২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০২:৪৫:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


জ্যামাইকায় অপহরণ
রুহেলকে ধরিয়ে দিতে এফবিআইয়ের ২০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২৪
রুহেলকে ধরিয়ে দিতে এফবিআইয়ের ২০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা এফবিআইয়ের প্রকাশিত ছবি


নিউইয়র্কে অপহরণ, নির্যাতন ও মুক্তিপণ দাবির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক বাংলাদেশিকে খুঁজছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। তাকে ধরিয়ে দিতে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। এ সংক্রান্ত একটি পোস্টারও প্রকাশ করেছে তারা। এএফবিআইয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই পোস্টারে বলা হয়েছে, ওই বাংলাদেশির নাম রুহেল চৌধুরী (৩৪)। তার জন্ম বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে। নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় গত বছরের ২৭ মার্চ ও ১১ মে দুটি অপহরণের ঘটনায় তিনি ও তার সঙ্গীরা জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রাস্তা থেকে অপহরণের পর ভুক্তভোগীদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র ছিনতাই করা হয়েছিল। তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল এবং মাদক নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। অপহরণের শিকার একজনকে মুক্তিপণের দাবিতে আটকে রেখে যৌন নির্যাতনও করা হয়েছিল। 

পোস্টারে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, অপহরণের সময় যে গাড়িগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলো রুহেল চৌধুরী সরবরাহ করেছিলেন এবং চালিয়েছিলেন। তিনি অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন এবং তাদের হুমকিও দিয়েছিলেন। রুহেলের বিরুদ্ধে অপহরণের দুটি ও অপহরণের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার দুটি অভিযোগ আনা হয়। পরে গত ৯ জানুয়ারি রুহেলকে নিউইয়র্কের একটি আদালতে অভিযুক্ত করা হয় এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

রুহেলকে গ্রেফতারে সহায়তার জন্য ২০ হাজার ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে এফবিআই বলেছে, কুইন্সের হোলিস, কুইন্স ভিলেজ ও জ্যামাইকা এলাকার সঙ্গে রুহেলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তার খোঁজ পেলে স্থানীয় এফবিআই কার্যালয় বা নিকটস্থ মার্কিন দূতাবাস বা কন্স্যুলেটে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এফবিআইয়ের দেওয়া তথ্যের বরাতে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপহরণের এসব ঘটনার সঙ্গে রুহেল ছাড়া আরও ছয়জন জড়িত ছিলেন। তাদের সবাইকে গত বছর এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

নিউইয়র্কের সরকারি কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, গত বছরের ২৭ মার্চ এক ব্যক্তিকে নিউইয়র্ক থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর ওই ব্যক্তিকে একটি গাড়িতে তুলেছিলেন আবু চৌধুরী। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন রুহেল চৌধুরী। একপর্যায়ে গাড়ি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয় এবং ভিডিও করা হয়। তাকে সারারাত মারধর ও হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন রুহেলসহ সৈয়দ রুবেল আহমেদ, শাহেদ আলম, আনজু খান ও সুলতানা রাজিয়া। পরে ওই ভুক্তভোগীকে মাদক নিতে বাধ্য করাও হয়।

দ্বিতীয় অপহরণের ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ১১ মে। কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, এক ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করে নিউইয়র্কের একটি রেস্তোরাঁয় নিয়ে যান অভিযুক্ত ইফফাত লুবনা। পরে ওই ব্যক্তিকে জোর করে একটি গাড়িতে তোলা হয়। ওই গাড়িটিও চালাচ্ছিলেন রুহেল। এরপর ভুক্তভোগীকে একটি হোটেলে নিয়ে মারধর করা হয় এবং লুবনার স্বামী আবু চৌধুরী তার ওপর যৌন নির্যাতন চালান। তার বাবার কাছে মুক্তিপণও চাওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আটকে রাখা হয়।

শেয়ার করুন