২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৬:২৬:৬ পূর্বাহ্ন


দেশকে আবুল খায়ের ভূইয়া
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০২-২০২৪
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই আবুল খায়ের ভুইয়া


বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া বলেছেন, আপাতত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে কোনো ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। যেকোনো অন্যায়-অবিচার দীর্ঘস্থায়ী হবে না। এটার তো ইতিহাস আছে। তারা তো ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণই করে না। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। 

দেশ: চারিদিকে শুনশান নিরবতা। বিএনপি কি নিরব নিথর হয়ে গেলো নাকি?

আবুল খায়ের ভূইয়া : নিরবতা কই। এইতো লিফলেট কর্মসূচি দিয়েছি। র‌্যালি করলাম। এখন হুট করেই তো...আন্দোলনেরও তো একটা সারে গামা আছে মোর্শেদ ভাই (দেশ প্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য করে)..। প্রত্যেকটা জিনিসেরও যেমন সারে গামা আছে তেমনি আন্দোলনেরও তো গানের মতো একটা সারে গামা আছে। আমরাতো কর্তৃত্ববাদি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এখানে মানবতা নেই, নেই আইনের শাসন। এরই মধ্যে গণঅধিকার নিয়ে আমরা লড়াই করে যাচ্ছি। 

দেশ: আপনারা কি পরাজিত হয়ে চুপসে গেছেন?

আবুল খায়ের ভূইয়া: আরে না না না..নব্বই ভাগ লোক আমাদের প্রতি আস্থা সমর্থন জানিয়ে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে যায়নি। এটাই তো আমাদের বড় সফলতা। এখন বলা হচ্ছে অর্জনটা কি? এই যে আমাদের নেতা তারেক রহমানসহ সমমনা সব দলের নেতারা যে আহবান জানিয়েছেন তা জনগণ শুনেছেন। এইসব নেতাদের আহবানেই তো জনগণ সাড়া দিয়ে আসছে। জনগণ এই নেতাদের আহবানে সাড়া দিয়ে অংশগ্রহণতো করেইনি মানুষ ভোট কেন্দ্রেও যায়নি। এটাইতো সবচেয়ে বড়ো অর্জন। 

দেশ: কিন্তু শোনা যাচ্ছে আপনাদের দল বা যারা সমমনা হয়ে আন্দোলনের কাতারে ছিল তাদের মধ্যে কি কোনো ধরনের কোন্দল বা মতভেদ দেখা দিয়েছে? 

আবুল খায়ের ভূইয়া: না না..আপাতত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ে বিএনপি বা সমমনাদের মধ্যে কোনো ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী ছিল সেদিন তাদেরকে ক্ষমতা দেয়নি। স্ট্রিম রোলার চালিয়েছিলো জনতার ওপর তৎকালীন শাসকেরা। সেসময় ওই শাসকরা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তো ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। চূড়ান্ত আন্দোলনে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এবারেও জনগণের অধিকার বা কলাকৌশল করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তারা কখনো দিনের ভোট রাতে, কখনো ডামি নির্বাচন করে, সিল মারাসহ বিভিন্ন কৌশলে তারা নির্বাচন করেছে। কিন্তু তাদেরকে চরমভাবে বিদায় নিতে হবে। যে কোনো অন্যায় অবিচার দীর্ঘস্থায়ী হবে না। এটারতো ইতিহাস আছে। তারাতো ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণই করে না। আর তাছাড়া আমাদেরতো এতো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা মোক্কাদমা করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সেখান থেকে তাদেরকে রিকভারি করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় নেতাকর্মীরা আহত- নিহত হয়েছে। আছে বিপর্যস্থ অবস্থায়। এমন বিপর্যয়কর অবস্থা থেকেতো রিকভারি করতেও সময় লাগে।

শেয়ার করুন