণকে নতুন করে তাদের বন্ধুদের চিনে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আশা করি এবং বিশ্বাস করি জনগণ তাদের আন্দোলনের বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুনভাবে, নতুন পদ্ধতিতে, নতুন দক্ষ, পরিক্ষিত নেতৃত্বের অধীনে নতুনভাবে আন্দোলনে শরিক হবে এবং সে আন্দোলনে চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে পরিচালিত করবে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত যত আন্দোলন হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনটি বর্তমানে চলমান আছে। এর আগে পর্যন্ত যত আন্দোলন হয়েছে তার সবারই লক্ষ্য ছিল কেবলমাত্র সরকারের পরিবর্তন পর্যন্ত এবরই প্রথম এবং এ আন্দোলনই সরকার পরিবর্তনের পাশাপাশি ব্যবস্থা পরিবর্তনকে আন্দোলনের মূল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পেরেছে। এই আন্দোলন বিজয়ী হলে সরকার যে রকম পরিবর্তিত হবে, একইভাবে যেইসব ক্ষমতার কারণে, জবাবদিহিহীনতার কারণে এই সমস্ত সরকার স্বৈরাচারি হয়ে ওঠে, গণবিরোধী হয়ে ওঠে, সেই সব আইন-কানুন এবং সংবিধানেরও সংস্কার করা হবে। দেশ সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হবে সেই লড়াই শেষ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই। আমাদের দেশ, দেশের ভবিষ্যৎকে রক্ষা করতে হলে এ আন্দোলনে আমাদের বিজয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। হয় বিজয় অথবা ধ্বংস। শেষ পর্যন্ত মানুষ ধ্বংস হবে না, মানুষ পরাজিত হবে না।

শেয়ার করুন