২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৩:০২:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন নিয়ে মতবিনিময়
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৯-২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন নিয়ে মতবিনিময় ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভায় নেতৃবৃন্দ


আগামী ২৬ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন হতে যাচ্ছে নিউইয়র্কে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে উত্তর আমেরিকা এবং কানাডার অ্যালামনাইদের নিয়ে। বড় পরিসরের এই আয়োজন সবর্জনীন করার জন্য বিভিন্ন দশকের পড়াশোনা করা সবার মতামত নেয়ার জন্য এক মত বিনিময়ের আয়োজন করা হয় জ্যামাইকার স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে। শতবর্ষ উদযাপন নিয়ে মতবিনিময়ে সভাপতিত্ব করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি সাইদা আক্তার লিলি। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক গাজী সামস উদ্দীন।

বক্তব্যের শুরুতে সভাপতি বলেন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে করা এই অনুষ্ঠান সম্মিলিতভাবে সকল স্তরের অ্যালামনাইদের নিয়ে উদ্যাপন কমিটি গঠন করা হবে। যেখানে বিভিন্ন দশকের সাবেক শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। এই সভায় কীভাবে শতবর্ষ উদযাপন সফল করা যায় সেই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মতামত নেয়া হয়।

প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ হোসেন খান বলেন, শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়- ১০০ বেছরের গৌরবগাথা তুলে ধরা হবে শতবর্ষ অনুষ্ঠানে। যেখানে নতুন প্রজন্ম থেকে বিভিন্ন দশকের অ্যালামনাই থাকবেন। আর এই লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা চান। 

নিউইয়র্কের পরিচিত মুখ ডাক্তার চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইযের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তিনি শতবর্ষ উদযাপনে সব ধরনের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন। বক্তব্য রাখেন ১৯৯৪ সালের নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান- অনুষ্ঠান সফল করার জন্য তার সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেনএবং মূল লক্ষে পৌঁছানোর জন্য কাঠামো গঠন করে কাজ করার কথা বলেন। 

৯৪ সালের অন্যতম নির্বাচন কমিশনার গোলাম মাওলা মানিক সম্মিলিতভাবে সবার সহযোগিতা নিয়ে শতবর্ষ করার আহ্বান জানান। সভায় অসুস্থ ফারুক বক্স চৌধুরীর জন্য দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। শুধু নিউইয়র্ক নয়, বরং নর্থ আমেরিকা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান কানেকটিকাট থেকে আসা হেলালুল করিম হেলাল। মূল ধারার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান তার বক্তেব্যে বলেন, আজীবন সদস্য হওয়ার জন্য একটি ব্যবস্থা করে রাখার প্রস্তাব করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার কথাও বলেন।

মিজান চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভিন্নভাবে ভাবতে শেখায়। শতবর্ষ উদযাপনে সহযোগিতা করার আহ্বান জনান তিনি। খুরশিদ চৌধুরী বলেন, আমেরিকা সম্ভাবনার দেশ। শতবর্ষ করার জন্য সব ধরনের পেশাজীবী মানুষের সহায়তা নেয়ার কথা বলেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য মোল্লা মনিরুজ্জামান বলেন, ২৫ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন সম্পন্ন হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপন সবার সহযোগিতা নিয়েই করা হবে। 

আমাদের জীবনকে ধন্য করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময় হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু করার-বলেও মন্তব্য করেন মনিরুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইয়ের সাবেক সভাপতি স্বপন বড়ুয়া বলেন, শতবর্ষ উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন এবং অহংকারকে তুলে ধরা হবে- বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা রক্ষা করার সংগ্রাম সব এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান। প্রাক্তন সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. তাজুল ইসলাম শতবর্ষ উদযাপনে কমিউনিটির সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন, বিশেষভাবে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিশেষ সহযোগিতার আবেদন জানান। এছাড়াও মিনহাজ আহমেদ তার বক্তেব্যে বলেন শতবর্ষ উদযাপনে সব ধরণের সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি আবেদন জানান। মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, আেমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সব সময় কিছু করতে চাই, শতবর্ষ উদযাপনে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি ও তিনি ব্যক্ত করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন, জেহিরুল হক, ইউসুফ আলী, এম এস আলম, মো. আজহার আলী খান, সাইফুল ভূঁইয়া, রায়হানা মাওলা, বেগম জিনাত মহল এবং নূপুর চৌধুরী। নূপুর চৌধুরী তার বক্তব্যে শতবর্ষের এই অনুষ্ঠানকে অনন্য সুন্দর করার মানসে প্রবাসের সকলের সর্বতো সহযোগিতা কামনা করেন। সাইফুদ্দিন আহমেদ পিন্টু এফ রহমান হলের প্রথম ভিপি বলেন শতব্যস্ততার মাঝেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিযেশন যেভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেজন্য ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন